SIP Calculator: মাসে ১৪০০ টাকা করে SIP-তে জমা করলে ৫ বছরে কত টাকার ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে? রইল হিসেব

নিয়মিত বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে মোটা রিটার্ন পাওয়া যায়। এমনটাই বলেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে বাজারে অনেক রকমের বিনিয়োগ বিকল্প রয়েছে। তবে হ্যাঁ, এসবে ঝুঁকিও রয়েছে। তবে সরকারি স্কিম, বন্ড, ব্যাঙ্ক ডিপোজিট স্কিমের মতো বিনিয়োগে অবশ্য গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। এই সব ক্ষেত্রে ঝুঁকির কোনও প্রশ্ন নেই।

কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সেই ভাবে দেখলে পাল্লা দিতে পারে না। সেই জন্যই, এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমান সময়ে SIP বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকেই এখন প্রতি মাসে SIP-তে বিনিয়োগ করছেন। তবে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিশ্চিত রিটার্ন আশা করা যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, এসআইপিতে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অধিকাংশ ইক্যুইটি ফান্ডে ২০২৩ সালের রিটার্ন ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। ভবিষ্যতেই একই হারে রিটার্ন মিলবে, তা বলা যায় না। তবে গত কয়েক বছর অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ৪০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।

মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এসআইপি শুরু করা যায়। একটানা বিনিয়োগ করে গেলে ২৫ বছরে কোটি টাকার রিটার্ন মিলতে পারে। বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে হয়। তবে চাইলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোও যায়।

প্রতি বছরে ১২% সুদের হারে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক SIP-তে প্রতি মাসে ১৪০০ টাকা জমা করলে ৫ বছরে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে।

যদি মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে প্রতি বছরে ১২% হারে সুদ পাওয়া যায়, তাহলে প্রতি মাসে ১৪০০ টাকা জমা করলে ৫ বছরে অর্থাৎ ৬০ মাসে ১,১৫,৪৮১ টাকার ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে।

অ্যাঞ্জেল ওয়ান SIP ক্যালকুলেটর অনুযায়ী ৫ বছরে মোট ৮৪,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা হবে। অর্থাৎ ৫ বছরে সুদ হিসাবে পাওয়া যাবে মোট ৩১,৪৮১ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে শেয়ার বাজারের ঝুঁকি রয়েছে এবং এতে পাওয়া রিটার্নের উপরে মোটা ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু, মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে লম্বা সময়ের জন্য ভাল রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।

মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে প্রতি মাসে ১৪০০ টাকা জমা করলে প্রতি বছরে ১২% হারে সুদের হিসাবে ৫ বছরে ১,১৫,৪৮১ টাকা পাওয়া যেতে পারে।সুতরাং মিউচুয়াল ফান্ডের SIP-তে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করেও মোটা টাকার ফান্ড গড়ে তোলা যেতে পারে।