Madhoo Roja Actress: 'রোজা' বললেই যে মুখটা ভেসে ওঠে সেই মধু কেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েছিলেন জানেন? মারাত্মক দোষ ছিল একজনের!

৯০ দশকের জনপ্রিয় ও অন্যতম সেরা অভিনেত্রীর শিরোপা পেয়েছিলেন মধু। বিশেষ করে মণি রত্নমের 'রোজা' ছবিতে অভিনয় করার পর গোটা দেশ ও বিদেশেও তাঁর অভিনয় সমাদৃত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সেভাবে কোনও ছবি করে জায়গায় করতে পারেননি মধু শাহ। কারণ কী? আসলে মারাত্মক দোষ ছিল একজনের।

১৯৯২ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'রোজা'। ছবিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অরবিন্দ স্বামী ও মধু। ছবিটি মূলত তামিল হলেও মুক্তি পেয়েছিল একাধিক ভাষায়। তামিল, তেলুগু, মারাঠি, মালায়ালম এবং হিন্দিতেও মুক্তি পায় ‘রোজা’। অভিনেত্রী মধুর কেরিয়ারে অন্যতম সেরা ছবি ছিল এটি।

'রোজা' ছবিটি জিতে নিয়েছিল তিনটি জাতীয় পুরস্কার ও ১টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এই 'রোজা' নিয়েই সম্প্রতি বড় স্বীকারোক্তি অভিনেত্রী ‘মধু’র। ‘রোজা’র সাফল্যের পর তিনি 'অহংকারী' হয়ে পড়েছিলেন, একথা সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

নিজের এই মারাত্মক দোষই তাঁর কেরিয়ারের পথে বাধা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন নায়িকা। জানিয়েছেন, তিনি ছবির সাফল্যের জন্য তিনি পরিচালক মণিরত্নমকেও যথেষ্ঠ কৃতিত্ব দেননি।

সাক্ষাৎকারে মধু বলেছেন, 'রোজা করার পর ফের গিয়ে অ্যাকশন হিরো নির্ভর হিন্দি ছবিগুলি করতে ইচ্ছে করত না। আমি নাচ করতে ভালবাসতাম। কিন্তু রোজার পর আমার সেগুলো ভাল লাগত না।'

তিনি আরও বলেন, 'শ্যুটিংয়ের সময় এলে আমি মুষড়ে পড়তাম। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিই আমাকে সরে যেতে হবে। আমি সবাইকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম আমি অভিনয় জগত থেকে সরে যাচ্ছি। তোমাদের কোনও যোগ্যতা নেই আমার সঙ্গে কাজ করার।'

মধুর কথায়, 'আমি খুব অহংকারী হয়ে পড়েছিলাম। পরে যদিও মনে হয়েছিল আমি শিল্পী, আমাকে এটাই করতে হবে। ফিরেও আসি সেকারণে।' মধুকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কেন 'রোজা', ‘ইরুভার’-এর পর মণিরত্নমের সঙ্গে আর সেভাবে কাজ করেননি? এপ্রশ্নে মধু জানান, রোজার পর তিনি সেভাবে আর মণিরত্নমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।

মধু 'রোজা'র পরিচালকের প্রশংসা করে বলেন, তিনি মণিরত্নমের মতো 'গডফাদার' ব্যক্তিত্ব খুব কমই দেখেছেন। জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করতেন মণিরত্নম ওই চরিত্রের জন্য শুধু তাঁকেই উপযুক্ত মনে করেছিলেন।

মধু জানিয়েছেন, 'রোজা'র সাফল্যের পর তাঁর সেই অহংকার কষ্টের জায়গা থেকেই এসেছিল। কারণ, তাঁর নিজের কেরিয়ারে তাঁর পাশে আর কখনও কেউ দাঁড়াননি। মধু জানিয়েছেন, রোজার মেকআপ থেকে পোশাক সবই তিনি নিজে করেছিলেন। তাই তিনি এক্ষেত্রে কাউকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ ছিলেন। তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তার এই মনোভাবের কারণেই বহু লোকজন বিরক্ত হয়েছিলেন।