অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সৌমেন মহাপাত্র, হুমায়ুন কবির, শ্রীকান্ত মাহাতো, এমকেডিএর চেয়ারম্যান দিনেন রায়, কলেজের প্রাক্তনী তথা মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খাঁ, কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেড়া প্রমুখ। প্রত্যেকের কথাতেই উঠে আসে মেদিনীপুর কলেজের ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার কথা। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, এই কলেজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্পর্শ পেয়েছে, কবি নজরুলের উপস্থিতি এই কলেজকে সমৃদ্ধ করেছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু ইতিহাস এই কলেজ থেকেই রচিত হয়েছে। মেদিনীপুর কলেজের ১৫০ বছরে পদার্পণ ইতিহাসের পাতায় একটি উজ্জ্বল ঘটনা। তাঁর সংযোজন, গুণগত মানের দিক থেকে এই কলেজ কোনও অংশেই প্রেসিডেন্সি কলেজের থেকে কম নয়। প্রেসিডেন্সি অনেক সাহায্য পেয়েছে, যেটা মেদিনীপুর কলেজ পায়নি।
advertisement
প্রসঙ্গত, ১৮৭৩ সালের ৩০ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পথ চলা শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজের। পরাধীন ভারতে এই কলেজই ছিল বিপ্লবীদের আঁতুড়ঘর, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পীঠস্থান। এই কলেজে পড়তে পড়তেই বুকে স্বাধীনতার বারুদ জ্বালিয়েছিলেন বিপ্লবী দিনেশ গুপ্ত, প্রদ্যোৎ কুমার ভট্টাচার্য, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী , নির্মলজীবন ঘোষ প্রমুখ। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দিয়েছিলেন, হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়েছিলেন এই কলেজের প্রাক্তনীরাই। এই কলেজ অখণ্ড মেদিনীপুরবাসীর কাছে গর্ব। ১৮৭৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেদিনীপুর কলেজের পথচলা শুরু হলেও, সরকারি স্বীকৃতি মেলে ১৯৫৬ সালে। কলকাতার বাইরে প্রথম কলেজ হিসেবে মেদিনীপুর কলেজকেই অনুমোদন দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৫ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসে এই কলেজ। ‘স্বশাসিত’ কলেজের স্বীকৃতি মেলে ২০১৪ সালে। শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালে ‘হেরিটেজ’ তকমাও পেয়েছে মেদিনীপুর কলেজ।