'মহাকুম্ভে' ১ রাতের হোটেল 'ভাড়া' কত জানেন...? 'রেট' শুনলেই চমকাবেন, শিওর!

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে হোটেল এবং ধর্মশালাগুলিতে অনলাইন বুকিং শুরু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত হোটেল রুমের দাম বহুগুণ বেড়ে ইতিমধ্যেই আকাশ ছুঁয়েছে।

বিশেষ স্নান উৎসবে দাম বেড়েছে কয়েক গুন। হোটেলের ভাড়া প্রসঙ্গে হোটেলগুলিকে বুকিং রেট থেকে বেশি ভাড়া না নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে পর্যটন দফতর।

শহরে ২১৮টি হোটেল, ২০৪টি গেস্ট হাউস এবং ধর্মশালা রয়েছে। প্রতিটি হোটেলেই তিল ধারণের জায়গা নেই প্রায়।

জানুয়ারিতে মহা কুম্ভমেলা শুরু হলেও এতে আগত তীর্থযাত্রীরা আবাসনের ব্যবস্থা করতে শুরু করেছেন আরও অনেক আগে থেকে। গত কয়েক মাস ধরে অনলাইনে হোটেল বুকিং চলছে।

জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত হোটেলের রুমের দাম বহুগুণ বেড়েছে। যে হোটেল রুমগুলি ২৪ ঘণ্টায় ৭-৮ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, সেগুলি এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ হাজার টাকায়। তবে এই রেট শুধুমাত্র মৌনী মকর সংক্রান্তি, অমাবস্যা, বসন্ত পঞ্চমীর মতো বিশেষ স্নান উৎসবের জন্যই অত্যধিক বেশি।

হোটেল, ধর্মশালা এবং গেস্ট হাউসগুলির জন্য সর্বোচ্চ দাম রয়েছে ২৯শে জানুয়ারি। ওইদিনই সবচেয়ে বড় স্নান উত্সব, 'মৌনী অমাবস্যা'। তাই সেইদিন হোটেল রেট আকাশচুম্বী। অন্যান্য দিনগুলিতে তুলনায় দাম কম। বেশিরভাগ বিদেশী অতিথিই আগেভাগে রুম বুক করে রেখেছেন হোটেলগুলিতে।

পর্যটন দফতর ইতিমধ্যেই হোটেলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বুকিং রেট এর বেশি না নিতে। শহরে ২১৮টি হোটেল রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৩টি রেজিস্টার্ড হোটেল রয়েছে। সব হোটেল মিলিয়ে ৪০০০টিরও বেশি রুম রয়েছে।

শুধু তাই নয়, হোটেল ছাড়াও প্রয়াগে ২০৪টি গেস্ট হাউস ও ধর্মশালা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১৪টি গেস্ট হাউস ও ধর্মশালা রেজিস্টার্ড। আর রয়েছে প্রায় ৪২টি বিলাসবহুল হোটেল।

মহাকুম্ভ মেলা চলাকালীন আগামী বেশ কিছুদিন বহু বিদেশী পর্যটকরা প্রয়াগরাজে আসবেন। কিন্তু তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে এখানে থাকা। পরিস্থিতি আগাম আঁচ করে বেশিরভাগ মানুষ কয়েক মাস আগে থেকেই অনলাইনে হোটেলের রুম বুক করে রেখেছেন।

বিদেশী অতিথিদের জন্য বেশিরভাগ রুম এখানে বুক করা রয়েছে ইতিমধ্যেই। মহাকুম্ভের জন্য হোটেলের রুম প্রতি দাম ১ রাতেই ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।

বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে যে রুমগুলি প্রতিদিন ৬,০০০ থেকে ১৩,০০০ টাকায় পাওয়া যায়, তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০০, কিন্তু মহাকুম্ভের জন্য সেগুলির দিন প্রতি চার্জ হয়েছে ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা।

কিছু অপেক্ষাকৃত সস্তা হোটেল, যাদের রুম ভাড়া তিন থেকে চার হাজার টাকা, সেগুলি বর্তমানে বুকিং হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকায়।

মূল স্নান উৎসবে ৭৫ শতাংশ হোটেলের রুম বুকড হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে গেস্ট হাউসগুলিতেও এক একটি রুমের ভাড়া দুই থেকে তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আট-দশ হাজার টাকা করার কথা রয়েছে। একইভাবে ৬০ শতাংশ ধর্মশালাও বুকড।

৫০টি রেজিস্টার্ড পেইং গেস্টে সব সুবিধা পাওয়া যাবে। এখনও পর্যন্ত ৫০টি বাড়ি পেইং গেস্ট হিসাবে রেজিস্টার্ড হয়েছে, যেখানে মোট ২০০টি রুম রয়েছে।

স্থানীয় পর্যটন আধিকারিক অপরাজিতা সিং বলেন যে যে বাড়ির জন্য পেইং গেস্ট রাখার লাইসেন্স দেওয়া হবে তার তালিকাও মেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে থাকবে। সেখান থেকেও পর্যটক ও ভক্তরা পেইং গেস্ট-এর সুবিধার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।

এছাড়া তিনটি জায়গায় তাঁবু কলোনি ও তিনশটি ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। মহাকুম্ভ মেলায় নানাবিধ সুবিধা-সহ তিনটি তাঁবু কলোনি স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে তিন হাজার ক্যাম্প।

ক্যাম্পগুলিতে রয়েছে আরামদায়ক বেডরুম, ওয়েটিং হল, আধুনিক টয়লেট, মার্বেল মেঝে, কাঠের আসবাবপত্র ছাড়াও দু-জনের স্বচ্ছন্দে থাকার মতো ড্রয়িং রুম।