সঞ্জীব কুমারকে ভালবেসেছিলেন, কিন্তু বিয়ে হয়নি, নিয়তির আশ্চর্য সমাপতন, নায়কের মৃত্যুদিনেই শেষ নিশ্বাস ফেললেন আজীবনের প্রেমিকা সুলক্ষণা পণ্ডিত
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
নায়িকা সঞ্জীব কুমারের নীরবতারও অর্থ বুঝতেন এবং নীরবে তাঁর প্রেমে জীবন কাটিয়ে যান। তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রয়াত নায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত, তাঁর হৃদয় সর্বদা সঞ্জীব কুমারের প্রতি নিবেদিত ছিল। তাঁদের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে উলঝন ছবির সেটে, যেখানে স্ক্রিন ভাগ করে নেওয়া মুহূর্তগুলো শীঘ্রই সুলক্ষণার জন্য আরও গভীর কিছুতে পরিণত হয়েছিল।
advertisement
1/7

হিন্দি সিনেমার স্বর্ণযুগ তখন, সঞ্জীব কুমারের প্রতিভার কাছাকাছি খুব কম অভিনেতারই পৌঁছানোরই কথা ছিল। পর্দায় যে মানুষ ছিলেন অতীব মনোমুগ্ধকর, তিনিই কিন্তু একেবারে একা বাস করতেন। দর্শকরা দেখেছিলেন শুধু তাঁর প্রতিভা, আর এক নায়িকা চিনেছিলেন তাঁর ব্যক্তিত্বকে। এই নায়িকা সঞ্জীব কুমারের নীরবতারও অর্থ বুঝতেন এবং নীরবে তাঁর প্রেমে জীবন কাটিয়ে যান।
advertisement
2/7
তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রয়াত নায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত, তাঁর হৃদয় সর্বদা সঞ্জীব কুমারের প্রতি নিবেদিত ছিল। তাঁদের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে উলঝন ছবির সেটে, যেখানে স্ক্রিন ভাগ করে নেওয়া মুহূর্তগুলো শীঘ্রই সুলক্ষণার জন্য আরও গভীর কিছুতে পরিণত হয়েছিল।
advertisement
3/7
শোনা যায় যে, তিনি সঞ্জীবের কাছে তাঁর অনুভূতি স্বীকার করেছিলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের অন্য পরিকল্পনা ছিল। এটা বলা হয়ে থাকে যে সঞ্জীব ভালবাসতেন হেমা মালিনীকে, তাঁর হৃদয় হেমা মালিনীর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিল, যদিও হেমা তাঁকে এক সময়ে গিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এটি এমন একটি মুহূর্ত ছিল যা তাঁদের উভয়ের জীবনকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল।
advertisement
4/7
যখন হেমা ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন সঞ্জীব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি বাকি জীবন অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সুলক্ষণা আর সঞ্জীব একসঙ্গে ওয়াক্ত কি দিওয়ার, চেহরে পে চেহরা এবং আপনাপনের মতো ছবিতে পর্দা ভাগ করে নেন, যেখানে তাঁদের রসায়ন আবেগের গভীরতাকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল।
advertisement
5/7
একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে সুলক্ষণা সঞ্জীবের সঙ্গে তাঁর বন্ধনকে সবচেয়ে তীব্র প্রেম বলে বর্ণনা করেছিলেন যা তিনি আর কখনও অনুভব করেননি। সুলক্ষণা এবং সঞ্জীব কুমার দুজনেই কর্কট রাশির জাতক জাতিকা ছিলেন এবং অভিনেত্রী বিশ্বাস করতেন যে তাঁরা একই রকম গভীরভাবে আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল। তার জন্য অন্য কোনও সম্পর্ক কখনও সঞ্জয়ের প্রতি তাঁর অনুভূতির কাছাকাছিও আসেনি।
advertisement
6/7
হৃদরোগ এবং মদ্যাসক্তিতে সঞ্জীব কুমারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, তবুও তিনি মদ ছাড়তে রাজি হননি। তাঁর যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ ছিলও না। ১৯৮৫ সালের ৬ নভেম্বর বলিউড তার অন্যতম সেরা অভিনেতাকে হারায়। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সঞ্জীব কুমার মারা যান।
advertisement
7/7
সুলক্ষণার জন্য তাঁর চলে যাওয়া ছিল গভীরভাবে ব্যক্তিগত এক শোকের বিষয়। তাঁর হৃদয় ভেঙে পড়ে, তিনি জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে দূরে সরে যান, বিষণ্ণতায় ডুবে যান। একদা তিনি স্বীকারও করেছিলেন যে শোক তাঁকে এতটাই সব কিছু থেকে ঠেলে দিয়েছিল যে তিনি নিজের জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলেন। সুলক্ষণার সেই জীবন শেষ হল ২০২৫ সালে এসে, ৬ নভেম্বর তারিখে, যা তাঁর আজীবনের ভালবাসার মানুষ সঞ্জীব কুমারেরও মৃত্যুদিন, নিয়তির এই সমাপতনের ব্যাখ্যা কে করবে!