Success Story: ইচ্ছে থাকলে সব হয়! এক ডিএসপি’র প্রেরণা বদলে দিল জীবন, দোকানদারের ছেলে আজ রাজ্যের বড় প্রশাসনিক পদে
- Published by:Raima Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Sudipta Garain
Last Updated:
Success Story: দোকানদারের ছেলে থেকে সরকারি অফিসার, বীরভূমের গর্ব সন্তু লাহা এখন রাজ্যের রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। তাঁর কাহিনি অনুপ্রেরণা জোগাবে আপনাকেও।
advertisement
1/5

খয়রাশোল, বীরভূম, সুদীপ্ত গড়াই: বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের ইসগরা গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে আজ রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদে। বাবার ছোট্ট মুদিখানা দোকানের ছেলে সন্তু লাহা এখন রাজ্য সরকারের রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (গ্রুপ A) পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে রেভেনিউ সার্ভিসে ৩৩ তম স্থান অধিকার করে রাজ্যের প্রশাসনিক সার্কেলে নতুন এক উজ্জ্বল নাম যোগ করেছেন তিনি।
advertisement
2/5
সম্প্রতি কলকাতার বেলেঘাটা সেলস ট্যাক্স অফিসে GOVERNMENT OF WEST BENGAL, DIRECTORATE OF COMMERCIAL TAXES & STATE GST এর অধীনে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সন্তু। দায়িত্ব নেওয়ার পরই বীরভূম জুড়ে গর্ব ও আনন্দের ঢেউ।ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই
advertisement
3/5
সন্তুর বাড়ি খয়রাশোল ব্লকের কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসগরা গ্রামে। বাবা দ্বিজপদ লাহা একটি মুদিখানা দোকান চালান, মা গৃহবধূ। পরিবারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল সন্তুর।ইসগরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু, পরে পাঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা। এরপর রানীগঞ্জ কলেজে গণিত নিয়ে স্নাতক। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিল এক প্রবল অনিশ্চয়তা। যতক্ষণ না এক ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয় তাঁর জীবন।ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই
advertisement
4/5
২০১৪ সালে ব্লকস্তরে মাধ্যমিকে তৃতীয় হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধিত হন সন্তু। সেই সংবর্ধনা মঞ্চেই দেখা হয় তৎকালীন জেলার ডিএসপি পার্থ ঘোষের সঙ্গে। তিনিই প্রথম সন্তুকে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে জানান এবং অনুপ্রেরণা দেন। সেদিনের সেই পরামর্শই বদলে দেয় সন্তুর জীবনের গতিপথ। এরপর থেকেই লক্ষ্য স্থির ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়া। দীর্ঘ এক দশকের সংগ্রাম, আর্থিক সঙ্কট ও পরিশ্রমের পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলেন তিনি।ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই
advertisement
5/5
সন্তু বলেন, "বড় হয়ে কী হব, তা নিয়ে আগে কোনও স্পষ্ট ধারণা ছিল না। ডিএসপি সাহেবের সঙ্গেই আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি ডব্লুবিসিএসের কথা বলেছিলেন, আর তখনই ঠিক করি, আমাকেও একদিন সেই জায়গায় পৌঁছতে হবে।" আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।দোকানদারের ছেলে থেকে রাজ্যের রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, এই পথচলা আজ গ্রামের প্রতিটি তরুণের কাছে প্রেরণার প্রতীক।ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই