Karishma Kapoor's Husband's Death Reason: স্বাভাবিক নিয়মে হার্ট অ্যাটাক হয়নি, শেষ সময়ে অসম্ভব কষ্ট, ফেটে গিয়েছিল রক্তনালী-ধমনী, রক্ত পৌঁছচ্ছিল না হার্টে, করিশ্মা কাপুরের এক্স স্বামীর মৃত্যুর ভয়ানক বিবরণ

কলকাতা: বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। ইংল্যান্ডে পোলো খেলার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কিন্তু হৃদরোগটি স্বাভাবিক কারণে আসেনি৷ একেবারে অন্য কারণে হয়েছে হার্ট অ্যাটাক৷ যা শুনলে ভয়ে আতঙ্কে শিউরে উঠবেন৷   নতুন বিষয় সামনে আসছে। পোলো খেলার সময় তিনি একটি মৌমাছি গিলে ফেলেন এর ফলেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

জানা যাচ্ছে লন্ডনের একটি মাঠে যখন তিনি পোলো খেলছিলেন, তখন হঠাৎ একটি মৌমাছি তার মুখে ঢুকে পড়ে। সম্ভবত মৌমাছিটি তাকে মুখের ভেতরে কামড় দিয়েছিল। এবং এটিই হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মৌমাছির কামড়ের ফলে খুব যন্ত্রণা হয়। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে, তবে মৌমাছির কামড়ের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার এটিই সম্ভবত প্রথম ঘটনা। শালিমার বাগের ফোর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডঃ নিত্যানন্দ ত্রিপাঠিকে সরাসরি উত্তর দিয়েছেন মৌমাছির কামড়ে কি হার্ট অ্যাটাকের হতে পারে?

মৌমাছির কামড়ের ফলে এভাবেই হৃদরোগ হয়।ডঃ নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী বলেন, শরীরে অ্যানাফিল্যাক্সিস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী যেকোনো কিছু হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। যখনই হঠাৎ করে আমাদের মুখে অপ্রীতিকর কিছু প্রবেশ করে, তখন এটি অ্যানাফিল্যাক্সিস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে, যদি হঠাৎ করে মুখের ভেতরে কিছু প্রবেশ করে যেমন পোকামাকড়, মৌমাছি, খাবার বা রাবার ইত্যাদিতে অ্যালার্জিক পদার্থ থাকে, তাহলে এই পরিস্থিতিতে জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য শরীরে অনেক ধরণের রাসায়নিক নির্গত হয় যা যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে জীবন বাঁচায়। Photo- Representative

কিন্তু যদি এই রাসায়নিকের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে এটি রক্তনালী বা ধমনীগুলিকে ছিঁড়ে ফেলে যার ফলে রক্ত ​​হৃদপিণ্ডে পৌঁছায় না এবং হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওর হয়। ডাঃ নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী বলেন যে সঞ্জয় কাপুরের ক্ষেত্রে সম্ভবত এটিই ঘটেছে। Photo- Representative

উদাহরণস্বরূপ, যদি মৌমাছি মুখে ঢুকে যেত, তাহলে তা কামড়াত। প্রথমত, শরীর এই অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে পারত না। দ্বিতীয়ত, এই পরিস্থিতিতে, জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য নিঃসৃত অ্যাড্রেনালিন হরমোন প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হত, যার ফলে ধমনীর প্লাক ফেটে যেত এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হত। Photo- Representative

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধিডঃ নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী বলেন, যখনই আমাদের শরীর কোনও প্রাণঘাতী বিপদের মুখোমুখি হয়, তখনই এমার্জেন্সি রিঅ্যাকশনে হরমোন অ্যাড্রেনালিন এবং নোরড্রেনালিন নিঃসৃত হয়। Photo- Representative

যেহেতু একটি মৌমাছি সঞ্জয় কাপুরের মুখে প্রবেশ করেছিল, তাই তিনি অসম্ভব ব্যথায় ভুগছিলেন এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণেই এই দুটি হরমোন হঠাৎ এবং খুব দ্রুত নিঃসৃত হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত নিঃসরণের কারণে, এটি হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ অনেক বেড়ে যেত। এর ফলে ধমনীতে জমাটবদ্ধ প্লাক ফেটে যেত এবং সেখানে রক্ত ​​জমাট বাঁধত। Photo- File

এর ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেত। এর ফলে হৃদরোগ হত। তাহলে, মৌমাছি কোথাও কামড়ালে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? ডাঃ নিত্যানন্দ ত্রিপাঠী বলেন, এটি বিরল হতে পারে কারণ যখন মৌমাছি অন্য কোথাও কামড়ায়, তখন শ্বাসকষ্ট হয় না। এটি একটি খুব বিরল ঘটনা যেখানে মৌমাছি মুখের ভেতরে প্রবেশ করে এবং গলার ভেতরের অংশে কামড়ায়। এটা খুবই বেদনাদায়ক। Photo- File