Abhishek Chatterjee: প্রাণের মানুষ, মনের মানুষ অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, তাঁর প্রয়াণে খড়কুটোর মত কান্নায় ভাসলেন প্রিয়জনেরা
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Abhishek Chatterjee: বিনা মেঘে নেমে এলো বজ্রপাত। আচমকা সবাইকে স্তম্ভিত করে চলে গেলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
1/10

লক্ষ্মীবারের সকালেই যেন নারায়ণ-শূন্য হল ঘর। বিনা মেঘে নেমে এলো বজ্রপাত। আচমকা সবাইকে স্তম্ভিত করে চলে গেলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার জগতে পা দিয়েই নজর কেড়ে নেন অভিষেক (Abhishek Chatterjee )। নজর কেড়ে নেন তাঁর 'কার্তিকের মতো রূপ' এবং একইসঙ্গে দৃপ্ত অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে। প্রথম ছবি থেকেই নিজের স্বাতন্ত্রের স্বাক্ষর রেখেছিলেন এই অভিনেতা। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তথাকথিত 'হিরো' হতেই ময়দানে নেমেছেন তিনি।
advertisement
2/10
অচিরেই টলিউড কব্জাও করে ফেলেন এই অভিনেতা। পর্দা জুড়ে তখন দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন তাপস পাল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁদের মধ্যেই টলিপাড়ার আরও এক বিকল্প নায়ক হিসেবেই শুরু থেকে জায়গা করে নিয়েছিলেন এই অভিনেতা। একের পর এক ছবি ঝুলিতে। এমনকী, একই বছরে একাধিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। আর সব ছবিই বক্স অফিসে ছিল এককথায় সুপারহিট।
advertisement
3/10
কেরিয়ার শুরু ১৯৮৬ সালে। ছবির নাম ‘পথভোলা’। তারপর ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে একের পর এক সুপারহিট ছবি। যার মধ্যে রয়েছে, ‘অমর প্রেম’, ‘ওরা চারজন’, ‘হারাণের নাতজামাই’, ‘পাপী’, ‘তুফান’-এর মতো দারুণ সব ছবি। নব্বই দশকের শুরু থেকেই সিনেমার পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন অভিষেক।
advertisement
4/10
১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশের বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেন এই সুদর্শন অভিনেতা। যার মধ্যে ‘সিঁথির সিঁদুর’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘মায়ের আর্শিবাদ’, ‘মেজ বউ’, ‘লাঠি’, ‘আলো’, ‘চৌধুরী পরিবারে’র মতো ছবি দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে শুধু বাণিজ্যিক ছবিতেই নয়। ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘দহন’ ছবিতেও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন অভিষেক।
advertisement
5/10
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন। অথচ একটা সময় ধীরে ধীরে সিনেমার পর্দা থেকে সরে আসতে শুরু করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ভাল অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও ছবির নায়ক নন, বরং সহ অভিনেতার চরিত্রের অফার পেতে শুরু করেন তিনি। এর বিরুদ্ধে অবশ্য নিশ্চুপ ছিলেন যান অভিষেক। বিভিন্ন সময় সংবাদপত্রে এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়াও জানান টলিপাড়ার প্রিয় মিঠু দা। একবার এক সাক্ষাৎকারে টলিউডের রাজনীতির শিকার হওয়া নিয়েও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ তুলেছিলেন টলিউডের সুপারস্টারদের বিরুদ্ধেও।
advertisement
6/10
'অভিষেক চট্টোপাধ্যায়', প্রথম সারির টলিউড অভিনেতা হয়েও কখনও কিন্তু নিজেকে আলাদা করেননি স্টুডিওপাড়ার প্রিয় মুখ মিঠুদা। এককথায় ছিলেন 'মাটির মানুষ'! 'টি বয়' থেকে প্রোডাকশন ম্যানেজার থেকে সহ-অভিনেতা সকলকে একইভাবে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল কাজের বিষয়ে চূড়ান্ত পেশাদারিত্ব।
advertisement
7/10
একটা সময় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে গেলেও, অভিনয় থেকে কখনও সরে যাননি। বরং অভিনয়কে আঁকড়ে ধরেই বেঁচেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। যাত্রা, থিয়েটারের পাশাপাশি শেষ বেশ কয়েক বছর যাবৎ একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মনের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম ধারাবাহিক ‘টাপুর টুপুর’, ‘আঁচল’ এবং পরে ‘মোহর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘ইচ্ছে নদী’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউয়ে’র মতো ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন অভিষেক। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে মন জিতে নিয়েছেন তিনি। কাজপাগল মানুষটা কাজের মধ্যেই যেন নিলেন চিরবিদায়।
advertisement
8/10
প্রথম ধারাবাহিক ‘টাপুর টুপুর’, ‘আঁচল’ এবং পরে ‘মোহর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘ইচ্ছে নদী’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউয়ে’র মতো ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন অভিষেক। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে মন জিতে নিয়েছেন তিনি। কাজপাগল মানুষটা কাজের মধ্যেই যেন নিলেন চিরবিদায়।
advertisement
9/10
সারাজীবন লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন এই তিন শব্দকে জীবনের মূলমন্ত্র বানিয়ে ফেলা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বুধবার রাতে এক রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিং ফ্লোরেই অসুস্থবোধ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,বাড়ি ফিরেও হাসপাতালে যেতে চাননি তিনি। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
10/10
অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শূন্যতা নেমে এসেছে টলিউডে। অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ টলিউডের কলাকুশলীরা দীর্ঘদিনের সতীর্থরা। আজ সবার স্মৃতিতেই ভাসছেন সেই ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির হাসিমুখ যাঁকে কোনওদিন ভুলতে পারবে না টলিপাড়া।