Bidisha De Majumder : ছোট শহর থেকে এসে পায়ের নীচে জমি সঞ্চয়, বিদিশার ডায়রি কি জানে তাঁর চলে যাওয়ার উত্তর?

জেলাশহর থেকে এসে দাপিয়ে কাজ করছেন বিনোদন দুনিয়ায়-টালিগঞ্জের ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম উদাহরণ কম নেই৷ সেই তালিকায় সংযোজিত বিদিশা দে মজুমদারের নামও৷ উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া থেকে কলকাতায় এসে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজের পায়ের নীচে জমি সঞ্চয় করেছিলেন৷

বরাবরই প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি বিদিশা৷ তাঁর বাবা বেসরকারি সংস্থার কর্মী৷ মা ঘর সংসার নিয়েই ব্যস্ত৷ বাড়িতে রয়েছে কিশোরী বোন৷ অল্প বয়সেই মডেলিং করে সংসারের সদস্যদের ভাল রাখার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন তিনি৷

বছর চারেক আগে তিনি পা রাখেন সামাজিক মাধ্যমের দুনিয়ায়৷ প্রোফাইল বলছে, তিনি তিন বছর হল মডেলিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন শুরু করেছেন৷

ফ্রিল্যান্স মডেল হিসেবে কাজ করা বিদিশা প্রচুর ব্রাইডাল ফোটোশ্যুট ও মেকওভার শ্যুট করেছিলেন৷ কাজের ফাঁকে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা এই তরুণী৷

সামাজিক মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন৷ মঙ্গলবারই পাল্টেছিলেন ফেসবুক প্রোফাইলের ডিপি৷ তার এক দিনের মধ্যে কী করে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন? প্রশ্ন ঘনিষ্ঠ মহলে৷

অলঙ্কার বিপণির হয়েও মডেলিং করেছিলেন বিদিশা৷ তাঁকে দেখা গিয়েছে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতেও৷

সম্প্রতি নাকি তাঁকে ঘিরে ধরেছিল সম্পর্কের টানাপড়েনের বেড়াজাল৷ তার জেরেই কি চরম সিদ্ধান্ত? উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিজনরা৷

বুধবার উদ্ধার হয় বিদিশার ঝুলন্ত দেহ৷ অনুমান, সেদিন ভোরেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর৷

কাজ না থাকলে বেলা অবধি ঘুমোতেন বিদিশা৷ রুমমেট পুলিশকে জানিয়েছে সে কারণেই প্রথমে তাঁর কোনও সন্দেহ হয়নি৷

কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় পরও বিদিশা তাঁর ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় রুমমেটের৷ তিনিই প্রথম দেখেন বিদিশাকে ঝুলন্ত অবস্থায়৷

বিদিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর অনেক উত্তর অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর ডায়রি-সহ সুইসাইড নোটও৷

বিদিশার ঘনিষ্ঠ চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ অনুসন্ধান করা হবে বিদিশার জীবনে সম্পর্কের টানাপড়েন কতটা সক্রিয় ছিল

অনুূভব বেরার সঙ্গে বিদিশার সম্পর্কের রসায়নও রয়েছে অনুসন্ধানের আতসকাচের তলায়৷

পল্লবী দে-এর মৃত্যুর পর ফেসবুকে বিদিশা লিখেছিলেন এটা তিনি মানতে পারছেন না৷

সেদিনই পরে ফেসবুকে নিজের ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে বিদিশা লেখেন, ‘‘আমি ঝুঁকতে পারি৷ তাই মচকে যাই না৷’’ এহেন পোস্টের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে বিদিশার নিজের চলে যাওয়াই এখন বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে৷