Dharmendra Love Life: ‘শুধু আমার স্বামী কেন, যে কোনও পুরুষই আমার তুলনায় হেমাকে বেশি পছন্দ করত...’, চিরকাল ধর্মেন্দ্রর পাশে ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Dharmendra Love Life: প্রকাশ কৌর আরও বলেন যে ধর্মেন্দ্রকে 'নারীর হৃদয়হরণকারী' বলার কোনও অধিকার মানুষের নেই৷ কারণ তিনি তাঁর দুই স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পালন করছেন। তিনি আরও বলেন যে ইন্ডাস্ট্রির অর্ধেক হয় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করছে, অথবা বিয়ে করছে, তাহলে কেন মানুষ কেবল তার স্বামীকেই দোষারোপ করছে?
advertisement
1/8

তাঁর চলচ্চিত্রের মতো, ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত জীবনও বর্ণময় এবং সবসময়ই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। হেমা মালিনীর সঙ্গে তার প্রেম এখনও আইকনিক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর দুই পরিবার, দুই স্ত্রীর সংসার চলেছে সমান্তরাল পথে৷ এক বিন্দুতে মেলেনি৷ আবার একে অন্যের সঙ্ঘে সঙ্ঘাতও হয়নি৷ প্রথম স্ত্রী প্রকাশকে ডিভোর্স না করেই সহ-নায়িকা হেমাকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র৷ সারা বিশ্বের ভ্রুকুঞ্চন হয়েছিল এই খবরে৷ কিন্তু টাল খায়নি ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের বিয়ে৷ নষ্ট হয়নি তাঁদের দাম্পত্যের ভরকেন্দ্র৷
advertisement
2/8
তারকাখ্যাতির স্বাদ গ্রহণের অনেক আগেই, ১৯৫৪ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র গাঁটছড়া বাঁধেন। তাঁদের দুই ছেলে সানি-ববি বলিউডের তারকা হলেও চিরকাল লাইমলাইট থেকে দুই মেয়ে অজিতা-বিজেতাকে সরিয়েই রেখেছেন তাঁরা৷ প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত থাকাকালীন, হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েন ধর্মেন্দ্র। তবে, হেমার প্রতি ভালবাসা সত্ত্বেও, ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চাননি। ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের দুটি কন্যা, এষা দেওল এবং অহনা দেওল।
advertisement
3/8
ধর্মেন্দ্র যখন হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন, তখন প্রকাশ কোনও প্রকাশ্য সাক্ষাৎকার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে, ১৯৮১ সালে, তিনি স্টারডাস্টকে তার প্রথম সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি ধর্মেন্দ্রের সাথে তাঁর সম্পর্ক এবং হেমার সঙ্গে তাঁর বিবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানান, হেমাকে বিয়ে করলেও স্বামীর উপর থেকে তিনি আস্থা হারাননি৷
advertisement
4/8
প্রকাশ বলেন, ‘‘তিনি (ধরম) আমার জীবনের প্রথম ভালবাসা এবং প্রথম ও শেষ পুরুষ। তিনি আমার সন্তানদের বাবা। আমি তাঁকে খুব ভালবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। যা ঘটেছে, তা ঘটেছে। আমি জানি না এর জন্য তাঁকে নাকি আমার ভাগ্যকে দোষ দেব। তবে একটা জিনিস নিশ্চিত, তিনি আমার থেকে যত দূরেই থাকুক না কেন, যাই ঘটুক না কেন, কিন্তু যদি আমার তাঁকে প্রয়োজন হয়, আমি জানি যে তিনি সেখানে থাকবেন। আমি তাঁর উপর আমার আস্থা হারাইনি। সর্বোপরি, তিনি আমার সন্তানদের বাবা।
advertisement
5/8
একই আলাপচারিতায়, প্রকাশ কৌর আরও বলেন যে ধর্মেন্দ্রকে 'নারীর হৃদয়হরণকারী' বলার কোনও অধিকার মানুষের নেই৷ কারণ তিনি তাঁর দুই স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পালন করছেন। তিনি আরও বলেন যে ইন্ডাস্ট্রির অর্ধেক হয় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করছে, অথবা বিয়ে করছে, তাহলে কেন মানুষ কেবল তার স্বামীকেই দোষারোপ করছে?
advertisement
6/8
"শুধু আমার স্বামী কেন, যে কোনও পুরুষই আমার চেয়ে হেমাকে বেশি পছন্দ করত। যখন অর্ধেক ইন্ডাস্ট্রি একই কাজ করছে, তখন কেউ আমার স্বামীকে উওম্যানাইজার বলার সাহস কীভাবে করে? সব নায়কেরই একাধৈক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এবং দ্বিতীয়বার বিয়ে হচ্ছে। আমার শ্বশুরও চলচ্চিত্র তারকাদের বিরুদ্ধে। আমি জানি তাঁর ছেলেও একজন অভিনেতা, কিন্তু বাবুজি কখনওই চাননি যে তাঁর ছেলে একজন ফিল্মস্টার হোক।"
advertisement
7/8
প্রকাশ আরও জানান যে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ের পর তিনি নিরাপত্তাহীনতার শিকার হননি৷ কারণ ধর্মেন্দ্র তাঁর সমস্ত কর্তব্য পালন করেছিলেন। তিনি তাঁকে একজন স্নেহশীল বাবা এবং একজন যত্নশীল স্বামী হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি তাঁর পরিবারের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন। বিরল কথোপকথনে, প্রকাশ আরও উল্লেখ করেন যে সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে সত্ত্বেও, অভিনেতা নিয়মিত প্রকাশ ও তাঁদের সন্তানদের কাছে আসতেন এবং দায়িত্বপালনকে গুরুত্ব দিতেন৷
advertisement
8/8
ধর্মেন্দ্র এবং প্রকাশ কৌরের বিবাহিত জীবন বয়ে চলে ৭১ বছর ধরে৷ দীর্ঘ এই সাত দশক ধরে প্রকাশ সর্বদা তাঁর স্বামীর শক্তির উৎস হয়ে উঠেছেন এবং কখনও তাঁর গভীর ভালবাসার মানুষটির প্রতি কোনও তিক্ততা প্রকাশ করেননি।