মাত্র ৫০০০ টাকা সম্বল করে স্বপ্ননগরীতে পাড়ি, কেবলমাত্র পাউরুটি আর ডিম খেয়েই হত দিন গুজরান! এই অভিনেত্রীর লড়াইয়ের কাহিনি চোখে রীতিমতো জল আনবে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
নিজের সৌন্দর্য, নাচের জাদু এবং শরীরী হিল্লোল দিয়ে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। কিন্তু বলিউডের যাত্রাপথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না তাঁর জন্য। আসলে স্বপ্ননগরীতে জীবনযাপন করা অতটাও সহজ নয়। নিজের সেই প্রতিকূল সফরের কথা নিজেই ভাগ করে নিলেন নোরা।
advertisement
1/7

নিজের সৌন্দর্য, নাচের জাদু এবং শরীরী হিল্লোল দিয়ে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। কিন্তু বলিউডের যাত্রাপথটা একেবারেই মসৃণ ছিল না তাঁর জন্য। আসলে স্বপ্ননগরীতে জীবনযাপন করা অতটাও সহজ নয়। নিজের সেই প্রতিকূল সফরের কথা এবার নিজেই ভাগ করে নিলেন নোরা। জানালেন, মাত্র ৫০০০ টাকা সম্বল করেই ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন। (Photo: Instagram)
advertisement
2/7
এরপর ভারতে এসে ৯ জন সাইকোপ্যাথের সঙ্গে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী শুধুমাত্র পাউরুটি আর ডিম খেয়েই হত তাঁর দিন গুজরান। (Photo: Instagram)
advertisement
3/7
‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’ ছবির সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন নোরা ফতেহি। Mashable India-র এক সাক্ষাৎকারে মুম্বইয়ে নিজের লড়াইয়ের দিনগুলির কথা তুলে ধরেছেন। গোটা অভিজ্ঞতাটাকেই যন্ত্রণাদায়ক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। (Photo: Instagram)
advertisement
4/7
নোরার কথায়, “মাত্র ৫০০০ টাকা সম্বল করে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলাম। একটি থ্রি বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে ৯ জন সাইকোপ্যাথের সঙ্গে থাকতে হত আমায়। এর মধ্যে ২ জন মেয়ের সঙ্গে আমি রুম শেয়ার করতাম। সেখানে থাকার সময় আমার মনে হত যে, আমি নিজেকে কীসের মধ্যে এনে ফেললাম। আমি এখনও মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছি।” অভিনেত্রী আরও জানান, যে এজেন্সিতে তিনি সাইন করেছিলেন, সেই এজেন্সি কমিশনের নামে তাঁর বেতন কেটে নিত। ফলে পাউরুটি আর ডিম খেয়েই দিন কাটাতে হত তাঁকে। (Photo: Instagram)
advertisement
5/7
এখানেই শেষ নয়, বলিউডে কিছু খারাপ মানুষের জন্য ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁর বক্তব্য, ভারতে আসার আগে ভাবতেন যে, বিলাসবহুল লিমোয় চেপে অডিশনে যাবেন তিনি। কিন্তু নোরার কথায়, “বাস্তবটা একেবারেই এমন ছিল না। আমার গালে রীতিমতো একটা থাপ্পড় এসে পড়েছিল। সকলের ঠাট্টা, প্রত্যাখ্যান এবং যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছিল।” (Photo: Instagram)
advertisement
6/7
নোরা বলে চলেন, “যদি আমায় কেউ বলে দিতেন যে, আমাকে এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে - তোমাকে খারাপ মানুষের মুখোমুখি হতে হবে, ওরা তোমার পাসপোর্ট চুরি করে নেবে, তোমাকে প্রত্যর্পণ করা হবে, ফলে তোমায় কানাডায় ফিরে যেতে হবে আর মানুষ তোমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবেন। আপনি কীভাবে একটা উন্নত দেশ থেকে একটা উন্নয়নশীল দেশে যেতে পারেন? তোমাকে ভারতে ফিরে যেতে হবে। তোমাকে লড়াই করতে হবে, সেই ভাষাটা শিখতে হবে এবং এমন মানুষের সঙ্গে আলাপ হবে, যাঁরা তোমার মুখের উপরেই হাসাহাসি করবেন।” (Photo: Instagram)
advertisement
7/7
দুবাইয়ের ইউটিউবার আনস বুখাশের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছিলেন যে, “তাঁরা একসঙ্গে হাসাহাসি করতে শুরু করতেন। একে অপরের সঙ্গে হাই-ফাইভও দিতেন। এদিকে আমি ভাবতাম, এঁদের এত সাহস কীভাবে হয়? আমি চলে যাওয়া পর্যন্ত তো অপেক্ষা করতে পারতেন। সেটা আমার মুখের উপর করা উচিত নয়।” (Photo: Instagram)