দুটো হাত নেই, পা দিয়েই করেন লেখালেখি, জানুন জঙ্গলমহলের এই শিক্ষকের গল্প
- Published by:Siddhartha Sarkar
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
East Bardhaman News: বোঝা গিয়েছিল এই মানুষ থামবার নয়। জন্ম থেকেই হাত না থাকার কারণে তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ।
advertisement
1/6

পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ ব্লকের বেলুটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ বাউড়ি। জন্ম থেকেই তাঁর দুটি হাত নেই। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতাকে কখনও দুর্বলতা হতে দেননি তিনি। বরং নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম দিয়ে প্রমাণ করেছেন চাইলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
2/6

হাত না থাকার কারণে একসময় তাঁকে নিয়ে অনেকে ব্যঙ্গ করা হত। সমাজে উপহাসের শিকার হয়েছেন বহুবার। কিন্তু সেইসব কথাকে পাত্তা না দিয়ে, নিজের দৃঢ় মনোবলকেই সঙ্গী করে এগিয়ে গিয়েছেন জগন্নাথ। আজ তিনি শুধু সাধারণ মানুষ নন, একজন সফল শিক্ষক, একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
3/6
বর্তমানে তিনি আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ব্ল্যাকবোর্ডে পায়ের আঙুলের ফাঁকে চক ধরে লেখেন, আবার ডাস্টারও ব্যবহার করেন পা দিয়েই। খাওয়া থেকে লেখা সবকিছুতেই তাঁর ভরসা দুটি পা। এমনকি পা দিয়েই চামচে ভাত খান কিংবা চায়ের কাপ ধরে চা পান করেন অনায়াসে। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
4/6
দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পায়ের ভরসায় পড়াশোনা করাচ্ছেন তিনি জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাঁর পড়ানোয় ছাত্রছাত্রীরা শুধু পড়াশোনার অক্ষরজ্ঞানই পাচ্ছে না, পাচ্ছে জীবনের লড়াই শেখার অমূল্য শিক্ষা। নিজের দৃঢ় মনোবলকে কাজে লাগিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
5/6
চাকরি পাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে যখন পা দিয়ে লিখে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন, তখনই বোঝা গিয়েছিল এই মানুষ থামবার নয়। জন্ম থেকেই হাত না থাকার কারণে তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ। আজ সেই নামই যেন সাহস, সংগ্রাম আর প্রেরণার প্রতীক। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
6/6
শুধু শিক্ষক হিসেবেই নয়, একজন সমাজসেবক হিসেবেও পরিচিত জগন্নাথবাবু। স্কুলছুট রোধে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝান। আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেন, ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলায় উৎসাহ দেন। তিনি প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রতিবন্ধকতা যতই বড় হোক না কেন, মনোবল যদি দৃঢ় হয় তবে কোনও স্বপ্নই অসম্পূর্ণ থাকে না। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী