Bollywood Actrss Death Reason: প্রেমে একজনকেই বিয়ের প্রস্তাব, ‘না’ বলায় ‘প্রেম যোগিনী’ হয়েই কাটে, মৃত্যুর কারণও সেই হৃদয় থেকেই এল

মুম্বই: বলিউডের এক সময়ের সিলভার স্ক্রিন কাঁপানো গায়িকা-নায়িক সুলক্ষণা পণ্ডিত ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। ৭১ বছর বয়সে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার ভাই এবং সঙ্গীতশিল্পী ললিত পণ্ডিত নিশ্চিত করেছেন যে সুলক্ষণা পণ্ডিত আর আমাদের মধ্যে নেই। সুলক্ষণা পণ্ডিতের মৃত্যুর কারণ কী তা জেনে নিন।

ললিত পণ্ডিত সর্বভারতীয়  মিড-ডে-র সঙ্গে তাঁর বোন সুলক্ষণা পণ্ডিতের মৃত্যুর কারণ জানিয়েছেন৷  তিনি বলেন, "তিনি (সুলক্ষণা পণ্ডিত) আজ রাত ৮টা নাগাদ মারা গেছেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।" তিনি আরও জানিয়েছেন, ৭ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

সুলক্ষণা পণ্ডিত ১৯৭০-র দশকে একজন বলিউড তারকা ছিলেন। এই অভিনেত্রী তাঁর অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর চমৎকার গানের জন্যও পরিচিত ছিলেন। তিনি গায়িকা ও অভিনেত্রী বিজয়েতা পণ্ডিতের বোন ছিলেন।

তিনি ১৯৫৪ সালের ১২ জুলাই ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নয় বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৭ সালের "তকদির" ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে "সাত সমন্দর পার সে" গানটি গেয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

১৯৭৬ সালে সংকল্প ছবির "তু হি সাগর তু হি কিনারা" গানের জন্য এই অভিনেত্রী ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে উলঝান ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। কথিত আছে যে সেই সময় এই অভিনেত্রী বলিউড সুপারস্টার সঞ্জীব কুমারের প্রেমে পড়েছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, এবং তিনি কখনও বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন।

রাজেশ খান্না-বিনোদ খান্নার সঙ্গে কাজ করেছেনসুলক্ষণা পণ্ডিত "হেরা ফেরি," "ওয়াক্ত কি দিওয়ার," "আপনপন," এবং "খানদান" সহ অসংখ্য হিট ছবিতে উপস্থিত হয়েছেন। বলিউডে তার সময়কালে, তিনি রাজেশ খান্না, জিতেন্দ্র, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর এবং শত্রুঘ্ন সিনহার মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন।

তার শেষ প্লেব্যাক গানটি ছিল ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল ছবিতে। এটি সুর করেছিলেন তার ভাই যতীন এবং ললিত।