মকবুল থেকে রুহদার, থেকে গেলেন ইরফান, ছাপোষা এক কিংবদন্তির ঘরে-বাইরের ছবি
- Published by:Teesta Barman
Last Updated:
Irrfan Khan Birth Anniversary: যাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অপরিচিত কত শত মানুষ কেবল একটা কথাই বলেছিলেন, "যেন মনে হচ্ছে কাছের মানুষ চলে গেলেন।" ঠিক এভাবেই ইরফান যেন ঘরের মানুষটি হয়ে উঠেছিলেন। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী।
advertisement
1/13

আজ তাঁর বয়স হত ৫৬ বছর৷ ৭ জানুয়ারি। আর ২৯ এপ্রিল। এই দু'টি তারিখ যেন দেশের একাংশ ভুলতে চাইলেও পারবেন না। একটিতে তিনি এসেছিলেন, অন্যটিতে তিনি চলে গেলেন। একটি আনন্দের, একটি যন্ত্রণার। তিনি ইরফান খান।
advertisement
2/13
যাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অপরিচিত কত শত মানুষ কেবল একটা কথাই বলেছিলেন, "যেন মনে হচ্ছে কাছের মানুষ চলে গেলেন।" ঠিক এভাবেই ইরফান যেন ঘরের মানুষটি হয়ে উঠেছিলেন। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী।
advertisement
3/13
মনে পড়ে যাচ্ছে মকবুলের কথা। মনে পড়ে যাচ্ছে রুহদারের কথা। তাঁরই স্মৃতিচারণে মগ্ন হলেন 'কালা' অভিনেতা, তাঁর বড় ছেলে, বাবিল।
advertisement
4/13
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি দীর্ঘ লেখা লেখেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখার হাতও ভাল বাবিলের। আর সেই নৈপুণ্যেই বাবাকে নিয়ে লেখা লিখলেন তিনি। সঙ্গে দিলেন ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের অদেখা ছবি।
advertisement
5/13
'কিছু প্রশ্ন সারারাত জাগিয়ে রাখে আমায়। যা তখন জিজ্ঞাসা করিনি। যা আর জিজ্ঞাসা করতেও পারব না। আমার এই এত অনুসন্ধান, সেগুলি আমার নিজের ভিতরেই নিজেকে নিভিয়ে দেওয়ার জন্য রয়ে গিয়েছে, ঠিক আছে, আমি নিজেই এর উত্তর খুঁজব। যদিও তোমার হাসির কথা মনে পড়ে। মনে হয় না, এটার জন্য নির্দিষ্ট কোনও উত্তর হয়।'
advertisement
6/13
ইরফান, তাঁর বাঙালি স্ত্রী সুতপা সিকদার, দুই ছেলে বাবিল ও অয়ন। এই ছিল চারজনের ছাপোষা সুখী সংসার। কিন্তু বাবাকে হারানোর পর বাবিল নিজেকে ঘরে বন্ধ করে নেন। প্রায় দেড় মাস ওই ঘরের বাইরে পা রাখেননি। আজও বাবার স্মৃতি আঁকড়ে রয়েছেন তিনি।
advertisement
7/13
অনেক দিন পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন, তাঁর বাবা বোধহয় ফিরে আসবেন। লম্বা একটা শ্যুটিংয়ে বাইরে গিয়েছেন, ফিরে আসবেন। যেদিন তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে তাঁর বাবা নেই আর, সেদিন বুঝতে পারেন, সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়েছেন বাবিল।
advertisement
8/13
ইরফান-সুতপার পরিচয় আটের দশকের শেষে, দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়৷ ক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠী থেকে তাঁরা হয়ে ওঠেন একে অন্যের ভরসার পরিপূরক৷ তাঁদের পুরনো এই ছবিটি তুলেছেন বাঙালি সিনেমাটোগ্রাফার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
9/13
শুধু স্ত্রী নন, সুতপা ছিলেন তাঁর শ্রেষ্ঠ বন্ধুও৷ একসঙ্গে কাজও করেছেন তাঁরা৷ পর্দার কাজ হোক বা থিয়েটার। প্রথম থেকেই সুতপা চেয়েছিলেন সংলাপ লিখবেন, প্রযোজনা করবেন৷ ইরফানের ইচ্ছে ছিল অভিনয়ই৷ ইরফানের ‘করীব করীব সিঙ্গল’ ও ‘মাদারি’ ছবির প্রযোজক ছিলেন সুতপা৷
advertisement
10/13
কিংবদন্তি অভিনেতা হয়েও সাদামাঠা জীবন চেয়েছিলেন ইরফান। বিভিন্ন সময়ে বাবিলের শেয়ার করা কিছু ছবিতে তা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নিজের লেখার টেবিল যে নিজেই বানাতে পছন্দ করতেন, তা ধরা পড়ে এই ছবিতে।
advertisement
11/13
আজ তাঁর বড় ছেলে, অভিনেতা বাবিল খানের ইনস্টাগ্রাম জুড়ে কত স্মৃতি! বাবার সঙ্গে তাঁর মুহূর্ত, তাঁর গোটা পরিবারের ঝলক কত মানুষের চোখ ভিজিয়ে দিচ্ছে। আর পাঁচটা সাধারণ পরিবারের ছোঁয়া ছবিগুলিতে।
advertisement
12/13
২০২০ সালের এপ্রিলে লক্ষ লক্ষ ভক্তের হৃদয় কাঁপিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ইরফান। সুতপার এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ইরফানের শেষশয্যায় তাঁকে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন। ইরফানের প্রিয় গান।
advertisement
13/13
সুতপার কথায়, 'ঝুলা কিন্নে ডালা রে, আমরাইয়া, ঝুলে মেরে সাইয়াঁ, লু ম্যায় বালিয়াঁ... উমরাও জানের গান, লগ যা গলে কে ফির ইয়ে হসি রাত, আজ জানে কি জিদ না করো গজলটা... এবং কয়েকটা রবীন্দ্রসঙ্গীত। ও জ্ঞানে ছিল না, কিন্তু ওর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েছিল'।