চোখে চোখ রাখলেই শিরদাঁড়া দিয়ে নামত শীতল স্রোত, বলিউডের ভয় ধরানো ভিলেনদের মধ্যে অন্যতম এই অভিনেতা, তাঁর মর্মান্তিক পরিণতি আজও জল আনে ভক্তদের চোখে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
নিজের কেরিয়ারে একাধিক অবিস্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহাবীর। বিশেষ করে অসৎ খারাপ পুলিশ অফিসার এবং নৃশংস গুন্ডার চরিত্রের জন্যই খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। আসলে যে খল চরিত্রেই তিনি অভিনয় করেছেন, তাতে রীতিমতো নিজের প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন তিনি।
advertisement
1/6

রুপোলি দুনিয়ায় হিরো বা নায়করা তো প্রচারের আলো পেয়েই থাকেন। কিন্তু খলনায়ক বা ভিলেনরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। কিছু কিছু অভিনেতা তো খল চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো মানুষের মনে আতঙ্কের ছাপ পর্যন্ত ফেলে দিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকের এমনই এক অভিনেতা হলেন মহাবীর শাহ। যাঁর বিড়ালের মতো কটা চোখ এবং দুর্ধর্ষ স্টাইল তাঁকে সিনে দুনিয়ার ভয়ঙ্কর খলনায়কের তকমা দিয়েছে।
advertisement
2/6
নিজের কেরিয়ারে একাধিক অবিস্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহাবীর। বিশেষ করে অসৎ খারাপ পুলিশ অফিসার এবং নৃশংস গুন্ডার চরিত্রের জন্যই খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। আসলে যে খল চরিত্রেই তিনি অভিনয় করেছেন, তাতে রীতিমতো নিজের প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন তিনি। বলা ভাল, খল চরিত্রগুলিকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলতেন এই অভিনেতা। তাঁর ক্রূর হাসি এবং দুর্ধর্ষ সংলাপ বলার স্টাইল তাঁকে বলিউডের সেরা খলনায়কের আসনে বসিয়েছে।
advertisement
3/6
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি টান: ১৯৬০ সালের ৫ এপ্রিল মুম্বইয়ে জন্ম মহাবীর শাহের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয় তাঁকে টানত। আর এই প্রবল ইচ্ছাশক্তির কারণেই ১৯৭৭ সালে বি-টাউনে পা রাখেন। তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘অব ক্যায়া হোগা’। এই ছবিতে গাড়িচালকের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অচিরেই দুর্ধর্ষ ভিলেনের চরিত্রে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এই অভিনেতা।
advertisement
4/6
মহাবীর শাহের ঝুলিতে রয়েছে ‘অঙ্কুশ’ (১৯৮৬), ‘দয়াবান’ (১৯৮৮), ‘তেজাব’ (১৯৮৮), ‘নরসিমহা’ (১৯৯১), ‘শোলা অওর শবনম’ (১৯৯২), ‘তিরঙ্গা’ (১৯৯২), ‘রাজা বাবু’ (১৯৯৪), ‘কুলি নম্বর ১’ (১৯৯৫), ‘জুড়ওয়া’ (১৯৯৭), ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ (১৯৯৮) এবং ‘মেহেন্দি’ (১৯৯৮)-এর মতো ছবি। সিরিয়াস এবং কমিক উভয় চরিত্রেই তিনি সমান ভাবে পারদর্শী ছিলেন। যার ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।
advertisement
5/6
পর্দার বাইরে ছিমছাম জীবনযাপন: পর্দার দুঁদে ভিলেন হলেও বাস্তব জীবনে ছবিটা ছিল একেবারে উল্টো। ভীষণই সরল-সাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। বলা ভাল, একেবারে মাটির মানুষ ছিলেন এই অভিনেতা। শুধুমাত্র ভাল অভিনেতাই নন, বাস্তব জীবনে একজন অত্যন্ত ভাল মানুষও ছিলেন। তবে ২০০০ সালে ৩১ অগাস্ট তাঁর জীবনে আসে এক মর্মান্তিক মোড়। আমেরিকায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মহাবীর শাহের। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ভক্তরাও।
advertisement
6/6
ফিল্মের মাধ্যমেই অমরত্ব লাভ: মহাবীর শাহ আর আমাদের মধ্যে নেই ঠিকই, তবে তিনি ভক্তদের মনে এখনও রয়ে গিয়েছেন। নিজের শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার জোরেই আজও যেন সকলের মধ্যেই রয়েছেন তিনি। বলিউড আজও মিস করে নব্বইয়ের দশকের এই খলনায়ককে।