দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ৩৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী, তা নিয়ে হয়েছিল বিস্তর সমালোচনা ! আপাতত কন্যার সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন তারকা-দম্পতি
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
প্রথম সম্পর্কে তিনি পেয়েছিলেন শুধুই ব্যর্থতা। এক সন্তানের জননী দিব্যা তখন আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় তাঁর কন্যা মায়াও প্রায় বিবাহযোগ্যা ছিলেন।
advertisement
1/6

একজন মায়ের কাছে তাঁর পরিবারই সব কিছু। পরিবারে যদি কোনও মহিলা স্বামীর ভালবাসা এবং সন্তানদের সহায়তা পান, তাহলে তিনি জীবনে যেন সব কিছুই পেয়ে যাবেন। আজ শুনে নেওয়া যাক, ৩৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী দিব্যা শ্রীধরের জীবনের গল্প। প্রথম সম্পর্কে তিনি পেয়েছিলেন শুধুই ব্যর্থতা। এক সন্তানের জননী দিব্যা তখন আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় তাঁর কন্যা মায়াও প্রায় বিবাহযোগ্যা ছিলেন। আর মায়ের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
2/6
দ্বিতীয় বিয়ে করে দিব্যা শুধু একজন ভাল জীবনসঙ্গীই পাননি, সেই সঙ্গে মায়াও পেয়েছেন একজন বাবাকে। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাভিয়েশনের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে শুরু করেছেন মায়া। আর সন্তানকে প্রথম দিন তাঁর কলেজে ছেড়ে দিয়ে আসার সেই আনন্দঘন মুহূর্ত নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভাগ করে নিয়েছেন ক্রিস বেণুগোপাল। দিব্যা, মায়া এবং মায়ার বন্ধুর সঙ্গে পোস্টটি শেয়ারও করেছেন তিনি। ছবি পোস্ট করে ক্রিস ক্যাপশনে লিখেছেন যে, মায়ার ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের জন্য প্রত্যেকের প্রার্থনাই প্রয়োজন। মায়াকে ছবিতে একজিকিউটিভ লুকে দেখা গিয়েছে।
advertisement
3/6
আসলে দিব্যা শ্রীধর এবং ক্রিস বেণুগোপালের বিবাহের পরে মা-বাবার ছত্রচ্ছায়ায় বেড়ে উঠছে তাঁদের দুই সন্তান। পুত্র আবার বাবার খুবই ন্যাওটা। আত্তুকল পোঙ্গলের সময় বাবা-ছেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যে, পোঙ্গল উদযাপন করার সময় ক্রিস এবং তাঁর পুত্র সকলকে ঠান্ডা পানীয় পরিবেশন করছেন। আসলে দীর্ঘদিন বাবার আদর পায়নি দিব্যার সন্তানরা। তাঁরা শুধু মায়ের যত্নেই বেড়ে উঠছিল।
advertisement
4/6
আসলে প্রথমে খুব কম বয়সে প্রেম করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন এই অভিনেত্রী। দিব্যা শ্রীধর কিন্তু কোনও প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের সন্তানদের ছেড়ে যাননি। টিভি শো ‘পত্রামাত্তু’-র সেটে প্রথম আলাপ ক্রিস বেণুগোপাল এবং দিব্যা শ্রীধরের। প্রথম আলাপেই দিব্যা এবং ক্রিস বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন।
advertisement
5/6
কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে সেই প্রেম গড়ায় প্রেম পর্যন্ত। ক্রিসের এক আত্মীয় আবার তাঁকে দিব্যাকে আরও ভাল ভাবে জানার এবং চেনার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে দিব্যার পছন্দ-অপছন্দগুলির হদিশ পেতে থাকেন ক্রিস। এরপরেই দিব্যা শ্রীধরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ক্রিস। সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন দিব্যা। ফলে চার হাত শীঘ্রই এক হয়।
advertisement
6/6
এখন কন্যা মায়ার জীবনের সমস্ত কিছুই দিব্যা আর ক্রিস। ভালবাসা এবং যত্নে দুই সন্তানকে বড় করছেন তাঁরা। এদিকে দিব্যা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। হামেশাই ইনস্টাগ্রামে রিল পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু ক্রিস বেণুগোপাল এবং দিব্যা শ্রীধর যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন, সেই সময় তাঁদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। কারণ ক্রিসের সাদা দাড়ি দেখে নেটিজেনরা তাঁকে বৃদ্ধ বলে দাবি করতে থাকেন। পরে অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে দুজনে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তাঁদের বয়স খুব বেশি নয়। দুজনের বয় মধ্য চল্লিশের আশপাশে। এরপর একবার তাঁদের দুজনের বিচ্ছেদের খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই বিষয়টাও অবশ্য নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে নস্যাৎ করেছিলেন দিব্যা।