Mithun Chakraborty Property: ফুটপাথ থেকে উঠে আসা, আজ ৩৪৭ কোটির সম্পত্তি, মিঠুনের বিপুল সম্পত্তির ভাগ পাবেন কারা, কারা

: মিঠুন চক্রবর্তীর বাংলার থেকে পথ চলা শুরু করেছিলেন, তারপরে বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার আসমুদ্র হিমাচলকে তাঁর অভিনয় ও নাচের দক্ষতায় বছরের পর বছর মুগ্ধ করে রেখেছেন৷  মিঠুন তাঁর স্ক্রিন নেম, তাঁর আসল নাম ছিল গৌরাঙ্গ, জন্ম ১৬ জুন ১৯৫০ কলকাতায়। বলিউডে দীর্ঘ ইনিংস খেলা  মিঠুন এখনও হিন্দি, বাংলা সব সিনেমাতেই অভিনয় করেন৷

তবে মিঠুনের শুরুর দিনগুলি যতটা কঠিন ও বিপদ সংকুল ছিল৷  মিঠুন দা শুধু একজন মহান অভিনেতাই নন, তিনি একজন দক্ষ ব্যবসায়ীও। তাঁর বড় হোটেলচেনের ব্যবসা রয়েছে। উটিতে তাঁর সবচেয়ে বড় হোটেল আছে। এখন পর্যন্ত, মিঠুন চক্রবর্তী চলচ্চিত্র, ব্যবসা এবং অন্যান্য কাজের মাধ্যমে ৩৪৭ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন৷

এখন কোটি টাকাতে খেলা মিঠুন চক্রবর্তী দেখেছেন চরম দারিদ্র্য। তাঁর লড়াইয়ের দিনগুলিতে,তিনি মুম্বইয়ের ফুটপাথে খালি পেটে বহু রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

মিঠুন চক্রবর্তীর শুধু বাড়ি, বাংলো ও গাড়ি তো রয়েছেই৷ আর  কয়েক ডজন পোষ্য কুকুর রয়েছে। তাঁর মোট ১১৬টি কুকুর রয়েছে। মুম্বইতে মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে প্রায় ৩৮টি কুকুর রয়েছে৷ তাঁর উটির বাংলো বাড়িতে ৭৮টি কুকুর থাকে।

মিঠুন চক্রবর্তী মুম্বই, উটি, কলকাতার বহু সম্পত্তি রয়েছে। মুম্বইয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর দুটি বাংলো রয়েছে। একটি বান্দ্রায় এবং অন্যটি মাড আইল্যান্ডে৷

মিঠুন দা-র উটিতে একটি ফার্ম হাউস রয়েছে যার মূল্য বহু কোটি টাকা। মসিনাগুড়িতে তাঁর ১৬টি কটেজ রয়েছে। মাইসোরে তার ১৮টি কটেজ এবং অনেক রেস্তোরাঁ রয়েছে।

চলচ্চিত্রের চেয়ে ব্যবসা থেকে বেশি আয় মিঠুনেরহোটেল ব্যবসা থেকে অনেক টাকা আয় করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার এই ব্যবসা অনেকদিনের এবং বহু বিস্তৃত৷ তিনি  টিভি রিয়েলিটি শো-র  বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন৷ ফলে ভাল অর্থ আয় করেছেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী এখন পর্যন্ত ৩৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৯ সালে মিঠুনের ১৭টি  সিনেমা রিলিজ হয়েছিল। যা একটি রেকর্ড।

মিঠুন চক্রবর্তীও বিলাসবহুল গাড়ির খুব পছন্দ করেন। রিপোর্ট অনুসারে, অভিনেতা মার্সিডিজ বেঞ্জ, ভক্সওয়াগেন, ফোর্ড এন্ডেভার, টয়োটা ফরচুনারের মতো অসংখ্য ব্র্যান্ডেড ও দামি গাড়ি রয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তী এমন একজন ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত যিনি পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য প্রথম থেকে সাহায্য করেন। তিনি প্রচুর দাতব্য কাজের জন্য অর্থ দেন।

দুই ভাইয়ের মধ্যে মিঠুন ছিলেন ছোট। স্কুলে পড়ার পর তিনি কেমিস্ট্রি নিয়ে স্নাতক হন। এরপরে, তিনি  সেই সময়ে রাজ্য চলতে থাকা  নকশালবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি নকশালে যোগ দেন। কিন্তু ভাইয়ের মারা যাওয়ার  পর তিনি সেই পথ ছেড়ে দেন। তারপর তিনি পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন এবং চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য মুম্বই চলে যান।

তাঁর সিনেমার প্রথম ব্রেক মৃণাল সেনের ছবি  'মৃগয়া'। এই ছবির মাধ্যমে বড় ব্রেক পান তিনি। এই ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান।

মিঠুনের চার ছেলে- মেয়ে , তিনটি ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁর স্ত্রী যোগিতা বালিও রয়েছেন৷ ফলে এই বিপুল সম্পত্তির তাঁরা উত্তরাধিকারী৷