New Business Idea: চা বাগানে ফলের গাছ! বাড়িতে আয়ের সঙ্গে বাঁচবে পাতাও

জলপাইগুড়ি: চা গাছকে রক্ষা করবে পাখি! বাড়তি আয় আসবে ফলের গাছ থেকে! অবাক হবেন না, এমনই অভিনব উপায়ে চা বাগানের নতুন ভবিষ্যৎ গড়ছে ক্ষুদ্র চা চাষিরা। প্রতীকী ছবি ৷

শুধু চা উৎপাদন নয়, এবার চা বাগানের মধ্যেই বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে, যা একদিকে বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে, অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবে। প্রতীকী ছবি ৷

ক্ষুদ্র চা চাষিদের মতে, চা গাছে অনেক সময় ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে, যার কারণে চাষিদের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তবে এবার পাখিরাই হবে প্রাকৃতিক রক্ষাকর্তা। চা বাগানে থাকা ফলের গাছে পাখিরা এসে বসবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

আশ্রয় নেবে, আর তারাই ক্ষতিকর পোকার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে, চা উৎপাদন আরও সুস্থ ও পরিবেশবান্ধব হবে। এই উদ্যোগের পাশাপাশি, ক্ষুদ্র চা চাষিদের ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলতে নতুন প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি ৷

এবার নিজেরাই টি প্রসেসিং ইউনিট গড়তে পারবেন তারা। এর জন্য মোট খরচের ৩৫ শতাংশ অনুদান দেবে সরকার। প্রতীকী ছবি ৷

জলপাইগুড়ির ক্ষুদ্র চা চাষিরা ইতিমধ্যেই তিনটি টি প্রসেসিং ইউনিট তৈরির প্রস্তাব জমা দিয়েছেন, একটি বেলকোবার চেচাপাড়ায়, একটি রাজগঞ্জ ব্লকের সারিয়ামে এবং আরেকটি ধূপগুড়ির ডুরামারিতে। প্রতীকী ছবি ৷

ডুরামারি ইউনিটের বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা, আর বাকি দুটি ইউনিট ৫ কোটি টাকা করে। রাজ্য উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের কর্তারা সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতীকী ছবি ৷

এই নতুন উদ্যোগ চা চাষে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে, যেখানে প্রকৃতি ও অর্থনীতি হাত ধরাধরি করে এগোবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি ৷