Anupam Roy and Piya Chakraborty: আজকের দিনেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অনুপম-পিয়া..পুরনো ছবি, টুকরো হাসি আজ শুধুই ফেলে আসা মুহূর্তের কোলাজ

একজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী৷ অন্য জন প্রেসিডেন্সির৷ দু’জনের দেখা হয়েছিল শহরের নাগরিক ভিড়ে, কোনও এক বসন্ত দিনে৷ আলাপ থেকে বন্ধুত্ব এবং বন্ধুত্ব থেকে প্রেম৷ সেই প্রেমের অনুঘটক ছিল চন্দ্রবিন্দু-র গানের প্রতি দু’জনের ভালবাসা৷

তার পর এমনই এক অঘ্রাণী দিনে গাঁটছড়া বাঁধা৷ ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর৷ সে বছরই জানুয়ারি মাসে অনুপম এবং পিয়া তাঁদের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের গাঁটছড়ার বাঁধন খুলে গেল মাত্র ৬ বছরেই৷

২০২১ সালের নভেম্বরে অনুপম এবং পিয়া যৌথভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন৷ সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানান মতবিরোধ ও মাতপার্থক্যের জন্যই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত৷

বিচ্ছেদের পর তাঁরা স্বভাবতই স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকবেন না৷ কিন্তু থাকবেন ভাল বন্ধু হিসেবে৷ জানিয়েছিলেন দু’জনেই৷

আজ পিয়া চক্রবর্তী ঘরনি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের৷ অনুপমের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় থেকেই পিয়ার বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাচ্ছিল৷ কিছু দিন আগে তাঁর সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন অনুপমের প্রাক্তন৷

অনুপম পিয়ার সাতপাকে বাঁধা পড়ার দিনে আজ তাঁদের ছবিগুলি ডিজিটাল দেওয়ালে রয়ে গিয়েছে ফেলে আসা মুহূর্তের জলছবি৷ একইভাবে ডিজিটাল স্রোতে ভাসছে তাঁদের পুরনো সাক্ষাৎকারের কোলাজ৷

সংবাদমাধ্যমে পিয়া বলেছিলেন কলকাতার কোলাহলে তাঁদের দেখা হয়েছিল বসন্তবেলায়৷ বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর গানের প্রতি ভালবাসাতেই গাঢ় হয়েছিল একে অন্যের প্রতি টান৷

পুরনো সাক্ষাৎকারে পিয়া বলেছিলেন তাঁদের প্রথম দেখার দিনের স্মৃতি অনুসরণ করেই লেখা হয়েছিল ‘বসন্ত এসে গেছে৷’

‘উড়ে যাক’ ছিল মূলত পিয়াকে গানের আদলে লেখা অনুপমের চিঠি৷ সংবাদমাধ্যমে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন পিয়া৷

পুরনো ছবি, কথার টুকরো আজ শুধুই স্মৃতি৷ জীবনবৃত্তে পিয়া অনুপম এবং পরমব্রত তিনজনই আজ ট্রোলিং-এর শিকার৷ তাঁদের চলার পথ আজ সোশ্যাল মিডিয়ার আতসকাচের নীচে৷