Madhubala Kishore Kumar Love Marriage: কিশোর কুমার কেন শেষ মুহূর্তে মধুবালার পাশে ছিলেন না? মাসে মাত্র দু'বার সাক্ষাৎ! আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Madhubala Kishore Kumar Love Marriage: বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৬ বছর। আর এই ৩৬ বছরের জীবনে অনেক কষ্ট ও যন্ত্ৰণা সহ্য করে মৃত্যুর কাছে একসময় হার মানেন ঝলমলে এই বলিউড অভিনেত্রী। মধুবালার আসল নাম ছিল...
advertisement
1/11

বলিউডে 'দ্য বিউটি অফ ট্র্যাজেডি কুইন' নামে পরিচিত ছিলেন মধুবালা। তাঁর জীবনের আশ্চর্য গল্প চোখে জল এনে দেয় আজও। মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন এই তারকা অভিনেত্রী যাঁর রূপ আজও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অপ্রতিরোধ্য। আর অভিনয় ক্ষমতা তাঁকে আজও চিরস্মরণীয় করে রেখেছে গোটা বিশ্বের বিনোদন জগতে।
advertisement
2/11
বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৬ বছর। আর এই ৩৬ বছরের জীবনে অনেক কষ্ট ও যন্ত্ৰণা সহ্য করে মৃত্যুর কাছে একসময় হার মানেন ঝলমলে এই বলিউড অভিনেত্রী। মধুবালার আসল নাম ছিল মুমতাজ জেহান দেহলভি। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।
advertisement
3/11
১৯৪৭ সালে 'নীল কমল' চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে মুম্বই নগরীতে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন মধুবালা। কিন্তু এরপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অসামান্য অভিনয় ক্ষমতা তাঁকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছে সেলুলয়েডের পর্দায়।
advertisement
4/11
একসময় দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েন মধুবালা। কিন্তু তাঁদের ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মধুবালার বাবা। পরে দেব আনন্দের সঙ্গে মধুবালার নাম জড়িয়েছিল বেশ। কিন্তু মধুবালার ভাগ্যে বোধহয় লেখা ছিল অন্য গল্প। ১৯৫৬ সালে, কিশোর কুমারের সঙ্গে 'ধাক কে মহল' চলচ্চিত্রটি করেছিলেন মধুবালা। দুজনের দেখা হয়েছিল ছবির সেটেই।
advertisement
5/11
কিছুদিনের মধ্যেই আচমকা জীবনে বজ্রপাত। মধুবালা জানতে পারেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও মধুবালাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কিশোর কুমার। কিন্তু কিশোরের বাবা-মা এই বিয়েতে সম্মতি দেননি। কারণ মধুবালা ধর্মীয় দিক থেকে ছিলেন মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
advertisement
6/11
কিশোরের পরিবার চায়নি ছেলে অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করুক। কিশোর তার পরিবারের সদস্যদের নিষেধ সত্বেও ১৯৬০ সালে মধুবালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় মধুবালার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর।
advertisement
7/11
বিয়ে হলেও কিশোর কুমারের বাবা-মা মধুবালাকে পুত্রবধূ হিসেবে কখনও মেনে নেননি। তবুও সুখ এসেছিল জীবনে গুটি গুটি পায়ে। বান্দ্রার কার্টার রোডে মধুবালার জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন কিশোর। সেখানেই কিশোর কুমারের সঙ্গে সুখের সংসার বুনেছিলেন মধুবালা জীবনের শেষ কয়েকটা বছর।
advertisement
8/11
কিন্তু সেই সুখযাত্রাও ছিল ক্ষণিকের। বড় বেশি দূর হেঁটে যেতে পারেননি প্রেমিকযুগল, মধুবালা ও কিশোর কুমার। তাঁদের সুখের পথে বাধ সেধেছিল ধর্ম আর শরীর। বিয়ের পর থেকেই মধুবালার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কিশোর তার দেখাশোনার জন্য একজন নার্সও নিয়োগ করে দেন।
advertisement
9/11
বান্দ্রার এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মধুবালা। একটা সময় পর্যন্ত এই ফ্ল্যাটেই কিশোর তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন নিয়মিত। কিন্তু ক্রমশ মধুবালার অসুস্থতা দেখে কিশোর তার সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দেন। সেই সময় মাসে মাত্র দুবার মধুবালাকে দেখতে আসতেন কিশোর কুমার।
advertisement
10/11
এই নিয়ে ক্রমশ নানা গুঞ্জনও ছড়াতে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কিশোর একটি বিবৃতিতে বলেন, যখনই মধুবালা তাঁকে দেখতেন, সামনে পেতেন, তিনি অবিরত কাঁদতেন। আর কান্না তাঁর স্বাস্থ্য এবং হৃদয়ের জন্য ভাল ছিল না। সেজন্যই সেই সময় স্ত্রীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই তাঁর সঙ্গে মাসে ২-৩ বার দেখা করতেন কিশোর কুমার।
advertisement
11/11
তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পৃথিবী ছেড়ে অজানার দেশে যাত্রা করেন মধুবালা। শুধু মিথ হয়ে রয়ে যায় তাঁর স্ফটিকের মতো সৌন্দর্য ও আশ্চর্য অভিনয় গুণ যা আজও বার বার তাঁকে মনে করায়।