স্নান করেন না, হাতের নখ খান, আপনার প্রিয় বলিউড তারকাদের এই খারাপ অভ্যাসগুলোর কথা জানলে রীতিমতো আঁতকে উঠবেন

খারাপ অভ্যাস আমাদের কার না থাকে! আমরা কেউ তার বাইরে নই! মনস্তত্ত্ব যেমন বলে কোনও মানুষ একেবারে নিখুঁত হয় না, এটা ঠিক তাই। ফলে, রুপোলি পর্দায় যাঁরা সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে ধরা দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও খারাপ কোনও না কোনও অভ্যাস থাকে বইকি! থাকতে বাধ্য। যতই যা-ই হোক, দিনের শেষে তাঁরাও মানুষ, আর সকলের মতো দোষে-গুণে মিলিয়েই।

কথা হল, বলিউডের তারকাদের খারাপ অভ্যাসের কথা বললেই সবার আগে আসে মাদকাসক্তির কথা। আরব সাগরে যত ঢেউ ওঠে, তার পাশে মুম্বই নগরীতে মাদকের ব্যবসাও সেরকম ছড়ানো। তার উপরে উপার্জন অগাধ, ফলে হাতে এসেও যায় সহজেই। মাদকাসক্তির জেরে বার বার এসেছেন খবরের শিরোনামে, এমন কারও মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠছে কি?

সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল তাঁর মুখ একটু বেশিই ভেসে ওঠে, আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠুক বা না উঠুক! তার কারণও আছে। বহু বছর পরে কেরিয়ার নতুন করে শুরু করেছেন ফারদিন খান। বলা হয়, কেরিয়ারের এক পর্যায়ে ফ্লপের ধাক্কা তাঁকে মাদকাসক্তির পথে নিয়ে যায়। তার জেরে যদি বা কাজ আসত, সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। রিহ্যাব তাঁকে জীবনের পথে আবার ফিরিয়ে এনেছে, হিরা মান্ডি, খেল খেল মে- সর্বত্রই নজর কাড়ছেন নতুন করে এই সুপুরুষ অভিনেতা।

সঞ্জয় দত্তের কথাও এই প্রসঙ্গে অনেকেরই মনে পড়বে। মাদকাসক্তির কথা তিনি নানা ইন্টারভিউতে স্বীকার করে নিয়েছেন। বায়োপিকেও সেই প্রসঙ্গ বাদ দেননি রাজকুমার হিরানি, ছবিটা অনেকেই দেখেছেন। রিহ্যাব এবং স্ত্রী মান্যতা তাঁকে নেশামুক্ত হতে সাহায্য করে বলে জানা যায়।

শাহরুখ খানের চেন স্মোকিং ছাড়া আর কোনও খারাপ অভ্যাসের কথা জানা যায় না। তবে সাম্প্রতিক জন্মদিনে নিজেই জানিয়েছেন, সিগারেট ছেড়ে দিয়েছেন! এই মনের জোর বজায় রাখাটাই আসল ব্যাপার।

করিনা কাপুর খানের খারাপ অভ্যাস এঁদের তুলনায় নস্যি! খুব নার্ভাস হয়ে পড়লে তিনি শুধু হাতের নখ চিবিয়ে থাকেন, এটাই বলা হয়। যাই হোক, বিষয়টাকে ভাল বলে তো সমাজ মানে না, বাচ্চারা নখ খেতে গেলেই যে কারণে বকুনি খায়।

প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও বিবাহবিচ্ছেদের পরে আমির খানকে নিয়ে কোনও দিন কোনও অভিযোগ করেননি। একবার শুধু মজাচ্ছলে জানিয়েছিলেন যে আমির না কি স্নান প্রায় করেন না বললেই চলে! সেই ইন্টারভিউতে উপস্থিত ছিলেন নায়কও! তিনি সঙ্গে সঙ্গে শুধরে দিয়ে বলেন এটা কেবল ছুটির দিনগুলোয় ঘটে!

জন আব্রাহামের খারাপ অভ্যাসও বেশ নিরীহ! তাঁর না কি বসে বসে পা নাচানো স্বভাব! ছাড়ার অনেক চেষ্টা করেছেন, তবে কিছুতেই সফল হচ্ছেন না, রীতিমতো আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নায়ক এই নিয়ে।