ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকায় গোটা ভারতে সপ্তম, ফিজিক্সে অলিম্পিয়াড, অভিনেতাই নয়, ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিলেন সুশান্ত..
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
অসম্পূর্ণই রয়ে গিয়েছিল তাঁর ডিগ্রি ৷ ঠিক যেভাবে নিজের গল্প অসম্পূর্ণ রেখেই মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই সব মায়া কাটিয়ে জনপ্রিয়তার শিখর থেকেই নিলেন বিদায় ৷ বিদায় সুশান্ত সিং রাজপুত....
advertisement
1/7

বলিউডি যাত্রা শুরু না হলে হয়ত অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে দারুণ কিছু করে দেখাতেন সুশান্ত ৷ পড়াশুনায় বরাবরি ক্লাসের প্রথম সারিতে ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত ৷ তাঁর চোখধাঁধানো অ্যাকডেমিক রেকর্ড যেকোনও পড়ুয়ার কাছেই ঈর্ষণীয় ৷ কিন্তু ওই যে কথায় বলে না অভিনয়ের নেশা.. শো-বিজের সেই নেশার টানেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয় জগতের সিঁড়ি চড়া শুরু ৷ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকায় গোটা ভারতে সপ্তম হওয়া ছেলেটা অবলীলায় ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার সুযোগ হাত ছাড়া করেছিলেন অভিনয় জগতে ছোট একটা কাজের টানে ৷
advertisement
2/7
পটনায় জন্ম, পূর্ণিয়ায় ছিল সুশান্তের বাড়ি ৷ পটনায় সেন্ট কেরিয়ান হাই স্কুল থেকে বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার পরই দিল্লি পাড়ি ৷ দ্বাদশের পড়াশুনা দিল্লির কুলাচি হংসরাজ মডেল স্কুল থেকে ৷ এরপর আসে কেরিয়ার স্ট্রিম বেছে নেওয়ার সুযোগ ৷ বাড়ির লোকের ইচ্ছা মতো ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করার কথা ভাবেন সুশান্ত ৷
advertisement
3/7
দেশের মোট ১১টি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত ৷ এর মধ্যে ছিল ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস-এর মতো পরীক্ষায় ৷ দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় গোটা ভারতে সপ্তম স্থান অধিকার করার পর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনার জন্য ভর্তি হন দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ৷
advertisement
4/7
এখানেই শেষ নয়, ফিজিক্সে ন্যাশনাল অলিম্পিয়াডে বিজয়ী হন রাজপুত ৷
advertisement
5/7
শুধু পড়াশুনাই নয়, প্যাশনেট ডান্সারও ছিলেন সুশান্ত ৷ কলেজের অনুষ্ঠানে লম্বা-সুঠাম গড়নের সুশান্তের নাটকের পারফরমেন্স ও নাচের কারণে অনুরাগীর সংখ্যাও কম ছিল না ৷ বন্ধুদের উৎসাহেই সাহস করে ভর্তি হয়েছিলেন শামক দাভরের ডান্স ক্লাসে ৷ অভিনয়ের তালিম নিতে কলেজে পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যারি জোন্সের ড্রামা ক্লাসেও ভর্তি হন সুশান্ত ৷ সেখানে থাকতে থাকতেই থিয়েটারের প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে সুশান্তের ৷
advertisement
6/7
নাচ, থিয়েটারের সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কঠিন পড়াশুনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না ৷ সুশান্ত বুঝতে পারেন যেকোনও একটা বেছে নিতে হবে তাঁকে ৷ ততদিন শামকের সঙ্গে স্টেজ শো ও ব্যারি স্যারের ক্লাস তাঁকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে ৷ শিক্ষকদের ব্লু আইড বয় ততদিনে বুঝেছেন, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনই তাঁর জীবন ৷ এই জীবনটাই তো তিনি চেয়েছেন ৷
advertisement
7/7
আর পিছন ফিরে দেখা নেই ৷ যে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির জন্য রাতের পর রাত জেগে পডা়শুনা ৷ এক টানে সব পিছনে ফেলে রূপোলি দুনিয়ার ডাকে ফাইনাল ইয়ারেই ছাড়লেন কলেজ ৷ অসম্পূর্ণই রয়ে গিয়েছিল তাঁর ডিগ্রি ৷ ঠিক যেভাবে নিজের গল্প অসম্পূর্ণ রেখেই মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই সব মায়া কাটিয়ে জনপ্রিয়তার শিখর থেকেই নিলেন বিদায় ৷ বিদায় সুশান্ত সিং রাজপুত....