Ahona Dutta: মা চেয়েছিল সিরিয়ালের কাজ হারাই, প্রেমিক ডিভোর্সি বলে এত কথা শুনব কেন? অকপট ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মিশকা

‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে সূর্য-দীপার জীবনে ঝড় তুলে দিয়েছে মিশকা। আর এখন সেই মিশকা ওরফে অভিনেত্রী অহনা দত্তের জীবনে প্রলয় ডেকে এনেছেন তাঁরই মা। মেয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি।

২০ বছরের অহনা নিজের মায়ের সঙ্গে এক ছাদের তলায় আর থাকতে পারেন না। মেকআপ আর্টিস্ট দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বেশ কিছু মাস আগে। নিজের প্রেমে ব্যাপারে প্রথম থেকেই অকপট অহনা।

সদ্য মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন অহনা। সম্পর্ক তিক্ত হয়ে গেলেও অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পেয়ে মায়ের কথাই প্রথমে মনে হয়েছে তাঁর। সেখানেই নেটিজেনদের যাবতীয় কটাক্ষ। মায়ের কাছে যেন ফিরে যান অহনা, সেই পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।

অহনা নিউজ18 বাংলাকে জানান, দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও লোকে তাঁকে ‘বিবাহিত পুরুষ নতুন প্রেম করছে’ বলে নিন্দা করছেন। শুধু তা-ই নয়, ‘সংসার ভাঙা’র অভিযোগ তোলা হচ্ছে অহনার বিরুদ্ধে।

কিন্তু ৬ মাস আগে অহনা তাঁর মাকে দীপঙ্করের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সব কিছুই জানিয়েছিলেন বলে জানালেন। অহনার কথায়, ‘‘দীপঙ্করের প্রাক্তন জীবন সম্পর্কে সবই জানতাম। যার সংসার আগেই ভেঙেছে, আমি নতুন করে তা ভাঙব কী করে?’’

‘‘আমি জানতাম, মা সম্পর্কটা সহজ েমনে নেবে না, তবে এতটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসবে, কল্পনাও করিনি। তাই ৬ মাস আগে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হই।’’ অহনার বাড়িতে তাঁর মা, দাদু আর দিদা থাকেন। কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।

বাবার সঙ্গে বহু দিন আগেই ছাড়াছাড়ি হয়েছে অহনার মায়ের। চারজনের সংসার ছিল এতদিন। সেখান থেকে সব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে অহনাকে। মাকে ছেড়ে থাকতে তাঁর প্রবল যন্ত্রণা হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বাড়ি ফেরার উপায় নেই। অহনার কথায়, ‘‘নিউজ18 বাংলার মাধ্যমে আমার অনুগামীদের বলতে চাই, সকলেই বলছেন, মায়ের কাছে ফিরে যাও, কিন্তু তাঁরা তো জানেন না, কী কী সহ্য করেছি। সব কথা জানাতেও চাই না।’’

‘‘মাকে নিয়ে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না, তবে মা এমনও পদক্ষেপ করেছিল, যাতে আমার বা দীপঙ্করের সিরিয়ালের কাজ চলে যাই। ঠিক আছে, যা ভাল মনে হয়েছে মা করেছে। কিন্তু আপনারা দয়া করে আমাকে দয়া করা বন্ধ করুন।’’

‘‘গত ১৯ বছর ধরে মায়ের থেকে কিছু না কিছু তো শিক্ষা পেয়েছি। আপনাদের শিক্ষা বা বিচারের প্রয়োজন নেই। পারলে ঠিকই ফিরে যেতাম। কে-ই বা চায় মায়ের থেকে দূরে থাকতে বা উঠতে বসতে নেটিজেনদের ট্রোল সহ্য করতে?’’

অহনার কথায় জানা গেল, তাঁদের সম্পর্কের কাথা প্রকাশ্যে আসতেই দীপঙ্করের প্রাক্তন স্ত্রী-ও হঠাৎই নানাবিধ পোস্ট করতে শুরু করেন মেকআপ আর্টিস্টের বিরুদ্ধে। অহনার প্রশ্ন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পরেই এত অভিযোগ এল হুট করে?’’

দীপঙ্করের পরিবার অহনার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। বারুইপুরে দীপঙ্করের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে যান তিনি। অহনার কথায়, ‘‘মায়ের পোস্টের পর দীপঙ্করকে সকলে মিলে খলনায়ক বানিয়ে দিয়েছে।’’

‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও দোষ চোখে পড়েনি আমার। যদি ৬০ বছর বয়সে গিয়ে চোখে পড়ে, তখন না হয় জানাব সবাইকে। তা ছাড়া ততদিন বাঁচব কিনা তা-ই বা কে জানে! ততদিন পর্যন্ত ভালবাসার মানুষের সঙ্গে ভালই আছি আমি।’’

‘‘আমি কোনওদিনই চাইনি চর্চার কেন্দ্রে আসি। কিন্তু এত লোকের এত কথায় আমাকে মুখ খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমি চাই মানুষ যেন আমার কাজের উপরই মন দেন। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত কাঁটাছেঁড়া না করা হয় যেন।’’