Lata Mangeshkar: লতা মঙ্গেশকর 'এই' একটি জিনিস পছন্দ করেননি! তাই অভিনয় ছেড়ে মন দিয়েছিলেন গানে...

রবিবার সকাল ৮টায় ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরের জাদুকরী, কিংবদন্তি প্রতিভা লতা মঙ্গেশকর। কর্মজীবনে ৩০ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কোকিলকণ্ঠী শিল্পী।

.তবে খুব কম মানুষই জানেন যে তিনি খুব অল্প বয়সে নাটক ও চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক 'লতা মঙ্গেশকর - দ্য নাইটিঙ্গেল' হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তাঁর যাত্রাপথ ঠিক কেমন ছিল...

খুব কম লোকই জানেন যে পাঁচ বছর বয়সে, লতা মঙ্গেশকর তার বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকরের মারাঠি ভাষায় সংগীত নাটকগুলিতে অভিনেত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন।

লতা মঙ্গেশকরের ওপর লেখা বইটিতে লেখক যতীন্দ্র মিশ্র নাট্যমঞ্চে তাঁর গায়কীর শুরুর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি 'লতা: সুর গাথা'-তে লিখেছেন, বাবা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকরের নাট্য সংস্থা 'বলবন্ত সঙ্গীত মণ্ডলী' অর্জুন ও সুভদ্রার গল্প অবলম্বনে 'সুভদ্রা' নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিল। পণ্ডিত দীনানাথ অর্জুনের ভূমিকায় এবং নয় বছর বয়সী লতা নারদ চরিত্রে অভিনয় করেন সেই নাটকে।

শুধু তাই নয়, বাবার চলচ্চিত্র গুরুকুলে কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন লতা। ১৯৪২ সালে লতা মঙ্গেশকরের বাবা যখন হৃদরোগে মারা যান, তখন মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি, একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা-পরিচালক এবং মঙ্গেশকর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ছোট্ট লতাকে একজন অভিনেত্রী এবং গায়ক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করতে সাহায্য করেছিলেন।

১৯৪৫ সালে মাস্টার বিনায়কের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র 'বাদি মা'-তে তার ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পান লতা মঙ্গেশকর। তিনি মারাঠি ছবিতে নায়িকার বোন, নায়কের বোনের মতো ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিন্তু তিনি কখনই একদম মেক-আপ পরতে এবং ক্যামেরার সামনে কাজ করতে পছন্দ করেননি।

মঙ্গেশকর ২০০৮ সালে সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছিলেন, 'আমি একজন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলাম, কিন্তু আমি কখনই অভিনয় পছন্দ করিনি। মাস্টার বিনায়কের সঙ্গে কাজ করতাম। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি ঠিকই, কিন্তু আমি এটি উপভোগ করিনি।

লতা তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি ক্যামেরার সামনে মেকআপ করা এবং হাসতে ও কাঁদতে অপছন্দ করতাম। তা সত্ত্বেও আমি গান গাইতে ভালবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই এর প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম।"

মাস্টার বিনায়ক ১৯৪৭ সালে মারা যান এবং অচিরেই তাঁর নাট্য সংস্থা প্রফুল পিকচার্স বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গীত পরিচালক গোলাম হায়দার লতা মঙ্গেশকরকে 'মজবুর' (১৯৪৮) ছবিতে গীতিকার নাজিম পানিপতির 'দিল মেরা তোদা, মুঝে কাহিন কা না ছোদা' গানের মাধ্যমে প্রথম বড় ব্রেক দেন, যা ছিল তার প্রথম বড় সাফল্য।

 এর পরে, মধুবালার উপর চিত্রায়িত 'মহল' (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের একটি গান 'আয়েগা আনে ওয়ালা' গাওয়ার সুযোগ পান লতা। তবে এই গানের পর মঙ্গেশকরকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।