পরকীয়ার জন্যই কি ভেঙেছিল চিত্রাঙ্গদার ১৩ বছরের দাম্পত্য? দেখুন লাস্যময়ীর ভাইরাল ছবি

তিনি মোহময়ী সুন্দরী, তিনি লাস্যের শেষ কথা, চুম্বকের মতো তাঁর আকর্ষণ...নীল সিক্যুইন-এর কাজ করা লং গাউনে বাজিমাত চিত্রাঙ্গদা সিং-এর

চিত্রাঙ্গদার বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীতে। সুন্দরী নিজে প্রথমে মডেলিং, তারপর কেরিয়ার শুরু করেন অভিনয় জগতে

চিত্রাঙ্গদার জন্ম ১৯৭৬ সালের ৩০ অগাস্ট রাজস্থানের যোধপুরে। বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন, তাই শৈশব কেটেছে দেশের বিভিন্ন শহরে

মেরঠের সোফিয়া গার্লস স্কুলের পরে চিত্রাঙ্গাদার পড়াশোনা দিল্লির লেডি আরউইন কলেজে। তাঁর বিষয় ছিল হোম সায়েন্স।

চিত্রাঙ্গদা বলিউডে কাজ করেছেন বেছে বেছে। তাই ঝুলিতে ছবির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। ‘সরি ভাই’, ‘দেশি বয়েজ’, ‘জোকার’, ‘ইনকার’, ‘গব্বর ইজ ব্যাক’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার থ্রি’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।

চিত্রাঙ্গদার ভাই দিগ্বিজয় সিং চাহাল পেশায় গল্ফার। পরে চিত্রাঙ্গাদর জীবনও জড়িয়ে যায় এক গল্ফারের সঙ্গেই। জ্যোতি রণধাওয়ার।

চিত্রাঙ্গদা সিং এবং জ্যোতি রণধাওয়ারের বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর একই রেজিমেন্টে। সেই সূত্রে চিত্রাঙ্গদা-জ্যোতির স্কুলজীবনেই প্রথম আলাপ। প্রেম আরও পরে। পাঁচ বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন ২০০১ সালে

তেরো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০১৪ সালে। একমাত্র ছেলে জোরাওয়রের কাস্টডি পান চিত্রাঙ্গদা

গুঞ্জন শোনা যায়, একে অন্যকে সময় দিতে পারছিলেন না তাঁরা। বিয়ের পরেই সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন চিত্রাঙ্গদা। কিন্তু পরের দিকে তাঁর ব্যস্ততাই দূরত্ব তৈরি করে বলে শোনা যায়। জ্যোতি নিজেও ব্যস্ত থাকতেন বিভিন্ন টুরে।

পরিচালক সুধীর মিশ্রের সঙ্গে চিত্রাঙ্গদার ঘনিষ্ঠতাও বিচ্ছেদের কারণ বলে মনে করে অনেকে। কিন্তু পরে সেই ঘনিষ্ঠতাও ভেঙে যায়।