Salman Khan Sister Marriage: কেন মায়ের পেটের বোনকে সলমন খান বিয়ে দিয়েছেন ফ্লপ হিরোর সঙ্গে? নাম শুনলে চমকে যাবেন

৯এর দশকের হিরো, ভাল ভাল সিনেমা করেছেন৷ হিরো হয়ে বেশ নাম করলেও, সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। কিন্তু তিনি কখনও সুপারহিট অভিনেতা হতে পারেননি। তারপর তিনি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও কাজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, অভিনেতা বলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত পরিবারের এক মেয়েকে বিয়েও করেছিলেন।

সলমন খান৷ বলিউডের অন্যতম খান পরিবারের সন্তান৷ তিনি নিজে বিয়ে করেননি৷ কিন্তু বাড়ির সকলেকে বিয়ে দিয়েছেন৷ তা সেই ভাই হোক বা বোনরা৷ এমনকী নিজের বোনদের বিয়েও দিয়েছেন৷

তবে সলমন খানের দুই বোনকে বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু পরিবারে৷ দু’জনেই বলিউডের হিরো৷

সলমনের মায়ের পেটের বোনকে বিয়ে দিয়েছেন এক অভিনেতার সঙ্গে৷ সেই অভিনেতা পরিচিত হলেও, তেমন নাম করতে পারেননি৷ তিনি অতুল অগ্নিহোত্রী৷ অনেকেই তাঁকে ২৯০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সলমন খানের ভগ্নিপতি হিসেবে চেনেন। হ্যাঁ, অতুল অগ্নিহোত্রীর স্ত্রীর নাম আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী। দুজনেই ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন।

অতুল অগ্নিহোত্রী একজন পঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারের হলেও, তিনি মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। সেলিম খানের মেয়ে আলভিরা ছবি থেকে দূরে। কিন্তু তিনি সিনেমার একজন সুদর্শন অভিনেতাকে বিয়ে করেছিলেন। যিনি তার ভাইয়ের মতো তার ক্যারিয়ারে সফল হতে পারেননি। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ারে, তিনি রবিনা ট্যান্ডন এবং কাজলের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন।

অতুল অগ্নিহোত্রী বলিউডে অভিনেতা হিসেবে নিজের নাম তৈরি করতে পারেননি। তিনি অনেক ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে, তিনি 'পাসন্দ আপনি আপনি' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। যেখানে তাঁর ভাই রতি ​​অগ্নিহোত্রী মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন।

এরপর অতুল অগ্নিহোত্রী মহেশ ভাটের 'স্যার' (১৯৯৩) ছবি দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। যেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল পূজা ভাটকে। এই ছবিটিও হিট হয়েছিল। এরপর তিনি ক্রান্তিবীর, নারাজ, আতিশ, যশবন্ত, হাম তুমহারে হ্যায় সনম থেকে চাচি ৪২০ পর্যন্ত ছবিতে অভিনয় করেন।

অতুল অগ্নিহোত্রীর বাবা রোহিত অগ্নিহোত্রী, যিনি দিল্লির বাসিন্দা, তিনিও একজন অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু যখন তিনি বলিউডে সফল হতে পারেননি, তখন তিনি অভিনয় ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি আগে হোর্ডিং লাগানোর ব্যবসা করত।

অতুল অগ্নিহোত্রী যখন নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, তখন তিনি পরিচালনায় তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন। তাঁর শ্যালক সলমন খানও তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে দুটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন এবং সলমন দুটিতেই নায়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন। অতুল 'দিল নে জিসে আপনা কাহা' ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং তারপর 'হ্যালো' ছবিটিও পরিচালনা করেন কিন্তু দুটি ছবিই ব্যর্থ হয়।

কিন্তু সলমন খান সালে সাহেবকে ছেড়ে যাননি এবং ২০১১ সালে তিনি তাকে আবারও বডিগার্ডে সুযোগ দেন। যখন অতুল অগ্নিহোত্রী এই ছবিতে প্রযোজক হিসেবে যোগ দেন। এই ছবিটি বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়েছিল এবং অতুলও সফল হয়েছিল। এরপর তিনি ও তেরি, ভারত, রাধে এবং ফারে-র মতো ছবিতে প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন।

এবার দেখা যাক অতুল অগ্নিহোত্রী এবং আলভিরা কীভাবে বিয়ে করেছিলেন। তাহলে এটা প্রায় ১৯৯৫ সালের কথা। অতুল অগ্নিহোত্রী এবং আলভিরা একটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। দুজনেই একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তারপর বীরগতি ছবির সময় তাদের দেখা-সাক্ষাৎ বেড়ে যায়। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন সলমন খান এবং শ্লোকের ভূমিকায় ছিলেন অতুল অগ্নিহোত্রী।

সেই সময়ে, আলভিরা শুটিংয়ের জন্য আসা-যাওয়া করতে থাকেন। অতুল এবং আলভিরার বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় এবং তাঁরা দুজনেই ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন। এখন তাদের দুজনেরই দুটি সন্তান, একটি মেয়ে আলিজেহ এবং একটি ছেলে আয়ান।

সলমন খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৯০০ কোটি টাকা, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অতুল অগ্নিহোত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। তবে, তার মোট সম্পদ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।