এটাই ছিল সুনীল দত্তের শেষ ছবি; জিতে নিয়েছিল মোট ২৫টি পুরস্কার, অমর হয়ে রয়েছে ছবির নায়কের চরিত্রটিও
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Sunil Dutt Last Film: ১৯৫৫ সালে ‘রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি ছবির হাত ধরে হিন্দি ছবির জগতে পা রেখেছিলেন। ‘এক হি রাস্তা’ এবং ‘মাদার ইন্ডিয়া’-র মতো ছবির হাত ধরে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন সুনীল দত্ত।
advertisement
1/6

অভিনেতা সুনীল দত্ত শুধু একজন দুর্ধর্ষ অভিনেতাই নন, এর পাশাপাশি তিনি একজন নামী পরিচালকও বটে! ১৯৫৫ সালে ‘রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি ছবির হাত ধরে হিন্দি ছবির জগতে পা রেখেছিলেন। ‘এক হি রাস্তা’ এবং ‘মাদার ইন্ডিয়া’-র মতো ছবির হাত ধরে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন সুনীল দত্ত। তাঁর শেষ ছবি ছিল ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’।
advertisement
2/6
কমেডি-ড্রামা ধারার এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৩ সালে। মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। তিনি ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন আরশাদ ওয়ারসি, গ্রেসি সিং, বোমান ইরানি এবং জিম্মি শেরগিলের মতো তারকারাও। ওই বছরের অন্যতম বড় হিট ছবি ছিল ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’।
advertisement
3/6
আর এই ছবিতে সঞ্জয় দত্তের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্বয়ম সুনীল দত্ত। তাঁকে হরিপ্রসাদ শর্মার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। আর বাস্তবজীবনের বাবা-ছেলে জুটি পর্দাতেও করেছিলেন কামাল। আজকের দিনেও এই ছবির বলিষ্ঠ গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে রীতিমতো চর্চা হয়। মুন্নাভাই চরিত্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল এই ছবির গল্প। আর এই চরিত্রে মন জিতেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। মুন্না নিজের মা-বাবাকে বলেছিলেন যে, তিনি শহরের বড় ডাক্তার হয়েছেন। আর নিজস্ব হাসপাতালও রয়েছে তাঁর। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন একজন গ্যাংস্টার। যিনি তোলাবাজি এবং অপহরণের সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
4/6
এরপর একদিন না চাইতেও মুন্নার গোপন সত্য তাঁর মা-বাবার সামনে আসে। ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন মুন্নার বাবা। এরপরেই ছবিতে আসে বড় একটা ট্যুইস্ট। নিজের বাবার স্বপ্ন সাকার করার জন্য মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন মুন্না। এই ছবির গল্প মানুষের মন জয় করে নেয়। আবেগ এবং কমেডির দুর্ধর্ষ মিশেল ছিল ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। ছবি দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েছিলেন দর্শকরা। এদিকে সঞ্জয় দত্তের ডুবন্ত কেরিয়ার বাঁচিয়েছিল এই ছবি। আসলে বাবা সুনীল দত্তের জোরাজুরিতেই এই ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।
advertisement
5/6
রাজকুমার হিরানি তৈরি করেছিলেন ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া। ছবির অনন্য গল্প ভক্তদের হৃদয় জিতেছিল। ২০০৩ সালে বড়সড় হিট ছবি হয়ে ওঠে এটি। আইএমডিবি-তে ১০-এ এই ছবির রেটিং ৮.১।
advertisement
6/6
বক্স অফিস ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান বলছে, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ তৈরির বাজেট ছিল ১০ কোটি টাকা। তবে তা ৩৬.২৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। সুনীল দত্তের শেষ ছবি হয়ে রয়েছে এটি। কারণ ২০০৫ সালে ৭৫ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। প্রসঙ্গত ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর জন্য বেস্ট কমিক অ্যাক্টর ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। আইএমডিবি-র তথ্য বলছে, মোট ২৫টি পুরস্কার এসেছে ছবির ঝুলিতে।