‘মা দরজা খুলে জানল তুমি নেই!’প্রয়াত বাবার ছবি পোস্ট করে কান্নায় ভাসলেন ‘ত্রিনয়নী’র নায়ক গৌরব
Last Updated:
advertisement
1/11

♦ সময়টা বদলেছে ৷ সত্যি সত্যিই সময়টা বদলেছে ৷ এই তো কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে বাংলা ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’৷ সেই ধারাবাহিকের নায়ক তিনি ৷ তাঁকে দেখতে এখন টিভির পর্দায় চোখ রাখেন আপামর বাঙালি ৷ কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে ধারাবাহিক ‘শুভদৃষ্টি’৷ সেই ধারাবাহিকেরও নায়ক ছিলেন অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী ৷
advertisement
2/11
♦ আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা এসেছে এখন ৷ একটা সময় এমন অবস্থা হয়েছিল মায়ে-ছেলেতে মিলে পড়েছিলেন বিরাট সমস্যায় ৷ তবে সেই সময় পাল্টেছে ৷ এখন আর সেই অভাবটা আর সঙ্গী নয় ৷
advertisement
3/11
♦ তবুও কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে ৷ চারটে বছর ধরে সেই শূন্যতাটা পূরণ হয়নি ৷ মনটা আজ বেশ ভার অভিনেতা গৌরবের ৷ বাবা গৌরব রায়চৌধুরী প্রয়াত হয়েছেন চার বছর হল ৷ কিন্তু আজও তাঁর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি টেলি অভিনেতা ৷
advertisement
4/11
♦ ‘‘বাবা আমার বন্ধুর থেকেও অনেকটা বেশি ছিল ৷ আমার সব কিছু ছিল বাবা ৷ তাই ওনার চলে যাওয়াটা আজও অদ্ভুত লাগে ৷ শুটিং থেকে ফিরে ঘরটা ফাঁকা লাগে ৷’’ফোনে বললেন গৌরব ৷
advertisement
5/11
♦ এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বাবার শেষযাত্রার ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা ৷ সঙ্গে লিখেছেন একটি লেখা ৷ যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে বাবার শূন্যতা, টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার যুদ্ধের কাহিনি ৷ যা লিখেছেন অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী তা তুলে ধরা হল-
advertisement
6/11
♦ ‘‘প্রিয় বাবা,, তোমার সেই ব্লেজার টা আজ ও আছে। কিন্তু অদ্ভুত ওটা আমার আজ ও প্রপার ফিট হয় না। মা আগে কোথায় কোথায় বেশ খানেক বাসন রাখতো জমা কাপড় দিয়ে এত জামাকাপড় ভর্তি থাকতো ঘরে। এখনো ভর্তি বটে। কিন্ত তোমার জামাকাপড় গুলো সেই আলমারি তে রয়েগেছে।।এখন আর মা সেটা করে না। কথায় কথায় মন খারাপ থাকে আজ ও তোমার স্ত্রী এর।
advertisement
7/11
♦ কিন্তু সে ভালোই অভিনয় টা হয়তো শিখেগেছে আমার থেকে লুকিয়ে বেশ ভালোই জল লোকতে পারে।।না না আমার সিরিয়াল দেখে নয়। হয়তো সময় সব টা তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। সুস্থ আছে কিন্তু এখনো মোটা ই রয়েছে ডাল সিদ্দ ভাত এ বেশি সুখী। আমি বাড়ি ফিরলে অমনি ডায়েট এর acting তার।
advertisement
8/11
♦ আমার মাছ খুব প্রিয় হয়েগেছে। যেটা আগে কোনোদিন ও ছিল না। পাবদা আর ইলিশ। যেটা তোমার প্রিয় আজ সেটা আমার। তবে হ্যাঁ তোমার বদ অভ্যেস গুলো আমার নেই। মনে কোনো ভাবে smoke বা alchol। তবে ঘুম টা তোমার মতন পাইনি। যে ভাবে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে আমি শুট থেকে ফিরে এসে দেখতাম। সেই ঘুম টা লাস্ট তোমার অসুস্থ হওয়ার সময় থেকেই নেই চোখে। কারণ আমি জানতাম তুমি এমনি কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছ ব্যাগ পত্র গুছিয়ে যাওয়ার।বরাবরই সবার বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছিলাম।
advertisement
9/11
♦ তোমার মার বিরুদ্ধে গিয়ে অভিনয় করেছি। তোমরা ভয় পেতে।। পরে তুমি নীরব এ রাত এ মা ক বলতে ছেলে ফেরে নি। কখন শেষ শুট ওর। একটা ফন করো। সেই ফোন টা আসে না আর। তবে তোমার ফোন নম্বর টা আজ আমি ব্যবহার করি। কখনো কখনো তোমার নম্বর দিয়ে নিজের ফোনে এ করি। তোমার নাম টা আসে। বেশ ভালো লাগে। তোমার প্রিয় সব চ্যানেলে এই কাজ করা হয়েগেছে। যেটা তুমি চেয়েছিলে। আর একটা উদ্ভুত ঘটনা। তোমায় তো সবটাই বলতাম।
advertisement
10/11
♦ যেদিন আমি প্রথম শট দিতে গিয়েছিলাম আমার শট নিতো না ঠিক করে একদিন জুতো ছুড়ে মেরেছিলো তার সাথে দেখা হয়েছিল। অনেক বছর পর। সে আমার আবার শট নিয়েছে। কিন্তু সে আমার সাথে চোখ তুলে আর কথা বলতে পারেনি। না না তাকে কিন্ত আমি সম্মান দিয়েই কথা বলেছি। যখন কাজ চেয়েছিলাম অনেক প্রোডিউসার এর কাছে প্রথম দিকে। অনেক বড় হাউস আমায় ব্লক করে দিয়েছিল । আজ তার হাউসে কাজ করছি।
advertisement
11/11
♦ আজ তারা বেশ ভালোবাসে আর আমিও বাসী ভালো তাদের। অনেকটাই পাল্টে গেছি। বন্ধু সংখ্যা নেই বললেই চলে। বড্ডো একলা থাকি। বই পরি কাজ করি আর বাড়ি ফিরি। তবে আমি আজ ও যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হলেও। বাড়ি ফিরি না।11 টার পর ফিরি। সেই রাত ও 11 টা ছিলো। আমি আসার পর মা দরজা খুলে জানতে পারলো তুমি নেই। ওই সময় টা আজীবন আমার কাছে অভিশপ্ত হয়ে থাকবে। তবে তোমার কাছে আর ও সময় ছিল কিন্তু। চেষ্টা করলে পারতে। আমি অনেক টা ঠিক করে দিয়েছিলাম। যাকগে ভালো থেকো ।সুস্থ থেকো ৷