না জানিয়েই চুম্বনের দৃশ্যের শ্যুটিং করেছিলেন পরিচালক, যন্ত্রণা-অপমানে কেঁদে ফেলেছিলেন কিশোরী অভিনেত্রী ! বর্তমানে তাঁর রূপের জাদুতে মজে রয়েছেন আট থেকে আশি
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
এখানে কথা হচ্ছে, অভিনেত্রী রেখার। খ্যাতির পাশাপাশি প্রচুর বাঁকা মন্তব্যও সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেখা।
advertisement
1/6

রহস্যময় সৌন্দর্যের অধিকারিণী বলিউডের এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ সময় ধরে হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় একচ্ছত্র ভাবে শাসন করে চলেছেন তিনি। আর নিজের রূপের জাদুতে এখনও সকলকে মুগ্ধ করে চলেছেন তিনি। এমনকী বহু বড় তারকাই এই অভিনেত্রীর প্রেমে রীতিমতো পাগল হয়ে উঠেছিলেন। তবে তাঁর জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁর কেরিয়ারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। এখানে কথা হচ্ছে, অভিনেত্রী রেখার। খ্যাতির পাশাপাশি প্রচুর বাঁকা মন্তব্যও সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেখা। অথচ সেই সময় অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন অমিতাভ।
advertisement
2/6
শুধু অমিতাভই নয়, অক্ষয় কুমার এবং সঞ্জয় দত্তের মতো তারকার সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল রেখার। তবে একবার রেখার জীবনে একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন একজন নায়ক। শোনা যায় যে, ছবির শ্যুটিং চলাকালীন রেখাকে চুম্বনে জড়িয়ে রেখেছিলেন সেই অভিনেতা। পরিচালকও কাট বলেননি। আর এই ধরনের ঘটনা একজন অভিনেত্রীর জন্য কতটা ভয়াবহ, সেটা যে কেউ কল্পনা করতে পারবেন। এই গল্পটি আসলে রেখা এবং বিখ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।
advertisement
3/6
‘অনজানা সফর’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী। এই বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে রেখার জীবনীতে। যা লিখেছেন ইয়াসির উসমান। আসলে ‘অনজানা সফর’ ছবির শ্যুটিং চলছিল মেহবুব স্টুডিও-য়। তবে সেদিনের ঘটনা রেখাকে যেন একেবারে ভিতর থেকে রীতিমতো ভেঙেচুরে দিয়েছিল। আর সবথেকে বড় কথা হল, তখন পনেরোতেও পা দেননি রেখা। আসলে খুব কম বয়সেই রুপোলি দুনিয়ায় কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। আসলে পরিবারের জন্য একপ্রকার বাধ্য হয়েই অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করতে হয়েছিল তাঁকে। ‘অনজানা সফর’ ছবিতে রেখাকে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে কাস্ট করা হয়েছিল।
advertisement
4/6
এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজা নাওয়াথে। ছবিতে একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। প্রযোজক, অভিনেতা এবং পরিচালক সবটা জানতেন। তবে কিশোরী রেখা একেবারেই জানতেন না এই বিষয়ে। অথচ দৃশ্যটির শ্যুটিংয়ের আগেই প্রত্যেকটা পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন নির্মাতারা। ক্যামেরাও সেট করা ছিল। আর পরিচালক অ্যাকশন বলতেই বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় আচমকাই রেখাকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে চুম্বন করতে শুরু করেন। আর এই বিষয়টাই প্রথম দিকে জানতেন না রেখা। তবে বলে রাখা ভাল যে, ছবির নাম পরবর্তীকালে বদলে রাখা হয় ‘দো শিকারী’।
advertisement
5/6
বিনোদ খান্না এবং আমজাদ খানকেও দেখা গিয়েছিল ছবিতে।শ্যুটিংয়ে ক্যামেরা চলতে থাকে। পরিচালকও ইচ্ছা করেই কাট বলেননি। আর অভিনেতাও রেখাকে জাপটে ধরে চুম্বন করে যেতে থাকেন। এভাবে কেটেছিল প্রায় ৫ মিনিট। সেটের ক্রু সদস্যদের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে যায়। তাঁরা উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালিতে ফেটে পড়েছিলেন। তবে রেখার মনে তখন যেন উথাল-পাথাল চলছে। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন তিনি। এরপর তাঁর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেই ঘটনার স্মৃতি হাতড়ে রেখা একবার বলেছিলেন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি খুবই হতচকিত হয়ে পড়েছিলেন।
advertisement
6/6
কিন্তু সেদিন তাঁকে যে পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল, তার ক্ষতিপূরণ হবে না। আসলে কেউ সেই যন্ত্রণা আর আঘাতটা অনুভবই করতে পারবেন না।পরে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। নিজের সমর্থনে তিনি বলেন যে, যা হয়েছিল, সেটা ঘটেছিল পরিচালক রাজা নাওয়াথের জন্যই। যদিও তিনি এ-ও স্বীকার করে নেন যে, ১৫ বছর বয়সী রেখাকে আসলেই প্রতারিত হতে হয়েছিল। সেই সময় অবশ্য ছবির নির্মাতারা বলেছিলেন যে, ওই ঘটনাটি ছবির জন্য প্রয়োজন ছিল।