সোনার দামে ধসের ইঙ্গিত, একদিনেই বড় পতনের আশঙ্কা! অর্ধেক কমতে পারে রুপোর দাম?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Gold Price Fall: সোনা ১.৪০ লক্ষ ও রুপো ২.৫০ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে! বাজার বিশেষজ্ঞরা বড় সংশোধনের আশঙ্কা করছেন। বিনিয়োগের জোরে দাম বাড়লেও সাধারণ ক্রেতার চাহিদা কম।
advertisement
1/11

সোনা ও রুপোর দামে রেকর্ড ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই বড়সড় সংশোধনের আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে সোনার দাম যেখানে ১.৪০ লক্ষ টাকা ছুঁয়েছে, সেখানে রুপোর দাম কেজি প্রতি ২.৫০ লক্ষ টাকা পেরিয়ে নজির গড়েছে। তবে এই রেকর্ড দামের মাঝেই সতর্কবার্তা—একদিনেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
advertisement
2/11
আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি সোনার দাম আউন্স প্রতি প্রায় ৪,৫০০ ডলারে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে দেশের বাজারে সোনা সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছে ১.৪০ লক্ষ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
advertisement
3/11
রুপোর ক্ষেত্রে চমক আরও বেশি—দেশীয় বাজারে কেজি প্রতি রুপোর দাম ২.৫০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে এই দরবৃদ্ধি সুখবর হলেও, সাধারণ মানুষের কাছে গয়না কেনা বা ভবিষ্যতের সঞ্চয় ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
advertisement
4/11
এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন—এই দাম কি টিকে থাকবে, না কি আচমকাই বড় ধস নামবে? পণ্যবাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম। বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ছুটির মরসুমে সক্রিয় না থাকায় কম ভলিউমেই দাম বাড়ানো সহজ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাত্র ন’টি কার্যদিবসেই রুপোর দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে, যা উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
advertisement
5/11
তাঁদের মতে, এত দ্রুত দরবৃদ্ধির পর সংশোধনও ততটাই তীব্র হতে পারে। একদিনেই রুপোর দাম ১০–১২ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে, সোনার ক্ষেত্রেও বড় পতনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বর্তমানে বিক্রেতার সংখ্যা কম হলেও এক্সচেঞ্জে বিপুল পরিমাণ ‘লং পজিশন’ তৈরি হয়েছে। লাভ তুলে নেওয়া শুরু হলেই বড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা।
advertisement
6/11
তবে এত দাম বাড়লেও প্রশ্ন উঠছে—আসল ক্রেতা কারা? বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, গয়না বা দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রকৃত চাহিদা এই মুহূর্তে দুর্বল। তার প্রমাণ হিসেবে দুবাই ও ভারতের একাধিক বাজারে সোনা ও রুপো ছাড়ে বিক্রির খবর মিলছে। অর্থাৎ, সাধারণ ক্রেতার কেনাকাটা কমলেও দাম বাড়ছে বিনিয়োগের জোরে।
advertisement
7/11
বাজার সূত্রের দাবি, এই ঊর্ধ্বগতির মূল ভরসা বিনিয়োগ। গোল্ড ইটিএফ, সিলভার ইটিএফ, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও বড় ফান্ডগুলির কেনাকাটাই দাম ধরে রেখেছে। ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতে প্রায় ৭ শতাংশ রিটার্নের তুলনায় সোনা–রুপোর রিটার্ন বেশি হওয়ায় অনেকেই এই ধাতুগুলির দিকে ঝুঁকেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, একসঙ্গে অত বেশি মানুষ একই দিকে এগোলে ঝুঁকি বাড়ে।
advertisement
8/11
এই দামের প্রভাব পড়েছে গয়না শিল্পেও। বিয়ে ও উৎসবের মরসুমে যেখানে বিক্রি বাড়ার কথা, সেখানে এখন বিক্রি কমছে। গয়নার স্টকের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কাজের মূলধনের উপর চাপ বাড়ছে। আগে যেখানে ২২ ক্যারাট সোনা স্বচ্ছন্দে কেনা যেত, এখন অনেকেই হালকা গয়না বা ১৮ কিংবা ১৪ ক্যারাট সোনার দিকে ঝুঁকছেন। রুপোর আকাশছোঁয়া দামে ভারী রুপোর সামগ্রী সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
advertisement
9/11
বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আগামী দিনে বড় সংশোধন অনিবার্য। তাঁদের পূর্বাভাস, সোনার দাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমতে পারে, রুপোর দাম পড়তে পারে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। তবে এর অর্থ এই নয় যে সোনা ও রুপোর গুরুত্ব কমে যাবে। দীর্ঘমেয়াদে এগুলি এখনও মূল্যবান সম্পদ হিসেবেই থাকবে। বাজারে এই ধরনের ধাক্কা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
10/11
তাই যাঁরা গয়না কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের কিছুটা অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দাম কিছুটা নামার পর কেনাকাটা করলে লাভ হতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও একবারে বড় অঙ্ক না ঢেলে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করাই নিরাপদ বলে মত তাঁদের।
advertisement
11/11
বিঃদ্রঃ এখানে প্রকাশিত মতামত বিশেষজ্ঞদের ব্যক্তিগত মত। এগুলিকে বিনিয়োগ পরামর্শ হিসেবে ধরা উচিত নয়। বিনিয়োগের আগে নিজের আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করা শ্রেয়।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
সোনার দামে ধসের ইঙ্গিত, একদিনেই বড় পতনের আশঙ্কা! অর্ধেক কমতে পারে রুপোর দাম?