Actress: অপ্সরার মতো সুন্দরী, রাতারাতি বিপুল নাম-যশ অভিনেত্রীর! মাত্র ২৩ বছরে সব শেষ, ১৭ বার চাকু মারে নিজের ড্রাইভার, নায়িকার বীভত্স খুন কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
Actress Rani Padmini death: কোনও ওয়েব স্টোরি বা টানটান উত্তেজনায় ভরপুর সিনেমার গল্প নয়। এ ঘটনা একেবারে সত্যি। কয়েক বছর আগে এই নায়িকার খুন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। শিউরে ওঠা ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
advertisement
1/10

প্রথমে প্রবল অর্থকষ্ট। সিনেমার পর্দায় নামার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা সাধারণ পরিবারের যুবতীর। অবশেষে একটি ছোট্ট মিলল প্রথম সুযোগ। সৌন্দর্য‍, অভিনয় নজর কাড়ল ডিরেক্টর, প্রোডিউসারদের। এবার শুরু উত্থ্বানের গাথা। কিন্তু তারপর একদিন বাথরুমে হঠাৎ মিলল তরুণী অভিনেত্রীর লাশ!
advertisement
2/10
কোনও ওয়েব স্টোরি বা টানটান উত্তেজনায় ভরপুর সিনেমার গল্প নয়। এ ঘটনা একেবারে সত‍্যি। কয়েক বছর আগে এই নায়িকার খুন নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। শিউরে ওঠা ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
advertisement
3/10
তিনি ছিলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি পদ্মিনী। পদ্মিনী ডাবিং আর্টিস্ট ইন্দ্রা কুমারীর কন্যা ছিলেন। তার জন্ম ১৯৬২ সালে হয়েছিল। মা চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে একদিন সিনেমার খ‍্যাতনামা নায়িকা হবে।
advertisement
4/10
মেয়ের নাম ইন্দ্রা রেখেছিলেন পদ্মিনী। কারণ তিনি নৃত‍্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী পদ্মিনীর খুব বড় ভক্ত ছিলেন। তাই ইন্দ্রা মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই নাচ শেখানো শুরু করেছিলেন। মেয়ে একটু বড় হলেই স্বপ্নের উড়ান ধরতে মা-মেয়ে চলে আসেন মুম্বইতে।
advertisement
5/10
এরপরেই শুরু হল সংগ্রাম। বলিউডের সিনেমায় সুযোগ পাওয়ার জন‍্য প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বলিউডে সেভাবে মেলেনি সফলতা। ১৯৮১ সালে পদ্মিনী প্রথম সুযোগ পান মালয়ালম ছবিতে। মালয়ালম সিনেমায় ‘ভলঙ্গুম ভীণায়ম’ ছবি দিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে খড়ি।
advertisement
6/10
এরপর থেকে আস্তে আস্তে সুযোগ আসতে থাকে দক্ষিণী সিনেমায়। মাইক মোহন, কার্তি এবং রাজকুমার সেতুপতি মতো দক্ষিণের প্রথম সারীর নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছেন পদ্মিনী। পদ্মিনী কন্নড়, মালয়ালম এবং তামিল সিনেমায় মিলিয়ে প্রায় ৬০টি ফিল্মে কাজ করেছেন। দক্ষিণী ছবিতে কাজ করার সময়ই পদ্মিনী তাঁর নাম রানি পদ্মিনী করে নেন।
advertisement
7/10
ধীরে ধীরে আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হয়। চেন্নাই শহরে একটি আলিশান বাংলো কিনেছিলেন পদ্মিনী। কেনেন দামি গাড়ি। এখানে তিনি তার মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরপরেই তিনি বিজ্ঞাপন দেন যে তাঁর রাঁধুনি, ওয়াচম্যান এবং একজন ড্রাইভার প্রয়োজন।
advertisement
8/10
একদিন যখন পদ্মিনী শুটিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কোনও কারণে তার ড্রাইভার তাকে গালে চড় মারে। এরপর অভিনেত্রী তাকে তৎক্ষণাৎ চাকরি থেকে বের করে দেন। ড্রাইভারের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে।
advertisement
9/10
ড্রাইভার রাঁধুনি এবং ওয়াচম্যানের সঙ্গে অভিনেত্রীর বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করে। পরে তদন্তে জানা যায়, এই তিনজনেরই ক্রিমিন‍্যাল রেকর্ড ছিল। চুরির সময় ড্রাইভারকে দেখে ফেলেন অভিনেত্রীর মা ইন্দ্রা। এরপরেই ছুরি নিয়ে চড়াও হয় ড্রাইভার।
advertisement
10/10
মায়ের চিৎকার শুনে সেখানে পৌঁছান পদ্মিনী। ড্রাইভার অভিনেত্রীর বুকে ১৭ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই মৃত‍্যু হয় অভিনেত্রীর। চারদিন পর বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নায়িকা এবং তাঁর মায়ের মৃতদেহ।