Ranojoy Bishnu Gossip: রহস্যময়ীর সঙ্গে পাহাড়-ভ্রমণ! সোহিনীর পর রণজয়ের নতুন সফরসঙ্গী? খোলসা করলেন নায়ক

মাত্র কয়েক মাস হল সোহিনী সরকারের সঙ্গে প্রেমে বিচ্ছেদ হয়েছে। এরই মধ্যে রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে নাম জুড়ল তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে। পাহাড়ের কোলে বান্ধবীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সমালোচনার কেন্দ্রে ‘গুড্ডি’র নায়ক।

পাহাড়ে রণজয়ের পাশে সেই রহস্যময়ী আসলে কে? চলতি মাসের শুরুর দিকেই ‘ঝনক’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন অভিনেতা। ভূস্বর্গ ভ্রমণের সময়েই কিছু ছবি পোস্ট করেন রণজয়।

সেখানেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক রহস্যময়ী। তাঁর পরিচয়ই এবার আতসকাচের তলায়। শ্রীনগর থেকে ৬ ঘণ্টা দূরে এবং ২০ কিমি দূরে আরশিয়ান ও ফাম্বার উপত্যকায় ট্রেক করতে গিয়েছিলেন তাঁরা।

কিন্তু আদপে কেবল দু’জন ছিলেন না সেই ট্রেকে। রণজয়ের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তাঁদেরই মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী পত্রালী চট্টোপাধ্যায়। মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জমি শক্ত করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।

তবে কি সোহিনীর পর পত্রালীর সঙ্গেই পাহাড়-পর্বত ভ্রমণে ইচ্ছুক রণজয়? সফরসঙ্গীতে কি শেষমেশ পরিবর্তন হয়েই গেল? সত্য জানতে যোগাযোগ করা হয় নায়কের সঙ্গে।

নিউজ18 বাংলাকে রণজয় বলেন, ‘‘চারদিকে দেখছি নানা জায়গায় কথা হচ্ছে আমাকে আর পত্রালীকে নিয়ে। হাসিই পাচ্ছে খুব। পত্রালী আমার বহু বছরের বন্ধু। ইন্ডাস্ট্রি থেকেই এই বন্ধুত্বের সূত্রপাত।’’

‘‘শুধু পত্রালী নয়, পত্রালী এবং ওর স্বামী অর্জুন, আমরা সবাই খুব ভাল এবং পুরনো বন্ধু। তাই এই গুঞ্জনের কোনও সত্যতা নেই। আমিও এসব শুনে খুব অবাক হয়েছি। তবে এটা নিয়ে আমার খুব একটা যায় আসে না।’’

একইসঙ্গে রণজয় জানালেন, তিনি পত্রালীকে নিয়ে খুবই গর্বিত। অনেক পরিশ্রম করে পত্রালী বাইরের ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। সে কথা বলতে ভুললেন না নায়ক।

রণজয় এও বললেন, ‘‘বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নাম জুড়লে অবশ্য কোনও সমস্যা হয় না, কারণ আমিও কিছু মনে করব না, তারাও কিছু মনে করব না, আমরা শুধু নিজেদের মধ্যেই হাসাহাসি করব।’’

‘‘আমি নিজেকে ৩৫ বছর ধরে চিনি। যাঁরা আমাকে নিয়ে গুজব রটিয়েছেন, তাঁরা আমাকে মাত্র কয়েক বছর চেনেন, তাই তাঁদের কথায় আমি খুব একটা গুরুত্ব দিই না।’’

পত্রালীর আগেও বাংলা টেলিভিশনের নায়িকার সঙ্গে নাম জুড়েছিল রণজয়ের। সোহিনীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ পেতে না পেতেই নানা গুঞ্জনের সূত্রপাত।

সেই বিষয়ে এর আগেই নিউজ18 বাংলাকে রণজয় বলেছিলেন, ‘‘মানুষ আসলে দুয়ে দুয়ে চার করতে ভালবাসে। বিচ্ছেদ মানেই যেন তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। আমি আপাতত নিজের কথা বলতে পারি। সেটাই বলছি যে, এরকম কিছুই।’’

‘‘এই বিষয়ে একটাই কথা বলতে চাই, সোহিনীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে বা পরে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়াইনি। যা রটছে, তা মিথ্যে।’’