প্রয়োজনে সোনা বন্ধক রাখবেন না বিক্রি করবেন ? সেরা বিকল্পটি সম্পর্কে জানুন
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কখন সোনা বিক্রি করতে হবে এবং কখন বন্ধক রাখা ভাল।
advertisement
1/7

ভারতে সোনার গয়না কেবল শৌখিনতা নয়, বরং পারিবারিক সুরক্ষার জালও বটে। বিবাহ থেকে শুরু করে জরুরি নগদ প্রয়োজন পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারে সোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু যদি হঠাৎ নগদ সঙ্কট দেখা দেয়, যেমন চিকিৎসাগত জরুরি অবস্থা, ব্যবসায়িক ক্ষতি, অথবা মুদ্রাস্ফীতির বোঝা, সেক্ষেত্রে সোনা বন্ধক রাখা বা সরাসরি বিক্রি করা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কোনটা উচিত তা আসলে নিজেদের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কখন সোনা বিক্রি করতে হবে এবং কখন বন্ধক রাখা ভাল।
advertisement
2/7
নগদ সঙ্কট এবং সোনার ভূমিকাভারতের বেশিরভাগ পরিবারে বিনিয়োগের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সোনায় যায়। মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৫ সালে সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তবে যখন আয় অস্থির হয়ে ওঠে, যেমন চাকরি হারানো, অসুস্থতা বা ফসলের ব্যর্থতা, তখনই নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়। এই সময়ে সোনাকে নিরাপত্তার আবরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণেই সঙ্কটের সময়ে সোনা বন্ধক রাখা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য রক্ষা করে, অন্য দিকে বিক্রি করার ফলে স্থায়ী ক্ষতি হয়।প্রকৃতপক্ষে, ভারতে সোনার ঋণের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই এটি খুচরো ঋণের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অংশ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ লোকেরা এখন সোনা বিক্রি করার পরিবর্তে বন্ধক রাখার পথ বেছে নিচ্ছে।
advertisement
3/7
সোনা বন্ধক রাখা:সোনা বন্ধক রাখার অর্থ হল একটি ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসিতে সোনা জমা করা এবং এর বিপরীতে ঋণ নেওয়া। ব্যাঙ্কগুলি সোনার বিশুদ্ধতা এবং ওজন যাচাই করে, তারপর বাজার মূল্যের ৭৫% পর্যন্ত ঋণ দেয় এবং পরিশোধের পরে সোনা ফেরত দেওয়া হয়।
advertisement
4/7
সুবিধা:তাৎক্ষণিক ডিস্ট্রিবিউশন, ন্যূনতম কাগজপত্র (শুধু আধার, প্যান এবং সোনা)।কম সুদের হার (বার্ষিক ১১.৯% থেকে ১৬%), ব্যক্তিগত ঋণের তুলনায় সস্তা (২৪%)।সোনা নিজের কাছেই থাকে, তার আবেগগত মূল্য (পারিবারিক উত্তরাধিকারসূত্রে) বজায় থাকে।নমনীয় ব্যবহার: চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, বা বাড়ির সংস্কার।
advertisement
5/7
অসুবিধা:ঋণ পরিশোধ না করা হলে সোনা নিলামে বিক্রি করা হবে।সোনার দাম কমে গেলে, অতিরিক্ত জমা দিতে হতে পারে।প্রসেস ফি (০.৫-১%) এবং লেট পেমেন্ট জরিমানা
advertisement
6/7
সোনা বিক্রি:বিক্রয় মানে গয়নার দোকানে বা অনলাইনে (যেমন গোল্ডমনিটারি) সোনা বিক্রি করা এবং তাৎক্ষণিকভাবে নগদ টাকা পাওয়া। পুরনো সোনা বিক্রি করলে ২০-২৫% প্রসেস ফি লাগে, কিন্তু খাঁটি সোনা (কয়েন) ভাল হারে পাওয়া যায়।
advertisement
7/7
সুবিধা:সম্পূর্ণ নগদ টাকা পাওয়া যায়, পরিশোধের বোঝা নেই।দাম বেশি হলে ভাল লাভ হয়।কোনও সুদ বা ফি নেই।অসুবিধা:সোনা চিরতরে হারিয়ে যায়, একটি মানসিক আঘাত, বিশেষ করে সেই সব মহিলাদের জন্য যাঁরা সোনাকে নিরাপত্তা বলে মনে করেন।মেকিং চার্জ একটি উল্লেখযোগ্য অসুবিধা, বিশেষ করে গয়নার উপরে, তা পাওয়া যায় না।বাজার পড়ে গেলে ক্ষতি হয়।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
প্রয়োজনে সোনা বন্ধক রাখবেন না বিক্রি করবেন ? সেরা বিকল্পটি সম্পর্কে জানুন