Javed Akhtar: ‘অযোধ্যায় শ্রীরাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক পাকানোর তো কোনও কারণ নেই’; সাফ জানালেন জাভেদ আখতার
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Javed Akhtar said on Ayodhya Ram Mandir: মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে আয়োজিত অজন্তা-ইলোরা উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই শ্রীরাম মন্দির নিয়ে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন।
advertisement
1/5

ভারতীয় সিনেজগতের এক বড়সড় নাম জাভেদ আখতার। কোনও না কোনও কারণে বরাবরই তিনি সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। কখনও কখনও নিজের বিবৃতির জন্যও চর্চার কেন্দ্রেও থাকেন তিনি। বর্তমানে অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে প্রচারের আলোয় এসে গিয়েছেন জাভেদ আখতার। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শ্রীরাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসব এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন বর্ষীয়ান এই বলিউড তারকা।
advertisement
2/5
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে আয়োজিত অজন্তা-ইলোরা উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই শ্রীরাম মন্দির নিয়ে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন।জাভেদ আখতার বলেন যে, “অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে কারও আপত্তি থাকার তো কথা নয়।” তিনি আরও বলেন, “আর সুপ্রিম কোর্ট নিজেই যখন এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে যে, অযোধ্যায় শ্রীরাম মন্দির তৈরি হবে, তখন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনও কারণ নেই।”
advertisement
3/5
এমনকী, বলিউডের স্বনামধন্য লিরিসিস্ট এ-ও বলেন যে, “এটা বিশ্বের সবথেকে বড় উৎসব। আর তা উদযাপনে তো কোনও সমস্যা নেই।” সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে অবশ্য এমএনএস প্রেসিডেন্ট রাজ ঠাকরে দ্বারা আয়োজিত দীপোৎসব অনুষ্ঠান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, “ভগবান রাম এবং দেবী সীতা শুধুমাত্র হিন্দু দেব-দেবী নন। তাঁরা আসলে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যদিও আমি একজন নাস্তিক, আমি এখনও রাম এবং সীতাকে দেশের সম্পদ বলেই মনে করি। আর সেই কারণেই আমি এখানে এসেছি। রামায়ণও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আর এটা সকলের আগ্রহের বিষয়বস্তু।”
advertisement
4/5
এর পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন যে, “রাম এবং সীতার ভূমিতে জন্মগ্রহণ করার পরে নিজেকে ধন্য বলে মনে করি আমি। আসলে আমরা যখন মর্যাদা পুরুষোত্তমের বিষয়ে কথা বলি, তখন শুধুমাত্র রাম এবং সীতার কথাই মাথায় আসে।” নিজের বক্তব্য রাখার সময় জাভেদ আখতার জয় সিয়া রাম ধ্বনি দেওয়ার আর্জিও জানান। লখনউয়ে কাটানো নিজের শৈশবের দিনগুলির স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “সেই সময়ে এমন মানুষদের দেখতাম, যাঁরা ধনী, তাঁরা সাধারণত শুভ সকাল বলতেন। কিন্তু রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ‘জয় সিয়া রাম’ বলতেন। সেই কারণেই সীতা এবং রামকে আলাদা আলাদা ভাবাও পাপ। ‘সিয়া রাম’ শব্দটি ভালবাসা এবং ঐক্যের প্রতীক।
advertisement
5/5
সীতা আর রাম একজনই তৈরি করেছেন। ফলে যাঁরা তাঁদের আলাদা করবেন, তাঁরা আসলে রাবণ বলে গণ্য হবেন। তাই আপনারা আমার সঙ্গে তিন বার ‘জয় সিয়া রাম’ জপ করুন। আর আজ থেকে ‘জয় সিয়া রাম’ বলুন।”