'রিয়া-সুশান্ত একসঙ্গে বসেই গাঁজা খেত', দাবি অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদির

সিবিআই জেরায় বিস্ফোরক সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদি। তাঁর দাবি, সুশান্ত এবং রিয়া একসঙ্গে বসেই গাঁজা খেতেন। সিবিআই জেরায় শ্রুতি জানান, তিনি নিজের চোখে সুশান্ত ও রিয়াকে একধিকবার বাড়ির ছাদে বসে একসঙ্গে গাঁজা খেতে দেখেছেন!

শ্রুতি জানান, শুধু সুশান্ত আর রিয়াই নন, তাঁদের সঙ্গে গাঁজা খেতেন রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা-ও!

শ্রুতি নিজের চোখে রিয়া চক্রবর্তীকে গাঁজা খেতে দেখেছেন, অথচ একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে রিয়া জানিয়েছিলেন, তিনি কোনওদিনই মাদক নেননি! এও বলেন, তিনি রক্তপরীক্ষা করাতেও রাজি! রিয়ার বক্তব্যে সুশান্ত অনুরাগীদের অভিযোগ, রিয়া জেনেবুঝেই রক্ত পরীক্ষার কথা বলেছিলেন, কারণ তিনি ভাল করেই জানতেন, রক্তে খুব বেশিদিন ড্রাগ-এর নমুনা স্থায়ী হয় না! রিয়া এও জানান, তিনি মাদক না নিলেও, সুশান্ত গাঁজা খেতেন! তিনি নাকি বারবার চেষ্টা করেছেন সুশান্তকে গাঁজার নেশা থেকে দূরে রাখার।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের গন্ধ পায় ইডি! ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস অর্থাৎ ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। সন্দেহের সূত্রপাত কিছু হোয়াটসঅ্যাপ থেকে। সেগুলো বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল।

রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের মধ্যে কিছু মেসেজ বিনিময় হয়েছিল যেখানে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। ‘ডোবি’, ‘ব্ল্যাকবেরি কুশ’ প্রভৃতি জিনিস আনা-নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন রিয়া ও শৌভিক । ব্ল্যাকবেরির ছবিও পাঠানো হয়েছিল । এগুলি আসলে মাদক মেশানো সিগারেট ।