Hritojeet Chatterjee: সেটে রাহুলদার বিয়ে, বাড়িতে আমার, গোল্ডেন প্রন, মটন, আর কী ছিল হৃতজিতের রিসেপশনে
- Published by:Teesta Barman
- news18 bangla
Last Updated:
খানাপিনার এলাহি ব্যবস্থাপনা ছিল রবিবার। স্টার্টারে মাছ এবং রেশমি কবাব। সরবৎ, চা, কফি তো ছিলই। তার পরে মেইন কোর্স শুরু।
advertisement
1/7

হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা তিওয়ারি। ৭ বছরের প্রেম। গত ২৬ মে সাতপাক ঘুরেছেন তাঁরা। ১২ জুন, রবিবার টেলিপাড়ার তারকাদের নিয়ে রিসেপশন সারলেন ‘মন ফাগুন’, ‘লালকুঠি’ খ্যাত অভিনেতা। ভোর বেলা ‘লালকুঠি’র শ্যুটিং সেরে বিকেল বেলা বাড়ি পৌঁছে রিসেপশনের জন্য তৈরি হলেন নতুন বর। কনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন যে বাড়িতে। বিয়ের ১৭ দিন পর ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের খাওয়ানোর জন্য একটি ছুটির দিন বেছে নিয়েছেন তাঁরা। যদিও শেষ মেশ নিজে আর ছুটি পাননি।
advertisement
2/7
তার কারণ ধারাবাহিকে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে হচ্ছে। তার জন্য তোড়জোড় চলছে। নিউজ18 বাংলাকে হৃতজিৎ বললেন, ''ধারাবাহিকের বন্ধুরা তো ভীষণ মস্করা করছে। বলছে, সেটে যেটা পরেছিলাম, সেটা পরেই নিজের রিসেপশনে চলে যাই। পাল্টানোর দরকার নেই। কেউ কেউ আবার বলছে, তাঁরাও এক অনুষ্ঠান থেকে অন্য অনুষ্ঠানে যাচ্ছে, জামাকাপড় বদলাবে না।''
advertisement
3/7
হৃতজিতের রিসেপশনে অভিনেতা সুমন দে ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকে উপস্থিত হয়েছেন। তা ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এসেছিলেন। হৃতজিতের মতো মিশুকে মানুষের পরিচিতির বলয়টিও বেশ বিস্তীর্ণ। জেলাশাসক, এসিপি, ফিশারি ডিপার্টমেন্টের কয়েক জন কর্মীও হাজির হয়েছিলেন।
advertisement
4/7
ক্যানসারজয়ী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা, তাঁর প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ও উপস্থিত হয়েছিলেন। সেজেগুজে হাজির হয়েছিলেন বন্ধুর রিসেপশনে। সে ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইনস্টাগ্রামেও। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তনুকা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখও হাজির হয়েছিলেন।
advertisement
5/7
খানাপিনার এলাহি ব্যবস্থাপনা ছিল রবিবার। স্টার্টারে মাছ এবং রেশমি কবাব। সরবৎ, চা, কফি তো ছিলই। তার পরে মেইন কোর্স শুরু। সেই তালিকায় ছিল বাটার নান, ডাল মাখানি, গোল্ডেন প্রন, মটন, পোলাও, সাদা ভাত, মাছের কালিয়া, চাটনি পাঁপড়। মিষ্টি মুখের জন্য নানা ধরনের মিষ্টি, আইসক্রিম, কুলফি। হৃতজিতের সন্তুষ্টি এখানেই যে অতিথি মন ভরে খেয়েছেন। খাবারের স্বাদ খুব ভাল বলেছেন সকলে।
advertisement
6/7
পঞ্জবি কনে অর্পিতার সঙ্গে হৃতজিতের আলাপ হয়েছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে। প্রথম দেখাতেই অর্পিতার প্রেমে পড়েন টেলি নায়ক। কিন্তু তাঁর নম্বর নেওয়া থেকে শুরু বন্ধুত্ব করা, তার পর প্রেমের এই পর্বটি বেশ দীর্ঘ ছিল। বহু বছর ধরে অর্পিতার তরফে সবুজ সংকেত না পেয়ে পেয়ে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ প্রেম এল। দু'তরফেই। অনেক দিন পর্যন্ত পরিবারের তরফে লুকিয়ে রেখেছিলেন দু'জনে। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই তাঁরা বাড়ির লোকজনকে জানান।
advertisement
7/7
হৃতজিৎ এবং অর্পিতা ভেবেছিলে, মেয়ের বাড়ি থেকে মেনে নেবে না কেউ। ইন্ডাস্ট্রির নায়ক মানে নানা ধরনের রটনা চলতেই থাকে। সেই কারণে যদি বিয়েতে মন না দেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এই ভয়েই এত দিন সব লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেখা গেল, অর্পিতার বাবা-মা অত্যন্ত অমায়িক দু'টি মানুষ। জামাইকে তাঁরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাঁর পেশাকেও।