Guess the Actor: মাত্র ৪৭ বছরে অকালে মৃত্যু...! নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন 'এই' বলিউড সুপারস্টার, হুবহু মিলে যেতেই শোকস্তব্ধ বলিউড...

s সঞ্জীব কুমার একবার বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করার বিষয়ে তার নীরবতা ভেঙেছিলেন। তিনি বললেন কেন তিনি এই ধরনের ভূমিকা বেছে নেন। অন্যদিকে, তিনি বড় বড় নায়িকাদের সঙ্গেও ছবি করেছিলেন। তিনি ছিলেন সেই সময়কার সকলের প্রিয় তারকা।

বিখ্যাত উপস্থাপকের সঙ্গে কথোপকথনে একবার সঞ্জীব কুমার বলেছিলেন, 'আমি ৫০ বছরের বেশি বাঁচতে পারব না, ঠিক যেমন আমার পরিবারের কোনও পুরুষরা বাঁচেননি। এই কারণেই আমি এই ভূমিকাগুলির মাধ্যমে এই পর্যায়টি উদযাপন করছি।' কিন্তু দুঃখের বিষয় হল,এটি সত্য প্রমাণিত হয় এবং অভিনেতা মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান।

সঞ্জীব কুমার তাঁর উজ্জ্বল কেরিয়ারের জন্য অনেক পুরষ্কার জিতেছিলেন, এবং জাতীয় পুরষ্কার জিতেছিলেন ৷ 'শোলে'-ছবিতে ঠাকুরের চরিত্রটি অভিনেতার কেরিয়ারে একটা মাইলফলক, যা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর হৃদরোগ ছিল এবং আমেরিকায় একবার বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮৫ সালে তিনি আবারও হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।

অভিনেতার পরিবারের কেউই ৫০ বছরের বেশি বাঁচেনি।এটাও একটা কাকতালীয় ঘটনা যে সঞ্জীব কুমারের দুই ভাই ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি। এক ভাই নিকুল তার আগে মারা যান এবং অন্য ভাই কিশোর তার কয়েক মাস পরে মারা যান। এই কারণেই সঞ্জীব কুমার ভয় পেয়েছিলেন যে তিনিও বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না।

তাঁর মৃত্যুর পর কিছু চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। প্রফেসর কি পাডোসানের মতো একটি ছবি ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়, তার মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর, এবং যেহেতু সেই ছবি অসম্পূর্ণ ছিল, তাই পরে এর গল্প পরিবর্তন করতে হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে শেখর সুমন ও পদ্মিনী কোলহাপুরিকে৷

সঞ্জীব কুমার তার কেরিয়ারে শর্মিলা ঠাকুর, আশা পারেখ এবং রেখার মতো বড় বড় অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। মমতাজের সঙ্গে তার জুটিও হিট হয়েছিল। তাদের দু'জনেরই 'খেলনা' ছবিটি সেই সময়ে ব্লকবাস্টার হয়েছিল। যা বক্স অফিসে অনেক রেকর্ড ভেঙেছে।