Actor Released: নায়িকাকে অপহরণ, রেপ, সেই ঘটনার ভিডিও করা, একের পর এক অভিযোগ, আদালত নির্দোষ ঘোষণা করল নায়ককে

: অভিনেত্রীকে অপহরণ এবং তাঁর লাঞ্ছনার ২০১৭ সাল থেকে চলা মামলায় খালাস পেলেন৷   সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয় যখন এরনাকুলাম প্রিন্সিপাল সেশন কোর্ট তার রায় ঘোষণা করে, অভিনেতা দিলীপকে খালাস করে দেয়৷ এই মারাত্মক ঘটনায় ৬ জন অভিযুক্তকে অপহরণ, লাঞ্ছিত এবং নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের শিকার করার এবং অপরাধের ভিজুয়াল ক্যামেরাবন্দি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। জেলা ও দায়রা জজ হানি এম ভার্গিস বহু বছর ধরে বিস্তৃত সাক্ষীর পরীক্ষা, উচ্চ-স্তরের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং বেশ কয়েকটি আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে চলা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পরপরই, অভিনেতা দিলীপ সাংবাদিকদের সঙ্গে  কথা বলতে গিয়ে তার সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।” “রায়ের পর অবশেষে আমি স্বস্তি বোধ করছি,” তিনি আরও যোগ করেন। বিচারের সময় উপস্থাপিত মামলার রেকর্ড অনুসারে, ১ নম্বর অভিযুক্ত সুনীল এনএস, যাকে পালসার সানি নামেও ডাকা হয়, আরও পাঁচজনকে সঙ্গে  নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাতে জোর করে অভিনেত্রীর গাড়িতে প্রবেশ করে। দলটি তাঁকে অপহরণ করে, চলন্ত গাড়ির ভেতরে তার উপর নির্যাতন চালায় এবং তাকে গণধর্ষণের শিকার করে এবং সেই ঘটনাটি রেকর্ড করে।

৬ জনকেই বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারার অধীনে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র; ৩৪২ ধারার অধীনে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা; ৩৫৪ এবং ৩৫৪বি ধারার অধীনে শালীনতা অবমাননা এবং পোশাক খোলার চেষ্টা; ৩৬৬ ধারার অধীনে অপহরণ; ধারা ৩৭৬D এর অধীনে গণধর্ষণ; এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ অশ্লীল উপাদান তৈরি এবং প্রচারের সাথে সম্পর্কিত।

অষ্টম অভিযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত অভিনেতা দিলীপের বিরুদ্ধে পালসার সানি এবং অপরাধ সংঘটনের জন্য গ্যাংয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। মামলার বিচারাধীন থাকাকালীন জামিনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগও এনেছিল কেরালা ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে সোমবার আদালত তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। দিলীপ সেই ১০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ছিলেন যাদের বিচার এখনও চলছে, বাকিরা হয় খালাস পেয়েছেন অথবা মামলার শুরুতেই রাজসাক্ষী হয়ে গেছেন। পালসার সানি এবং দিলীপের সাথে বিচারের মুখোমুখি হওয়া বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মার্টিন অ্যান্টনি, মানিকন্দন বি, বিজেশ ভিপি, সেলিম এইচ ওরফে ভাদিভাল সেলিম, প্রদীপ, চার্লি থমাস, সানিলকুমার ওরফে মেস্থিরি সানিল এবং জি শরৎ।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দীর্ঘ অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যেমন প্ররোচনা (ধারা ১০৯), অপরাধমূলক ভয় দেখানো (৫০৬(i)), প্রমাণ লোপাট (২০১), অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া (২১২), এবং সাধারণ উদ্দেশ্য (৩৪)। মামলাটি মালায়ালাম, তামিল এবং তেলেগু ছবিতে কাজ করা একজন অভিনেত্রীর অপহরণ এবং আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত।