Success Story of IAS Arti Dogra: মেধার আলোয় ম্লান শারীরিক খর্বতা! সব অপমানের জবাব দিয়ে ৩.৫ ফুট উচ্চতার আরতি ডোগরা এখন সফল IAS অফিসার
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
Last Updated:
Success Story of IAS Arti Dogra: চিকিৎসকের কথা মতো উচ্চতা থেমে গিয়েছে ৩ ফুট ২ ইঞ্চিতেই। কিন্তু আরতির মেধাকে আটকে রাখা যায়নি। মেধার উচ্চতার আলোয় ঢাকা পড়ে গিয়েছে শারীরিক খর্বতা
advertisement
1/9

জীবন তাঁর দিকে যত বিদ্রূপের পাথর ছুড়েছে, তিনি একে একে কুড়িয়ে মাইলফলক তৈরি করেছেন৷ যে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা এক সময় ছিল আরতি ডোগরার লজ্জায় লুকিয়ে পড়ার কালো দিক, আজ সেটাই তাঁর গর্বের নিশান৷ বাধার বিন্ধ্যাচল গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশের খর্বকায়তম আইএএস অফিসার তিনি৷ দেখিয়ে দিয়েছেন বয়সের মতো উচ্চতাও একটা সংখ্যামাত্র৷
advertisement
2/9
সেনাআধিকারিক বাবা এবং স্কুলশিক্ষিকা মায়ের সন্তান আরতির ছোটবেলা কেটেছে দেহরাদূনে৷ তাঁর উচ্চতা নিয়ে কান ফিসফিসানি বন্ধ হত না৷ বাবা মায়ের কাছে প্রশ্ন আসত কবে তাঁরা দ্বিতীয় সন্তান নেবেন৷ কারণ শারীরিক দিক থেকে আরতি বাকি পাঁচ জন শিশুর মতো হবেন না, শৈশবেই বলে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। জানা গিয়েছিল, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে না তাঁর উচ্চতা।
advertisement
3/9
পারিপার্শ্বিক ধরে নিয়েছিল আরতির আর কিছুই হবে না৷ কিন্তু অন্য স্রোতে ভেবেছিলেন তাঁর বাবা মা৷ তাঁরা অনুভব করেছিলেন ভালবাসা, সমর্থন আর সাহচর্য পেলে আরতি অনেক দূর যাবে সাফল্যের পথে৷
advertisement
4/9
চিকিৎসকের কথা মতো উচ্চতা থেমে গিয়েছে ৩ ফুট ২ ইঞ্চিতেই। কিন্তু আরতির মেধাকে আটকে রাখা যায়নি। মেধার উচ্চতার আলোয় ঢাকা পড়ে গিয়েছে শারীরিক খর্বতা৷
advertisement
5/9
যত অপমানিত হয়েছেন, চোয়াল শক্ত হয়েছে লড়াকু আরতির৷ স্কুলের পরে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন তিনি। স্নাতকোত্তর করতে চলে যান দেহরাদূন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আর এক আইএএস অফিসার মনীষার।
advertisement
6/9
জীবনের এই পর্বে পৌঁছে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু মেধাবী আরতির। এ বার তাঁর লক্ষ্য ইউপিএসসি পরীক্ষা। দাঁতে দাঁত চেপে শুরু হল প্রস্তুতি। যাত্রাপথ মসৃণ না থাকলেও হার মানেননি আরতি৷ শ্রমের মাশুল স্বরূপ সাফল্য এল প্রথম প্রয়াসেই।
advertisement
7/9
২০০৬-এ আইএএস অফিসার হন আরতি। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের অজমেঢ়, বিকানের, জোধপুর এবং বুঁদির জেলাশাসক হয়ে কাজ করেছেন আরতি। একইসঙ্গে দক্ষ এবং জনপ্রিয় প্রশাসক হিসেবে পরিচিত৷ তিনি ছিলেন যোধপুর বিদ্যুৎ বিতরণ নিগম লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ পদে৷ ২০১৯-এ জাতীয় ভোটার দিবসে আরতি পুরস্কার গ্রহণ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে।
advertisement
8/9
রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সময়ে জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং স্পেশাল সেক্রেটারি পদে ছিলেন আরতি৷ বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ দফতরের সচিব পদে কর্মরত৷ বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের বুথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন আরতি।
advertisement
9/9
তাঁর আমলে অজমেঢ়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের ভোটদানের ক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আরতির উদ্যোগে প্রশাসনের তরফে বহু সুযোগসুবিধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে রাজস্থানের প্রত্যন্ত অংশে আগের থেকে অনেক বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটাররা বুথমুখী হয়েছেন। আরতি দেখিয়ে দিয়েছেন চেহারা পরিবর্তন না করে বরং পাল্টানো যায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি৷