এক অদম্য জেদ, অফুরন্ত বাঁচার ইচ্ছা! ঐন্দ্রিলার ২০ দিনের অসম লড়াই কাঁদিয়ে দিল চিকিৎসকদেরও

ফিরিবার পথ নাহি, দূর হতে যদি দেখ চাহি, পারিবে না চিনিতে আমায়... হে বন্ধু বিদায়৷ জীবন-মরণে সীমানা ছাড়িয়ে বিদায় নিল ২৪ বছরের এক সম্ভাবনাময়ী মেয়ে৷ (প্রতিবেদন-অভিজিৎ চন্দ)

দু-দুবার ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের বিরুদ্ধে যুঝে সাহসের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সবেমাত্র জীবন শুরু করা তরুণী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তাঁর আগের লড়াইয়ের কথা অনেকেই জানেন৷ কিন্তু গত ১৫দিন ঠিক কীসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে মেয়েটা, তা বোধ হয় অনেকেরই অজানা৷

১ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হব ঐন্দ্রিলা৷ চিকিৎসকেরা জানান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷ ডান দিক অসাড় হয়ে যেতে থাকে ক্রমশ৷

বায়োপ্সি করে দেখা যায় গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে Ewing's sarcoma

এক তারিখে অস্ত্রোপচারের পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয়৷ রক্তচাপ ছিল অত্যন্ত কম৷ ৪ তারিখ বাম চোখের পাতা ও বাম কাঁধ হালকা নড়েছিল৷

পাঁচ তারিখ খানিক উন্নতি হয়৷ কমানো হয় ভেন্টিলেশনের মাত্রা৷

৬ তারিখ সি প্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে৷ জ্বর ছিল না৷ ৭ তারিখ সংক্রমণ কমে৷

৮ তারিখ একটা ইনফেকশন পাওয়া যায়৷ সি প্যাপেই ছিলেন ঐন্দ্রিলা৷ ১৪ তারিখ আবার জ্বর আসে৷ ১৫ তারিখ অবস্থার অবনতি হয়৷

১৬ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী৷ এরপর অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আসেন৷

শনিবার ফের মৃদু হার্ট অ্যাটাক হয়৷ ফুল ভেন্টিলেস এবং আয়নোট্রপ সাপোর্টে ছিলেন অভিনেত্রী৷ শনিবার গভীররাতে বেশ কয়েকবার হার্ট অ্যাটাক হয়৷ রবিবারের অ্যাটাক আর সামলানো গেল না৷