TRENDING:

Prince Yakub Habeebuddin Tucy: ন্যায্যত তাঁরই হক? তাজমহলের মালিকানার দাবিতে DNA টেস্টের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন শেষ মুঘল সম্রাটের বংশধর ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি

Last Updated:
Meet Prince Yakub Habeebuddin Tucy: ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর রাজতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় এবং ভারত একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। তবে, রাজবংশ লোপ পায়নি। ভারতের অনেক জায়গায় অনেক পরিবার এখনও রাজা বা নবাব উপাধি ধারণ করে, নিয়ম মেনে যোগ্য উত্তরাধিকারীর রাজাভিষেক হয়, চলনে-বলনে অতীতের মর্যাদা এখনও বহন করে চলেন তাঁরা। রাজস্থানের কিছু বিখ্যাত রাজপরিবার, পতৌদির নবাব- এঁদের কথা অনেকেরই জানা। তবে, মুঘল বংশের দিক থেকে যে উত্তরাধিকারীরা রয়েছেন, তাঁদের কথা অনেকেই জানেন না।
advertisement
1/7
তাজমহলের মালিকানার দাবিতে DNA টেস্টের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন শেষ মুঘল সম্রাটের বংশধর !
রাজতন্ত্র বহু বছর হল লোপ পেয়েছে এই দেশের শাসনব্যবস্থা থেকে। সঠিক ভাবে বললে তার অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালেই। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর রাজতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় এবং ভারত একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। তবে, রাজবংশ লোপ পায়নি। ভারতের অনেক জায়গায় অনেক পরিবার এখনও রাজা বা নবাব উপাধি ধারণ করে, নিয়ম মেনে যোগ্য উত্তরাধিকারীর রাজাভিষেক হয়, চলনে-বলনে অতীতের মর্যাদা এখনও বহন করে চলেন তাঁরা। রাজস্থানের কিছু বিখ্যাত রাজপরিবার, পতৌদির নবাব- এঁদের কথা অনেকেরই জানা। তবে, মুঘল বংশের দিক থেকে যে উত্তরাধিকারীরা রয়েছেন, তাঁদের কথা অনেকেই জানেন না। (Photo: Instagram)
advertisement
2/7
যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি-ও সেই রকমই একজন। তিনি মুঘলদের বংশধর। পরিধানও তাঁর রাজকীয়। অন্তত, সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজিরা দেওয়ার সময়ে সব সময়েই তিনি রাজকীয় মুঘল পোশাকে সেজে থাকেন। তাঁর কথা লোকে বড় একটা না জানলেও দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এবং মুঘল-নির্মিত সৌধের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তাঁর নাম কিন্তু বারে বারেই উঠে আসে। বর্তমানে যেরকম তাজমহলের মালিকানা নিয়ে যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসির নাম এবং দাবি উঠে এসেছে খবরে। (Photo: Instagram)
advertisement
3/7
মুঘল সম্রাটরা দিল্লিতে বসে দেশ শাসন করলেও যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি কিন্তু থাকেন হায়দরাবাদে। তিনি ঔরঙ্গজেবের সমাধির মুতাওয়ালি তথা তত্ত্বাবধায়ক। তিনি নিজেকে তাজমহলের প্রকৃত উত্তরাধিকারী বলে বহু দিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন। যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসির আকাঙ্ক্ষা, ঔরঙ্গজেবের সমাধির মতো মুমতাজ মহল এবং শাহজাহানের সমাধিসৌধ তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গেও তাঁর নাম যুক্ত হোক! (Photo: Instagram)
advertisement
4/7
দাবির নেপথ্যে রয়েছে মুঘল শাসক পরিবারের রক্তধারা। যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ষষ্ঠ প্রজন্মের উত্তরাধিকারী রূপে নিজের দাবি তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে রাজপুত বংশের এক উত্তরাধিকারী এবং বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারির সঙ্গে তাঁর তর্জা। দিয়া কুমারি দাবি তুলেছিলেন যে তাজমহলের জমি জয়পুরের রাজপুত পরিবারের, তাই মালিকানাও তাঁদেরই হওয়া উচিত। সেই সময়ে, ২০১৯ সালে, যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি সাফ বলেন, যদি রাজপুত পোথিখানা থেকে এর সপক্ষে কোনও নথি পেশ করা সম্ভব হয়, তাহলেই কেবল তা মানা যায়। তিনি আরও বলেন, মুঘল সম্রাট আকবরের বৈবাহিক নীতির সূত্রে অন্য মুঘল সম্রাটদেরও রাজপুত পত্নী থাকত, সেই সূত্রে বিবাহে তাঁরা যৌতূক হিসেবেই জমি পেতেন, তাই রাজপুতদের দাবি টেকে না! (Photo: Instagram)
advertisement
5/7
এ হেন যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি নিজের বংশগত ঐতিহ্যের প্রমাণ হিসেবে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। তবে, তা থেকে কিছু প্রমাণিত হয়েছে কি না, সে খবর এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। মহারাষ্ট্রে ঔরঙ্গজেবের সমাধি ভাঙচুরের সাম্প্রতিক ঘটনায় যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদনও দাখিল করেন, যাতে তিনি আলমগীরের স্মৃতিস্তম্ভ এবং কবর রক্ষার জন্য ভারত সরকার বা রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানান। (Photo: Instagram)
advertisement
6/7
ইতিপূর্বে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের মাঝেও নিজের বক্তব্য পেশ করেছিলেন যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা ওয়াকফ বোর্ডকে বলেছি দিয়েছি যে এটি তাদের সম্পত্তি নয়। এটি একটি সম্পত্তির বিষয় এবং যদি বাবরের সম্পত্তি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরাই এর মালিক। সম্পত্তির মালিক হিসেবে সেখানে রাম মন্দির তৈরি হওয়া নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমি কেবল একটি সোনার ইট উপহার দেব না, মন্দির নির্মাণের জন্য পুরো জমিও হস্তান্তর করব।’’ (Photo: Instagram)
advertisement
7/7
বলে রাখা ভাল, কেউ নিজেকে শাসক পরিবারের উত্তরাধিকারী বলে দাবি করছেন, এ হেন ঘটনা পৃথিবী বা ভারতের ইতিহাসে বিরল নয়। রাশিয়ার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যে, একজন মহিলা নিজেকে রাশিয়ার গ্র্যান্ড ডাচেস আনাস্তাসিয়া বলে দাবি করেছিলেন। তবে, ডিএনএ টেস্টের প্রমাণ সামনে আসার পর তাঁর দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, দেখা যায় যে তিনি একজন প্রতারক ছিলেন। এবার আসা যাক ভারতে! মালচা মহল নিয়েও একই রকম বিতর্কের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। সেখানেও একজন মহিলা নিজেকে আওধের নবাবের বংশধর বলে দাবি তোলেন! মালচা মহলেই বসবাস ছিল তাঁর। তিনি নিজেকে বেগম উইলাইয়াত মহল বলে দাবি করেছিলেন। তবে, পরে এই দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এবার দেখার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট থেকে যুবরাজ ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসির দাবিনিষ্পত্তি হয় কি না!
বাংলা খবর/ছবি/বিনোদন/
Prince Yakub Habeebuddin Tucy: ন্যায্যত তাঁরই হক? তাজমহলের মালিকানার দাবিতে DNA টেস্টের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন শেষ মুঘল সম্রাটের বংশধর ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন তুসি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল