একটি আপেল... মহৌষধি, সর্বরোগহরা! ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদ, গাঁটের ব্যথারও অলৌকিক ওষুধ

যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের সাধারণত মিষ্টি খেতে নিষেধ করা হয়। এদিকে কিছু কিছু ফলও চিনির মতো মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীরা সেগুলি খেতে পারেন না। কিন্তু মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা তো হতেই পারে! তাহলে তখন উপায়? আসলে এমন একটি ফল রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীরাও কোনও টেনশন ছাড়াই খেয়ে নিতে পারেন। আর সেই ফলটি হল আপেল।

এই ফলের গুণাগুণের কথা কে না জানেন! আসলে স্বাস্থ্যের জন্য আপেলের উপকারিতা প্রচুর। একাধিক রোগের উপশম করতে সহায়ক এই ফল। আর বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আপেল।

এমনকী সকলের ঘরে ঘরেই দেখা যায় এই ফল। প্রচলিত রয়েছে যে, দিনে একটা করে আপেল খেলে বিভিন্ন রোগভোগ থেকে দূরে থাকা যায়। অর্থাৎ প্রতিদিন পাতে আপেল রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব!

উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের আঞ্চলিক আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মেডিকেল অফিসার ডা. সুরেশ কুমার সাচান Local 18-এর কাছে বলেন যে, ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অথচ তাঁদের আপেল খেতে কোনও রকম সমস্যা হবে না। অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগীরা ফলের মধ্যে শুধু আপেলই খেতে পারেন।

আসলে আপেলের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম। আপেল একটি অলৌকিক ফল। যার মধ্যে নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই প্রতিদিন আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

আপেল শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই নয়, বরং সকলের জন্যই সমান ভাবে উপকারী। এই ফল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপেলের মধ্যে ফ্রুক্টোজও পাওয়া যায়। আবার আপেল আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্যও জারুণ উপযোগী। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার হজমশক্তির উন্নতির জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়।

এখানেই শেষ নয়, দেহের হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে আপেল। বিশেষ করে শীতের মরশুমে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা কিংবা হাড়ের ব্যথা অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় বারবার হাঁটুতে যন্ত্রণা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপেল খাওয়া আবশ্যক।

শুধু আপেল খাওয়াই নয়, সুস্থ থাকার জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ব্যায়াম করারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। আসলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে কোনও রোগও বাসা বাঁধতে পারে না।