Singer: ১৬ বছরে প্রথম বিয়ে, কয়েক বছরেই সম্পর্কে চিড়! অত্যাচার, নির্যাতন...অন্ত:সত্ত্বা অবস্থাতে ছাড়তে হয় বাড়ি, পরে হন বাঙালি বধূ, চিনতে পারছেন বর্ষীয়ান গায়িকাকে?
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
Guess The Celebrity: খ্যাতি, নাম, যশ সবই পেয়েছেন তিনি। তবে দূর থেকে দেখে তাঁর জীবন যতটা সহজ মনে হয়, তা একেবারেই ভুল। বৈবাহিক জীবনে প্রবল অশান্তির সম্মুখীন হয়েছেন বর্ষীয়ান গায়িকা
advertisement
1/9

দেশের অন‍্যতম খ‍্যাতনামী গায়িকা তিনি। তবু জীবন কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। বিবাহিত জীবনে একেবারে সুখের ছিল না। দু'বার বিয়ে করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত কোনওটাই টেকেনি। এমনকী প্রথম বিয়েতে রীতিমতো নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
advertisement
2/9
তাঁর কণ্ঠের জাদুতে এখনও আবিষ্ট হয় শ্রোতামহল। বিশেষত বাঙালির কাছে তাঁর গানের কদরই আলাদা। দেশের অন‍্যতম সেরা শিল্পীর তালিকায় এখনও স্বমহিমায় বিরাজমান আশা ভোসলে। সদ‍্যই ৯২ বছরের জন্মদিন গেল বর্ষীয়ান গায়িকার।
advertisement
3/9
খ‍্যাতি, নাম, যশ সবই পেয়েছেন তিনি। তবে দূর থেকে দেখে তাঁর জীবন যতটা সহজ মনে হয়, তা একেবারেই ভুল। বৈবাহিক জীবনে প্রবল অশান্তির সম্মুখীন হয়েছেন আশা। শারীরিক মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন তিনি।
advertisement
4/9
শোনা যায়, বোনের বিবাহিত জীবনের এত অশান্তি দেখে নাকি বিয়ে থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। যদিও তাঁর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আরও অনেক কারণও শোনা যায়। সঠিক খুব একটা জানা যায়নি।
advertisement
5/9
দু'বার বিয়ে করেছিলেন আশা ভোসলে। তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন গণপতরাও ভোসলে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিজের চেয়ে বয়সে ২০ বছরের বড় গণপতরাওকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন আশা। গণপতরাও তখন ছিলেন তাঁরই দিদি লতার সেক্রেটারি।
advertisement
6/9
বোনের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি দিদি। গণপতরাওকে বিয়ের পর লতার সঙ্গে একরকম মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় আশার। সম্পর্ক প্রায় ছিন্ন হয়ে যায় পুরো মঙ্গেশকর পরিবারের সঙ্গে। সেকালে মিডিয়াতেও জোর লেখালিখি শুরু হয় এই বিয়ে নিয়ে। তবে গণপতরাও এবং আশার প্রেমও টেকেনি। বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই চিড় ধরে তাঁদের সম্পর্কে।
advertisement
7/9
নিজের অসুখী বিবাহিত জীবন নিয়ে খুব বেশি মুখ খোলেননি আশা। তবে কবিতা চিব্বরের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্‍কারে আশা তাঁর প্রথম বিবাহের যন্ত্রণা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। লতা দিদি বহুদিন এইজন‍্য আমার সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। উনাদের (গণপতরাও) পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল। পুত্রবধূ হবেন তারকা গায়িকা, এটা ওঁদের পছন্দ ছিল না।’’
advertisement
8/9
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয় আশাকে। সেই স্মৃতিচারণ করে আশা বলেছিলেন, ‘‘নির্যাতন, খারাপ আচরণ তো ছিলই, শেষে আমাকে বাড়ি ছাড়তে বলা হল। তখন আমার ছোট ছেলে আনন্দ আমার গর্ভে। সেই অবস্থাতেই মা, বোন এবং ভাইয়ের কাছে ফিরে গিয়েছিলাম। আমি কাউকে দোষ দিই না। আমার মনে হয় যদি মি. ভোঁসলের সঙ্গে দেখা না হত তাহলে আমার এত সুন্দর তিন সন্তান হত না। আর জীবনটাও হয়তো ঠিকঠাক হয়ে যেত।’’
advertisement
9/9
এর পরে আশা আর.ডি বর্মনকে বিয়ে করেন। দু'জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বাঙালি পঞ্চমকে বিয়ে করে একেবারে বাঙালি বধু হয়ে যান আশা। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে বাংলা ভাষা, বাংলার প্রতি তাঁর টান অবিদিত। যদিও এ বিয়েও সম্পূর্ণ সুখের হয়নি। শেষপর্যন্ত আশা-আরডির সম্পর্কও ভেঙে যায়। কয়েক বছর পর, তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁরা। তবে বিয়ে ভাঙলেও দু'জনের মধ‍্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল।