রুশ মডেলের সঙ্গে প্রেম, স্ত্রী-কে ডিভোর্স দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে; আর তারপরেই ম্যাজিক, ফুলেফেঁপে উঠল এই অভিনেতার রাজনৈতিক কেরিয়ার
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Actor Turned Politician Uncommon Love Life: দু’টি বিয়ে না টেকার পরেও এক রাশিয়ান মডেলের প্রেমে পড়েছিলেন এক তারকা। আসলে রাশিয়ান মডেল অ্যানা লেঝনেভা নিজের দেশ ছেড়ে এসেছিলেন ভারতে। আর তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজের ধর্ম এবং সমাজের কথা পর্যন্ত ভাবেননি সেই তারকা।
advertisement
1/7

সম্পর্কে থাকলেই যে সব সময় একে অপরের মধ্যে ভালবাসা থাকবে, এর কোনও মানে নেই। আর সেই কারণে তারকারা বিয়ের পরেও প্রেমে পড়েন। কিন্তু সকল তারকাই যে ধর্মেন্দ্রর মতো সৌভাগ্যের অধিকারী, তেমনটা কিন্তু নয়। আর এখানেই একটা ব্যতিক্রম রয়েছে! দু’টি বিয়ে না টেকার পরেও এক রাশিয়ান মডেলের প্রেমে পড়েছিলেন এক তারকা। আসলে রাশিয়ান মডেল অ্যানা লেঝনেভা নিজের দেশ ছেড়ে এসেছিলেন ভারতে। আর তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজের ধর্ম এবং সমাজের কথা পর্যন্ত ভাবেননি সেই তারকা। অবিলম্বে তাঁকে তৃতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দেন। কথা হচ্ছে, পবন কল্যাণের।
advertisement
2/7
আসলে ২০১১ সালে রাশিয়ান মডেল তথা অভিনেত্রী অ্যানার সঙ্গে ‘তিন মার’ ছবির সেটে আলাপ হয়েছিল পবনের। প্রায় ২ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে ডেট করেছেন তাঁরা। ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। আর পবনের রাজনৈতিক সফরে তাঁকে সমর্থন করে গিয়েছেন অ্যানা। বর্তমানে পবন কল্যাণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির বড় সমর্থক।
advertisement
3/7
পবনের ফিল্মি কেরিয়ারের পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও ছিল চোখধাঁধানো। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পবনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কারণ বলা হচ্ছে যে, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ের পিছনে বড়সড় অবদান রয়েছে পবন কল্যাণের। আবার দক্ষিণী ছবির দুনিয়াতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তবে রুপোলি জগতে পদার্পণ করার আগে অভিনেতার নাম ছিল কোন্ডিলা কল্যাণ বাবু। ভক্তদের কাছে পাওয়ার স্টার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
advertisement
4/7
অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন পবন কল্যাণ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আর এর কারণ হল তাঁর তিনটে বিয়ে। ছবির দুনিয়ায় পা রেখেই ১৯৯৭ সালে ১৯ বছর বয়সী তরুণী নন্দিনীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে তাঁদের মধ্যে ছিল বিস্তর ফারাক। এরপর অভিনেত্রী রেণু দেশাইয়ের সঙ্গে লিভ-ইনের কথা স্বীকার করতেই পবনের জীবনে রীতিমতো ঝড় ওঠে। অথচ প্রথম স্ত্রী নন্দিনীর সঙ্গে তখনও বিচ্ছেদ হয়নি তাঁর। এরপর আচমকা রেণু জানান যে, তিনি আর পবন মা-বাবা হতে চলেছেন। তাঁদের পুত্রের জন্মের পর ২০০৮ সালে পবন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন।
advertisement
5/7
এরপর ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বিয়ে করেন পবন আর রেণু। এর কয়েক বছর পর আবার সন্তান জন্মায় তাঁদের। সুখে সংসার করার সময়ই জীবনে আবার ঝড় ওঠে। Bollywoodshaadi.com-এর মতে, পারিবারিক সমস্যার জেরে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। আসলে রেণু চাননি যে, নিজের দাদা নাগেন্দ্র বাবুকে টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করুন পবন। এরপর তাঁর ঘর ছাড়েন রেণু। ঝামেলা বেড়েই চলে।
advertisement
6/7
এদিকে ‘তিন মার’ ছবির শ্যুটিংয়ে পবনের আলাপ হয় অ্যানার সঙ্গে। সেই আলাপই গাঢ় হয়। প্রেমে রূপান্তরিত হয়। এরপর ২০১২ সালে রেণুকে ডিভোর্স দেন অভিনেতা। এরপর ২০১৩ সালে তৃতীয় বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পবন। ২০১৭ সালে তাঁদের জীবনে আসে তাঁদের সন্তান। এদিকে অ্যানা আসতেই পবনের রাজনৈতিক সফর এক নতুন মোড় নেয়। চলতি বছর এনডিএ-র সমর্থনে অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।
advertisement
7/7
এদিকে দাদা চিরঞ্জীবীর রাজনৈতিক দলে কিছু সময় কাজ করার পর ২০১৪ সালে নিজস্ব দল জনসেনা পার্টি তৈরি করেন পবন কল্যাণ। ২০১৭ সালে নিজের বর্ণময় ফিল্মি কেরিয়ার ছেড়ে পাকাপারি ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও ২০২১ সালে ব্লকবাস্টার ছবি ‘বকীল সাব’-এর হাত ধরে কামব্যাক করেন তিনি।