মাত্র চব্বিশেই স্বামীহারা, দ্বিতীয়বার সংসার পেতেও জুটেছিল শুধুই নরক-যন্ত্রণা ! উত্তরাখণ্ডের এই সুন্দরী কন্যার জীবন রুপোলি পর্দার গল্পকেও হার মানায়
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য এলাকায় বেড়ে উঠেছেন সপনা। স্কুলের পড়া শেষ করে বিমানসেবিকা হওয়ার জন্য দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। এক সময় আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা জীবনটা যে অন্যদিকে মোড় নেবে, সেটা বোধহয় সুন্দরী সপনা স্বপ্নেও ভাবেননি।
advertisement
1/7

প্রত্যেকটি মেয়েই বিয়ে করে সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের এক সুন্দরী কন্যার জীবনে বিয়ে যে তিক্ততা নিয়ে আসবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কেউই। দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও প্রতিবার জুটেছে দুঃখ, বেদনা আর লাঞ্ছনা। যদিও আজ নিজের ক্ষমতায় একটি বড়সড় সংস্থায় চাকরি করছেন সেই যুবতী। নিজের সন্তানকে একাই বড় করছেন। (Photo: EtiEvaansh vlogs)
advertisement
2/7
অবসর সময়ে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ইউটিউব চ্যানেলে তুলে ধরেন তিনি। News18-এর বিশেষ সিরিজ ইউটিউব কা রৌলা-য় আজকের প্রতিবেদনে উত্তরাখণ্ডের সপনা টামটার গল্পই শুনে নেওয়া যাক। উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য এলাকায় বেড়ে উঠেছেন সপনা। স্কুলের পড়া শেষ করে বিমানসেবিকা হওয়ার জন্য দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। এক সময় আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা জীবনটা যে অন্যদিকে মোড় নেবে, সেটা বোধহয় সুন্দরী সপনা স্বপ্নেও ভাবেননি।
advertisement
3/7
প্রথম বিয়ে: ২০০৯ সালে শৈলেশ আর্যর সঙ্গে আলাপ সপনার। তারপর ২০১৩ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। সুখেই দিন কাটছিল। কিন্তু সুখের সেই সময় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের পরপরই ২০১৪ সালে একটি পথ দুর্ঘটনায় সপনার স্বামী এবং তাঁর তুতো ভাই অনশূলের মৃত্যু হয়। মাত্র চব্বিশেই বৈধব্যের যন্ত্রণা ঘিরে ধরে তাঁকে। সমাজ থেকে জুটেছিল গঞ্জনা। তবে সব কিছুকে পিছনে ফেলে ২০১৭ সালে গুরুগ্রামে চলে যান সপনা। একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি শুরু করেন। ইতিমধ্যে সপনার জীবনে আসে এক নতুন মানুষ। যদিও এই নতুন মানুষটি ডিভোর্সী ছিলেন। দ্বিতীয় বার সব ঠিক থাকবে বলেই ভেবে নিয়েছিলেন সপনা। কিন্তু বিধি বাম! এই বিয়ের পর সপনাকে এমন অভিজ্ঞতার মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল, যা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। বিয়ের মাত্র ১ মাসের মধ্যেই সবটা ওলটপালট হয়ে যায়।
advertisement
4/7
শ্বশুরবাড়িতে নরক-যন্ত্রণা: জোশ টকস-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সপনা দ্বিতীয় বিয়েতে জোটা যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, বিয়ের পর চাকরি করছিলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসের কাজের পর সংসারে চলত হাড়ভাঙা খাটুনি। তবে এমন অবস্থা দেখে দয়াও হত না শ্বশুরবাড়ির লোকেদের।
advertisement
5/7
শাশুড়ির গুরুতর অভিযোগ: সমস্ত কিছুই সহ্য করে নিচ্ছিলেন সপনা। কিন্তু ইতিমধ্যেই শাশুড়ি গুরুতর অভিযোগ এনে বলে যে, সপনার সঙ্গে তাঁর শ্বশুরের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। সন্তান না হওয়ার জন্যও শাশুড়ি লাঞ্ছনা করত, এমনকী বন্ধ্যা বলেও দেগে দিয়েছিল সপনাকে। এখানেই শেষ নয়, একদিন সপনার শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর মা-বাবাকে ডেকে বলে যে, তাঁদের মেয়ে শ্বশুরের অন্তর্বাস কাচেন না। সেই সময়ই সপনার শ্বশুরবাড়ির নোংরা মনোভাব তাঁর মা-বাবার সামনে চলে আসে।
advertisement
6/7
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মারধর: এরপর ২০২০ সালে অন্তঃসত্ত্বা হন সপনা। ভেবেছিলেন সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। সপনার স্বামী বারবার অভিযোগ তোলে যে, একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সপনার। এমনকী নিজের ভাইদের সঙ্গেও সপনার নাম জড়িয়েছিল সে। ফলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সপনার গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হত। আর অত্যাচারের জেরে সময়ের আগেই প্রসব হয় সপনার। পুত্রের জন্মের পর ৩ মাস পর্যন্ত ঘুমোতে পারেননি তিনি। সব সময় যেন একটা ভয় তাড়া করে বেড়াত তাঁকে।
advertisement
7/7
লাগামছাড়া অত্যাচার: শ্বশুরবাড়িতে মাত্রাছাড়া অত্যাচারের জেরে পিথোরাগড়ে নিজের বাড়ি ফিরে যান সপনা। জীবনটাকে নতুন করে শুরু করেন। একটি এনজিও-য় কাজ শুরু করেন। মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে থাকেন। আজ একটি বড় সংস্থার এইচআর পদে রয়েছেন সপনা। একাই মানুষ করছেন পুত্রকে। এর পাশাপাশি EtiEvaansh ভ্লগস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে তাঁর।