HMV: একসময়ের ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ! এইচএমভি কোম্পানি এখন যেন শুধুই স্মৃতি
- Published by:Pooja Basu
- hyperlocal
- Reported by:Rudra Narayan Roy
Last Updated:
একসময়ের ভারতীয় সংগীত জগতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠা এইচএমভি কোম্পানি যেন শুধুই স্মৃতি
advertisement
1/9

দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সংগীত জগতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে থাকা এইচএমভি কোম্পানি আজ যেন শুধুই স্মৃতি। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সুর তৈরি, আর নেই রেকর্ডিং এর ব্যস্ততা (রিপোর্টার: রুদ্র নারায়ন রায়)
advertisement
2/9
দমদম এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। যেখানে একাধিক কারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, যার মধ্যে অন্যতম একটি নাম ছিল এইচ এম ভি (HMV – His Master's Voice)
advertisement
3/9
এইচএমভি-র উত্থান ব্রিটিশ আমলে। মূলত গ্রামোফোন রেকর্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতে আত্মপ্রকাশ করে HMV। ১৯০১ সালে ভারতে রেকর্ড ব্যবসার সূচনা করে 'গ্রামোফোন কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া'। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে তাদের শৈল্পিক বিস্তার। দমদমে তৈরি হয় এইচএমভি-র রেকর্ডিং সেন্টার
advertisement
4/9
এইচএমভি কেবল একটি কোম্পানি ছিল না, এটি হয়ে উঠেছিল ভারতীয় সংগীত জগতের ধারক ও বাহক। নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগান, ক্লাসিকাল সংগীত থেকে শুরু করে আধুনিক গান—সব ধরনের শিল্পীদের গান রেকর্ড করা হত এই সংস্থায়
advertisement
5/9
লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মন্না দে, ভূপেন হাজারিকা সহ নানা বিখ্যাত শিল্পীর গানের রেকর্ডিং এখানেই রেকর্ড করা হয়
advertisement
6/9
এইচএমভি দমদম অঞ্চলে এক বিশাল কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিয়েছিল। হাজারের বেশি কর্মচারী এই কোম্পানিতে কাজ করতেন। টেকনিশিয়ান, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, কর্মী থেকে শুরু করে অফিস স্টাফ—একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্প সংস্থা হিসেবেই পরিচিত ছিল এটি
advertisement
7/9
ধীরে ধীরে আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়তে শুরু করে এইচএমভি। ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি এবং পরে ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্মের দাপটে ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে এসে এইচএমভি কার্যত অচল হয়ে পড়ে
advertisement
8/9
অবশেষে সংস্থাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই থেকেই শিল্প সৃষ্টির এই ভবন পরিণত হয় নিরব ধ্বংসস্তূপে। তবে দমদমবাসীদের স্মৃতিতে আজও জায়গা করে আছে এই প্রতিষ্ঠান
advertisement
9/9
অনেকেই মনে করেন যথাযথ পরিকল্পনা ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যাবে এই হারিয়ে যাওয়া শিল্প ঐতিহ্যের কাহিনী