দিন কয়েক ধরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুটি ঘোড়াকে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। ঘোড়া দুটির কোনও দাবিদার নেই। স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মের সময় সংকটে পড়েছে নিরীহ ওই প্রাণী দুটি।
পশ্চিম বর্ধমান : গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুটি ঘোড়া কে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। ঘোড়া দুটির মালিক কে? তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুর্গাপুরের শরৎপল্লী এলাকার বাসিন্দারা ওই ঘোড়া দুটিকে কুকুরের হাত থেকে উদ্ধার করে নিজেদের এলাকায় আটকে রেখেছেন। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। তাছাড়াও খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশকেও। স্থানীয়রা বলছেন, দিন কয়েক ধরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুটি ঘোড়াকে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। ঘোড়া দুটির কোনও দাবিদার নেই। স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মের সময় সংকটে পড়েছে নিরীহ ওই প্রাণী দুটি। দুর্গাপুর পৌরসভা ২৪, ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ওই ঘোড়া দুটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে কোন মালিক না থাকায় কার্যত অনাহারে দিন কাটছে তাদের। অন্যদিকে কুকুরের তাড়া খেয়ে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। দুটি ঘোড়ার মধ্যে একটি ঘোড়া সন্তানসম্ভবা বলেও দাবি করছেন স্থানীয়রা। রাতের বেলায় ফাঁকা রাস্তায় কুকুরের কামড়ে আহত হচ্ছে ঘোড়া দুটি। গোটা দুর্গাপুর এলাকা জুড়ে ওই ঘোড়া দুটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘোড়া দুটির মালিক কে বা কারা তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি অনেক খোঁজখবর করার পরেও। একদিকে রাত্রি বেলায় কুকুরের তাড়া খেতে হচ্ছে, কখনো একঝাঁক কুকুর কামড়ে ধরছে তাদের। অপরদিকে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে অনাহারে দিন কাটছে ওই ঘোড়া দুটির।আপাতত ওই ঘোড়া দুটিকে শরৎপল্লী এলাকার বাসিন্দারা আটকে রেখে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে স্থানীয়রা বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, যাতে ঘোড়া দুটিকে কোনও নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘোড়া যেহেতু বন্যপ্রাণী নয়, ফলে প্রাণী দপ্তরের তরফ থেকে উদ্যোগ নিতে হবে ওই প্রাণী দুটিকে উদ্ধার করার জন্য।