Budget 2025: বাজেটে বড় ঘোষণার সম্ভাবনা, সস্তা হবে Phone, Fridge, AC, TV? শুল্ক কমানোর প্রস্তাব ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির

বাজেট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে জল্পনাকল্পনা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে না কি কমবে? আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে মধ্যবিত্ত সমাজ। ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিও বাজেটের দিকে তাকিয়ে বুক বাঁধছে। আশা করা হচ্ছে, এবার কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলেকট্রিক প্রোডাক্টের দাম কমতে পারে। সস্তা হতে পারে মোবাইল, ফ্রিজ, এসির মতো সামগ্রী। ইলেকট্রিক পণ্যের উপর থেকে শুল্ক কমানোর দাবিও তুলেছে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ।

গত কয়েক বছর মূলত ইলেকট্রনিক পণ্য ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ফোকাস ছিল মোদি সরকারের। গত বছর এই খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এখন মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ফোকাস করেছে। বাজেটে যদি মোবাইল এবং মোবাইলের যন্ত্রাংশ নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়, তাহলে স্মার্টফোনের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মোবাইলের যন্ত্রাংশের উপর আমদানি শুল্ক কমানোর আবেদন জানানো হয়েছে ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে। বাজেটে তাঁদের দাবি যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে স্মার্টফোনের দাম একধাক্কায় অনেকটা কমতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ইলেকট্রিক পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর দাবি করেছে ইন্ডিয়ান ইলেকট্রনিক অর্গানাইজেশন। বাজেটে তাঁদের দাবি অনুযায়ী যদি শুল্ক কমানোর ঘোষণা হয়, তাহলে দেশীয় উতপাদনকারী কোম্পানিগুলির সুবিধা হবে। সরাসরি উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। কারণ ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ কেনার খরচ কমলে, স্বাভাবিকভাবে পণ্যের দামও কমবে।

বাজেটে দেশীয় কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারদের জন্য ৪.৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা বলেছে, দেশে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বলি ইউনিট বাড়াতে চাইলে মোবাইল ফোন পার্টসের শুল্ক কমাতে হবে।

জেভিসি টিভি ইন্ডিয়া-এর প্রতিনিধি পল্লবী সিং বলেন, “অর্থমন্ত্রীর কাছে একান্ত অনুরোধ, টেলিভিশনের উপর জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হোক।“ তাঁর মতে, সাধারণ মানুষ টিভি দেখেন। এটা কোনও বিলাসদ্রব্য নয়। পল্লবী বলছেন, “টেলিভিশনকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দেখা উচিত নয়। বর্তমানে ট্যাক্সের হার খুব বেশি। কাঁচামালের উপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। আর টেলিভিশনের মতো ফিনিশড প্রোডাক্টে ২৮ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়।“ তাঁর প্রশ্ন, “এমন ভেদাভেদ কেন?” এর ফলে যাঁরা আমদানি করেন, তাঁদের ভুগতে হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।