Bollywood Story: ১৫ বছর বয়সে বিয়ে, ১৭-এ মা, নিজের মেয়ের মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করতে হয়েছিল তাঁকে! মর্গে পঁচেছিল, দেখতে দেওয়া হয়নি
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
জানা যায়, তাঁর মেয়ে এক সময় এতটাই অসুস্থ ছিলেন এবং চূড়ান্ত কষ্ট পাচ্ছিলেন, তখন মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করেছিলেন তিনি৷
advertisement
1/10

সিনেমায় কাজ করার জন্য অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখেন৷ সত্তর-আশির দশকের এমন একাধিক অভিনেত্রী ছিলেন, যাঁরা শুরু থেকেই বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ, তাঁর ফ্যানেরা ঘুণাক্ষরেও তা জানতে পারতেন না৷ তেমনই এক বাঙালি অভিনেত্রী, যিনি মুম্বইয়ে গিয়েও বলিউডে কাঁপিয়ে অভিনয় করেছেন, একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কখনও অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে তো কখনও রাজেশ খান্নার বিপরীতে রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷
advertisement
2/10
শুধু কম বয়সে বিয়েই নয়, প্রথম সন্তানকে নিয়েও বৃদ্ধ বয়সে অপরিসীম যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে৷ অথচ, পরদায় কখনও তাঁর মুখ থেকে হাসি বিলীন হশুধু কম বয়সে বিয়েই নয়, প্রথম সন্তানকে নিয়েও বৃদ্ধ বয়সে অপরিসীম যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে৷ অথচ, পরদায় কখনও তাঁর মুখ থেকে হাসি বিলীন হয়নি কখনও৷য়নি কখনও৷
advertisement
3/10
জানা যায়, তাঁর মেয়ে এক সময় এতটাই অসুস্থ ছিলেন এবং চূড়ান্ত কষ্ট পাচ্ছিলেন, তখন মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করেছিলেন তিনি৷
advertisement
4/10
মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত জীবন সুখের হলেও সন্তানের জন্য কষ্ট পেতে হয়েছিল তাঁকে৷ সঙ্গীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছেলের জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির৷ সেই সময় তিনি ক্লাস টেনে পড়তেন। বিয়ের পরেই তিনি অভিনয়ে যোগ দেন। ১৭ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের মা হন এবং ৮ বছর পর দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তাঁর বড় মেয়ের নাম পায়েল এবং ছোট মেয়ের নাম মেঘা।
advertisement
5/10
মৌসুমির বড় মেয়ে পায়েলের বিয়ে হয়েছিল একজন ব্যবসায়ীর সাথে। ২০১৮ সালে, মৌসুমি তাঁর মেয়ের হেফাজত চেয়ে আদালতে মামলা করেন। তখন জানা যায় যে, পায়েল বহু বছর ধরে টাইপ-১ ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত এবং সেই সময় প্রায় ৩ বছর ধরে কোমায় ছিলেন পায়েল।
advertisement
6/10
মৌসুমি তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, তিনি তাঁকে তাঁর মেয়ের সাথে দেখা করতে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন যে, তিনি তাঁর মেয়ের কষ্ট দেখতে পারছেন না এবং তাঁর শান্তিপূর্ণ মৃত্যুর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার মেয়েটা খুব মিষ্টি ছিল৷ কিন্তু যে যন্ত্রণা ওকে ভোগ করতে হচ্ছিল, তা অসহনীয়।’’
advertisement
7/10
পায়েল ২০১৯ সালে মারা যান। কিন্তু মৌসুমি তাঁর মেয়েকে শেষবারের মতো দেখতেও পাননি। তাঁর এবং তাঁর জামাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছিল যে মৌসুমিকে শেষকৃত্যে যোগ দিতেও দেওয়া হয়নি।
advertisement
8/10
মৌসুমি তাঁর জামাই এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পায়েলের চিকিৎসার বিলও পরিশোধ না করার অভিযোগ করেন। এই কারণে, পায়েলের মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে মর্গে রাখা হয়েছিল। মৌসুমি তাঁর মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য অনেক লড়াই করেছিলেন। কিন্তু পারেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আজও তাঁর পরিবার এই শোক থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি।’’
advertisement
9/10
মেয়ে চলে যাওয়ার পর মৌসুমির জীবন সম্পূর্ণ বদলে গেল। এই ধাক্কা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি তাঁর পেশাগত জীবনের উপরও বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।
advertisement
10/10
মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় ১৯৭০ সালে বলিউডে প্রথাগতভাবে ডেবিউ করেন৷ কিছুদিনের মধ্যেই মানুষ তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করেন। মৌসুমি অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র, বিনোদ মেহরার মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। মনোজ কুমারের সঙ্গে 'রোটি কাপড়া ওউর মাকান', বিনোদ মেহরার সঙ্গে 'অনুরাগ', 'বেনাম' এবং অমিতাভের সঙ্গে 'মঞ্জিল'-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে 'বালিকা বধূ' নামে বাংলা ছবি দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মৌসুমি।