Cheaper Gold Rates: ভারতের তুলনায় দুবাইয়ে সোনা সস্তা কেন? কাস্টমস নিয়ম না জানলে বিপাকে পড়তে পারেন আপনিও

সোনা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও। তাঁর কাছ থেকে ১২.৫৬ কোটি টাকার গোল্ড বার উদ্ধার হয়েছে। এরপর অভিনেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে আরও ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিআরআই কর্মকর্তারা ৩ মার্চ দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু আসা এক ভারতীয় মহিলাকে বিমানবন্দরে আটক করে। তাঁর বয়স প্রায় ৩৩ বছর। তল্লাশির সময় দেখা যায়, তিনি শরীরে লুকিয়ে ১৪.২ কেজির গোল্ড বার নিয়ে এসেছেন।”

এরপর বেঙ্গালুরুর লাভেল রোডে অভিনেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, “তল্লাশিতে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।” কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬২ অনুযায়ী, অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে গ্রেফতার করেছেন কাস্টমস অফিসাররা। তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

রানিয়া রাও-ই প্রথম নন। আগেও দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা হয়েছে। ধরাও পড়েছেন তাঁরা। কারণ দুবাইয়ে সোনার দাম ভারতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। তাই অনেকেই দুবাই থেকে কম দামে সোনা কিনে ভারতে আনতে চান, আর পাচারকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোটা অঙ্কের মুনাফা করে।

দুবাইতে সোনার দাম কম হওয়ার প্রধান কারণ হল আমদানি শুল্ক ও করনীতির পার্থক্য। দুবাইয়ে সোনার উপর কোনও আমদানি শুল্ক নেই, ফলে সেখানে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের কাছাকাছি দামে সোনা পাওয়া যায়। বর্তমানে দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭২,৪৩০ টাকা। সেখানে ভারতের বাজারে এর দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

তবে দুবাই থেকে ভারতে সোনা আনার ক্ষেত্রে কাস্টমস নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কাস্টমস আইন অনুযায়ী, পুরুষ যাত্রীরা ২০ গ্রাম সোনা (৫০ হাজার টাকা মূল্যের) শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারেন। মহিলা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই সীমায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ৪০ গ্রাম (১ লাখ টাকা মূল্যের) পর্যন্ত সোনা নিয়ে আসতে পারেন।

তবে এই ছাড় শুধুমাত্র সোনার গয়নার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সোনার বার বা কয়েনের ক্ষেত্রে নয়। বলে রাখা ভাল, নির্ধারিত সীমার বেশি সোনা আনলে কাস্টমস শুল্ক দিতে হয়, যা সোনার দামের ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।